সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করলে দেশ বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে: জামায়াতের আমির

ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে সেনাবাহিনীর অনেক মর্যাদাপূর্ণ অবদান রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করলে স্বাধীন দেশ বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের এই সেনাবাহিনী গড়ে উঠেছে। কোনোভাবে কারও কোনো কার্যক্রমের মাধ্যমে, কারও কোনো পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের এই গর্বের প্রতিষ্ঠান বিতর্কিত হোক, এটা আমরা চাই না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা চাই যে এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে তারা দেশ এবং জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। এতেই দেশের গৌরব, সেনাবাহিনীরও গৌরব। আমরা আমাদের সেনাবাহিনীকে সেই গৌরবের জায়গায় রাখতে চাই। এবং এই জায়গা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না, সেইদিকে আমরা আশা রাখতে চাই। সেনাবাহিনীকে নিয়ে যেকোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিবরত থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি। এ বিষয়টা একটা দেশের সার্বিক নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করলে একটা স্বাধীন দেশ বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে।'
দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়ার কথা উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, 'সংস্কারের একটি রূপরেখা ও নির্বাচনের একটি রোডম্যাপের কথা আমরা শুরু থেকে বলে আসছি। কিন্তু তা এখনো জনগণের সামনে আসেনি। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাব দ্রুত জনগণের সামনে এ দুটি বিষয়ে রোডম্যাপ তুলে ধরার জন্য। তাহলে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরবে।'
মানবিক করিডর স্পর্শকাতর বিষয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে, অথবা বিষয়টি পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া উত্তম হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, 'এই বন্দরে ওপরে নির্ভর করছে বাংলাদেশের অনেক কিছু। গোটা বৈদেশিক বাণিজ্যের ৭০ ভাগের ঊর্ধে এটার ওপর নির্ভরশীল। এরকম একটা বন্দর ব্যবস্থাপনারও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া…হঠাৎ করে এটা সমীচীন হবে বলে আমরা মনে করি না। এ বিষয়গুলো ভেবে-চিন্তে আরও অংশীজনের সাথে আলাপ করে কী করা যায়, সে বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসা উচিত।'