গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাৎ: টিকিট বুকিং প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের তিন কর্মকর্তা কারাগারে

উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ের প্ল্যাটফর্ম 'ফ্লাইট এক্সপার্ট'-এর বিরুদ্ধে গ্রাহকের ৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার তিন জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- এজেন্সির হেড অব ফিন্যান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) এবং চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)।
এর আগে, আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক সাদ্দাম হোসেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গতকাল ২ আগস্ট রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২ আগস্ট সন্ধ্যায় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইট এক্সপার্ট। এতে ভোগান্তিতে পড়েন টিকিট বিক্রেতা এজেন্সি ও হাজারো গ্রাহক। তারা অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের জন্য অর্থ পরিশোধ করেছিলেন। ফ্লাইট এক্সপার্টের একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে মালিকপক্ষ দেশ ছেড়েছে। এতে গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কোটি কোটি টাকা ফেরত পাওয়া অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী বাদী বিপুল সরকার আসামিদের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৭৯ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। অপর দুজন আসামি- হলেন ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রাশিদ শাহ সাঈম ও তাঁর বাবা এম এ রাশিদ।
জানা যায়, ২০১৭ সালের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে 'ফ্লাইট এক্সপার্ট'। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইনের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন (কক্ষ সংরক্ষণ), ট্যুর প্যাকেজ ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের মতো বিভিন্ন সেবা দিত তারা। বিশেষ করে, কম খরচে সহজে টিকিট বুকিংয়ের সুবিধার কারণে প্ল্যাটফর্মটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।