এবছর ঈদুল আজহায় ১৩ লাখ পশু কোরবানি কম হয়েছে

এবছর সারা দেশে ঈদুল আজহায় ৯১ লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
গত বছর ঈদুল আজহায় বাংলাদেশে মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ পশু কোরবানি হয়। সে হিসাবে, এবছর প্রায় ১৩ লাখ পশু কম কোরবানি হয়েছে।
২০২৩ সালে সারা দেশে কোরবানি দেওয়া পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২। এছাড়া ২০২২ সালে কোরবানি হয়েছে ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে, ২০২৫ সালে ঈদুল আজহায় দেশে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে। যার মধ্যে গরু ও মহিষ ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি; ছাগল ও ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি; অন্যান্য ৯৬০টি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন এই অধিদপ্তরই মূলত পশু কোরবানির হিসাব করে থাকে। অধিদপ্তর বলছে, স্তরায়িত দৈব নমুনায়নের (স্ট্র্যাটিফায়েড র্যান্ডম স্যাম্পলিং) ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে এবারের হিসাব করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার ৩টি গ্রাম (ছোট, মাঝারি এবং বড়) থেকে অন্তত এক শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করে হিসাবটি করা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে। এই সংখ্যা ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২৩টি। এরপর কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এই সংখ্যা ৩ লাখ ৮৩ গাজার ১৬২টি।
আর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এই সংখ্যা ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১ টি গবাদিপশু। এরপর বেশি কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪০টি। চট্টগ্রাম বিভাগে কোরবানি হয়েছে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২টি গবাদিপশু। খুলনা বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪টি গবাদিপশু। বরিশাল বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৪ লাখ ৭৮৩টি গবাদিপশু। রংপুর বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯টি গবাদিপশু।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানির পশু অবিক্রীত ছিল ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩টি। কারণ হিসেবে অধিদপ্তর বলছে, এবার কোরবানির পশুর উৎপাদন বেশি ছিল। তাই পশু অবিক্রীত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তাছাড়া অবিক্রীত এই পশু সামনে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে দরকার পড়বে।