চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুর-শিয়ালের উৎপাত, ঝুঁকিতে বিমান অবতরণ-উড্ডয়ন

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ও তার আশেপাশে বেড়েছে কুকুর ও শিয়ালের উৎপাত। এতে দেখা দিয়েছে নিরাপত্তা শঙ্কা, প্রায় সময় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন পাইলটরা।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, যেন তারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে কুকুরগুলোকে রানওয়ে থেকে সরিয়ে দেয়।
গত ২১ এপ্রিল বিমানবন্দর পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আল-মামুন সিসিসির মেয়র ড. শাহাদাৎ হোসেনকে একটি চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি অ্যাপ্রোন (উড়োজাহাজ দাঁড়ানোর স্থান) এবং রানওয়ে সংলগ্ন এলাকায় কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন এয়ারলাইনসের পাইলটরা নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছেন। এ অবস্থায় সুষ্ঠুভাবে অপারেশনাল কাজ সম্পন্ন করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।'
শুধু কুকুর নয়, উপদ্রব বেড়েছে শিয়ালেরও। এবিষয়ে বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল টিবিএসকে বলেন, রানওয়েতে কুকুর এবং শিয়াল প্রবেশ করছে। এটি অপারেশনাল কার্যক্রমের জন্য ব্যাপক ঝুঁকি তৈরি করছে। আমাদের কাছে সরাসরি এ সমস্যা সমাধান করার সক্ষমতা নেই, তাই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সিটি করপোরেশনকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছি।
এসব প্রাণীদের রানওয়েতে অনুপ্রবেশের পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে খলিল বলেন, অত্র এলাকার আশপাশের খালি জমিগুলো সারা বছরই জঙ্গলে ঢাকা থাকে, যা কুকুর ও শিয়ালের জন্য প্রাকৃতিক আশ্রয়স্থল। সম্প্রতি রানওয়ে সংস্কারের সময় ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হয়েছে, ফলে এসব প্রাণী তাদের আবাসস্থল হারিয়েছে। এছাড়াও, প্রাণীদের প্রজনন মৌসুম শেষ হওয়ার পর তাদের সংখ্যা বেড়েছে, এবং তারা প্রায়ই রানওয়ে এলাকায় চলে আসে।
তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা দেশের বেশিরভাগ বিমানবন্দরে ঘটে। সাধারণত, এসব প্রাণী মাসে এক বা দুইবার রানওয়েতে প্রবেশ করে, তবে যখন এই সমস্যা বাড়ে, তখন আমরা সিটি করপোরেশনকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করি। তারা এসব প্রাণীকে ধরতে এবং দূরবর্তী বনাঞ্চলে ছেড়ে দেয়, যাতে তারা ফিরে আসতে না পারে।
এ বিষয়ে সিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এই সমস্যা পরবর্তী সাধারণ সভায় আলোচনা করা হবে, এবং সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।