রিমান্ড শেষে কারাগারে মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন

জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন মাই টিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন সাথীর পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আহমেদ এই আদেশ দেন।
এদিন নাসির উদ্দিনের পক্ষে তার আইনজীবী মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে কাইয়ুম হোসেন নয়ন জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
যাত্রাবাড়ী থানার আদালতের প্রসিকিউশন এসআই মো. শরীফুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ নাসির উদ্দিনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান।
আবেদনে বলা হয়, নাসির উদ্দিন সাংবাদিকতা পেশায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থেকে দলীয় ও ব্যক্তিগত স্বার্থে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের পক্ষে কাজ করেছেন। তিনি আসাদুল হক বাবু হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনের বিপক্ষে উসকানিমূলক বক্তব্য ও প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
আরও বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে নাসির উদ্দিনের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে জেল হাজতে রাখা প্রয়োজন। জামিনে মুক্তি পেলে তার পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে মামলার তদন্তকাজে বিঘ্নতার সৃষ্টি হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে নাসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ১৮ আগস্ট তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন আসাদুল। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় নাসির উদ্দিনকে ২২ নম্বর ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদিকে ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে।