ঈদে কক্সবাজারে ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা: চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি

ঈদ উপলক্ষে কক্সবাজারে সাত দিনে ঘুরেছেন প্রায় ৪ লাখ পর্যটক। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও সংগঠনগুলোর ধারণা, এই সময়ে জেলার পর্যটন খাতে অন্তত ৪০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে ঈদের দিন ৭ জুন থেকে ১৩ জুন শুক্রবার পর্যন্ত পর্যটকের ব্যাপক সমাগম ঘটে। সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে ভিড় করেন হাজারো পর্যটক।
তারা জেট স্কি, বিচ বাইক, ঘোড়ার পিঠে চড়া, কিটকট ভ্রমণ ও ফটোগ্রাফিতে অংশ নেন। পাশাপাশি তারা শুটকি, বার্মিজ পণ্য, শামুক-ঝিনুক, মুক্তার গহনা, আচারসহ নানা সামগ্রী কেনাকাটায়ও মেতে ওঠেন। ফলে ব্যস্ততা বেড়ে যায় সৈকতপাড়ের দোকানদার, হকার, ফটোগ্রাফার, জেট স্কি ও বিচ বাইক চালকদের।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, 'পর্যটন সংশ্লিষ্ট পাঁচটি খাতে ব্যবসা বিবেচনায় নেয়া যায়—আবাসিক হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজ, রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য খাবারের দোকান, সৈকতকেন্দ্রিক সেবা (যেমন: কিটকট, বাইক, ঘোড়া, ফটোগ্রাফি), দোকানপাট (যেমন: শুটকি, বার্মিজ পণ্য), এবং পরিবহন (দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ)।'
তিনি জানান, কক্সবাজারে পর্যটকের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে কোনো সরকারি বা বেসরকারি পরিসংখ্যান না থাকলেও ধারণা অনুযায়ী ঈদে সাত দিনে প্রায় ৪ লাখ পর্যটক এসেছেন। এ সময়ে প্রতি পর্যটক গড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা করে খরচ করেছেন বলেই চেম্বারের হিসাব। সেই হিসাবে কমপক্ষে ৪০০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'সরকারিভাবে আবাসিক হোটেলগুলোর তথ্য অনলাইনে সংগ্রহের মাধ্যমে পর্যটকের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা সম্ভব।'
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার জানান, ঈদের প্রথম দিন কিছুটা কম ভিড় থাকলেও পরবর্তীতে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ে। সাত দিনে আবাসিক হোটেলগুলোতে যেসব পর্যটক অবস্থান নিয়েছেন, তাদের হিসাব অনুযায়ী মোট সংখ্যা ৪ লাখের বেশি হবে না।
বর্তমানে জেলার পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজ, কটেজ ও রিসোর্ট প্রায় পূর্ণ। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে পর্যটক সেবায় চলছে ব্যাপক ব্যস্ততা। একই সঙ্গে স্থানীয় রেস্টুরেন্টগুলোতেও জমজমাট অবস্থা। ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙা থাকায় খুশি ব্যবসায়ীরাও।