সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট স্থগিত

সিলেটে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে শুরু হওয়া পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস–মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বেলা তিনটায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পরীক্ষার্থীসহ বিদেশ যাত্রীসহ অন্যদের সুবিধার্থে আপাতত ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস মালিক সমিতি ও সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আজ সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট শুরু হয়।
সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৩৬ ধারা অনুযায়ী বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০ বছর, ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যানের ক্ষেত্রে ২৫ বছর এবং সিএনজি ও ইমা লেগুনার ক্ষেত্রে ১৫ বছরের ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাতিল করা। পাশাপাশি, সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর ও বালু মহাল চালু করার দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া বিআরটিএর মাধ্যমে ফিটনেস সনদ প্রদান প্রক্রিয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্রের বাধ্যবাধকতা বাতিল এবং গণ ও পণ্য পরিবহনের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত কর প্রত্যাহারের দাবি রয়েছে।
সিলেটের সব ক্রাশার মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা বন্ধ, বিদ্যুৎ মিটার ফেরত দেওয়া, ভাঙচুর হওয়া মিলে ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর ও বালুর ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথাও বলা হয়েছে।
এছাড়া, সিলেটের পরিবহন মালিক-শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং সড়কে পাথর ও বালুবাহী গাড়িসহ সব ধরনের পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।