ডিমের দাম কমেছে, মুরগি-সবজির বাজার স্থিতিশীল

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি থাকা ডিমের দাম ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। তবে মুরগি, মাছ, চালসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি অনেকটা আগের দামে স্থিতিশীল রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার অন্যদিনের চেয়ে বেশি ভিড় থাকলেও টানা বৃষ্টির কারণে ক্রেতা সমাগম কম। ফলে বৃষ্টির কারণে বাজারে খুব বেশি দামের হেরফের হয়নি।
শুক্রবার রাজধানীর শাহজাদপুর, নতুনবাজার ও বাড্ডার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আর গত মাসে এই দাম ছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।
তবে মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এই সপ্তাহেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়।
খিলবাড়িরটেকের বিক্রেতা জালাল হোসেন বলেন, কুরবানির ঈদের আগে বা পরে মুরগির দাম সাধারণত কম থাকে। সেই হিসাবে এবছরও দাম কম। তবে বর্ষায় ডিমের সরবরাহ কিছুটা কম থাকে। যদিও এখনকার এই দামে খামারিদের খুব বেশি লাভ হচ্ছে না। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এর চেয়ে কম দামে বিক্রি করলে খামারিরা লোকসান গুনবেন।
সবজির দামের দিক থেকে বাজারে স্থিতিশীলতা লক্ষ করা যাচ্ছে। পটল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা ও ঝিঙাসহ বেশিরভাগ সবজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে।
শাহজাদপুরের সবজি বিক্রেতা মাসুম হোসেন বলেন, 'বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ কিছুটা কমেছে। আবার ক্রেতার সংখ্যাও কম। আজকে অনেক ফুটপাতের দোকান বন্ধ রয়েছে। এই বৃষ্টির মধ্যে পণ্য আনতে অনেক কষ্ট হয়, তাই দামে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।'
রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৪০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন ১৮০-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৫ টাকা, মাঝারি চালের মধ্যে ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ ও পাইজাম ৫৮-৬০ টাকা এবং সরু চালের মধ্যে মিনিকেট মানভেদে ৭০-৮২ টাকায়। মাসখানেক আগে মিনিকেটের দাম ছিল ৮২-৯০ টাকা। অন্য চালের মধ্যে নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা এবং বাসমতি চাল ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০-৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ১০০০-১১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে চাষের কই বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙাস ২২০-২৫০ টাকা, রুই ও কাতলা ৩২০-৪৫০ টাকা এবং পাবদা ৪০০-৫০০ টাকায়।