বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও পেঁয়াজের দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছ কেজিতে ১০-২০ টাকা। ডিমের দাম কমলেও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও কাঁচা মরিচ। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে সবজি ও কাঁচামরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর শাহজাদপুর, নতুনবাজার, বাড্ডা ও রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলো। পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শাহজাদপুরের মুদি বিক্রেতা আব্দুল মতিন টিবিএসকে বলেন, গত দুই-তিনদিনে পাইকারিপর্যায়ে কেজিতে ৫-৭ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এ কারণে আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মো. বাবুল মিয়া বলেন, পেঁয়াজের সংকট নেই। তবে দাম বেশি দিয়ে কিনে আনতে হচ্ছে। গত তিন-চার দিন ধরে দাম বাড়তি।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকায়। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩১০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা ও সোনালী মুরগি ২৯০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিলো।
তবে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা কমে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়।
টানা বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের দাম গত সপ্তাহে বাড়লেও বর্তমানে কিছুটা কমে প্রতি কেজি ২৪০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানির প্রভাবে সামান্য দাম কমলেও এখনো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। যদিও দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকায়।
বৃষ্টির প্রভাবে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজির দামও। কাকরোল, করলা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা এবং ঝিঙা, চিচিংগা, পটল ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে, টানা বৃষ্টির প্রভাবে সবজির সরবরাহ পরিস্থিতি বেশ কিছুদিন ধরে হেরফের হচ্ছে। যে কারণে অনেক পদের সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বেগুন কিনতে হচ্ছে ১০০ টাকা, কোনো কোনো বাজারে আরও বেশি দামেও বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া পেপে ৪০ টাকা ও শশা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শাহজাদপুরের ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা মো. তাইজুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, বৃষ্টি টানা হলে সবজির সরবরাহ কমে যায়। অনেক সবজির গাছ নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই কাঁচা মরিচের সংকট তৈরি হয়ে দাম বেড়ে যায়। তবে আমদানির কারণে দাম আবার কিছুটা কমে এসেছে।
এদিকে অনেকটা আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। শাহজাদপুরের বাসিন্দা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, চালের দাম অসহনীয়ভাবে বেড়েছে। আগে কখনো এতো বেশি দামে চাল কিনে খেতে হয়নি। মাছ-মাংস, সবজি এগুলো দাম বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার কারণ থাকে। কিন্তু চালের বাম্পার ফলনের পরেও কেন আমাদের বেশি দাম দিয়ে চাল কিনে খেতে হচ্ছে?