ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪ লাখ ৬৬ হাজার পশু কোরবানি: প্রশাসক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮০ টি পশু কোরবানি হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার গরু কোরবানি হয়েছে। তবে কোনো উট কোরবানি হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
আজ সোমবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটির নগর ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
মোহাম্মদ এজাজ জানান, ঈদের তিন দিনে (সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত) ঢাকা উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ ৩,৯৪৮ ট্রিপে—২০ হাজার ৮৮৯ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে। যার মধ্যে ঈদের দিন ১০ হাজার ৬১৪ টন, ঈদের দ্বিতীয় দিন ৭ হাজার ৩৫৩ টন এবং তৃতীয় দিন ২ হাজার ৯২২ টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'এবারে ঢাকা উত্তর সিটিতে কোরবানি কম হলেও—গতবারের চেয়ে বেশি বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। আজকেও আমাদের কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলছে। আমাদের যে প্রত্যাশা ছিলো সে অনুযায়ী কাজ হয়েছে।'
কোরবানির পরে নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় ময়লার স্তূপ করে রাখার বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
যার ব্যাখ্যায় ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক জানান, 'আমাদের অনেক স্থানে রাস্তায় ময়লা রাখতে হয়েছে, কারণ ওয়ার্ডভিত্তিক বর্জ্য রাখার ঘর বা সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনের (এসটিএস) ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। আমরা সার্ভিস লেনগুলোও পরিষ্কার করছি। এরপরেও কোথাও বর্জ্য জমে আছে এমন সংবাদ পেলে আমাদের টিম সেখানে চলে যাচ্ছে।'
উত্তরের প্রশাসক বলেন, সিটি করপোরেশন ভাগ হওয়ার পরে বেশ কিছু সমস্যা পোহাতে হয়। ঢাকা ওয়াসা থেকে খাল ও ড্রেনগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের পরে খাল পরিষ্কারের দুটি যন্ত্র দেওয়া হয়েছে। সেগুলো নষ্ট। ফলে খাল, ড্রেন পরিস্কার করতে বেগ পোহাতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'ঢাকার মতো জায়গায় ১০০ শতাংশ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়—তবে আমরা ১০০ শতাংশ এফোর্ট দিচ্ছি। পশুর হাটের ময়লা আমরা আজ থেকে অপসারণ শুরু করব।'
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, 'আমরা ১০৮ কিলোমিটার খাল পরিষ্কার করেছি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, যেসব এলাকায় খাল রয়েছে—সেসব এলাকার বাসিন্দারা খালকে ডাস্টবিন মনে করেন। ফলে সেগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা চ্যালেঞ্জিং। এরপরেও আমরা খাল, ড্রেনগুলো আবার পরিষ্কার করছি।'