মমতাজ-মুরাদ-জাহাঙ্গীরসহ ৪ জন নতুন করে গ্রেপ্তার

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পৃথক তিন থানার তিন মামলায় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মমতাজ বেগম এবং মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ ৪ জনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৩০ জুন) আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত এই আদেশ মঞ্জুর করেন।
অপর আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম এবং নোয়াখালী কমানডেন্টের সাবেক পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
মামলাগুলোর মধ্যে ধানমন্ডি থানার কিশোর শামীম হত্যায় জাহাঙ্গীর আলম ও শাহে আলম মুরাদ, কোতয়ালী থানার শাওন মুফতি হত্যা মামলায় মমতাজ, যাত্রাবাড়ী থানাধীন মঈনুল ইসলাম ওরফে মাইনুদ্দিন হত্যা মামলায় আসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামতাজের মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর কোতোয়ালী থানাধীন তাঁতীবাজার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন শাওন মুফতি (২৩)। এদিন আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এয় ঘটনা নিহতের মা মাকসুদা বেগম গত ২৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় মমতাজ ১৪ নাম্বার এজাহারনামীয় আসামি।
মুরাদ ও জাহাঙ্গীরের মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের হোটেল চিলিসের সামনে আন্দোলনে অংশ নেয় মো. শামীম (১৩)। ওইদিন বিকালে আসামিরা গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করলে শামীম আগুনে দগ্ধ হয়। পরে ৬ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ৩ অক্টোবর নিহতের মা জাহানারা বেগম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করে।
আসাদুজ্জামানের মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ২১ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন শনির আখড়া ব্রিজের উত্তর-পূর্ব পাশে আন্দোলনে অংশ নেন মঈনুল ইসলাম ওরফে মাঈনুদ্দিন। ওইদিন বেলা দুইটার দিকে আসামিদের গুলিতে আহত হন ভুক্তভোগী মঈনুল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এ ঘটনায় নিহতের বাবা কামরুল ইসলাম গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন৷ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়।