Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর বিক্রি হলো তাদের ‘অবসর’

দীর্ঘ আট বছর ধরে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটে টানা কাজ করার পর ফিন, কোরি ও স্যামকে এখন অবসরে পাঠানো হয়েছে। তবে ‘অবসর’ বললে ভুল হবে; দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ পুলিশকে সেবা দেওয়ার পর তাদের অবসর নিলাম করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর বিক্রি হলো তাদের ‘অবসর’

ফিচার

ফাইয়াজ আহনাফ সামিন
27 November, 2025, 06:40 pm
Last modified: 27 November, 2025, 06:46 pm

Related News

  • বিদায় ফিন, কোরি ও স্যাম: ৩ অবসরপ্রাপ্ত কে-৯ কুকুর নিলামে তুলছে পুলিশ 
  • জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশের শেষ কনটিনজেন্টকে দেশে ফেরার নির্দেশ
  • কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষায়িত পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের অনুরোধ মার্কিন দূতাবাসের, পুলিশের আপত্তি
  • লতিফ বাওয়ানী জুট মিলের সাড়ে ৬ একর জমি পুলিশকে দিচ্ছে সরকার
  • পালানোর অভিযোগে সাবেক ডিবি প্রধান হারুনসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর বিক্রি হলো তাদের ‘অবসর’

দীর্ঘ আট বছর ধরে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটে টানা কাজ করার পর ফিন, কোরি ও স্যামকে এখন অবসরে পাঠানো হয়েছে। তবে ‘অবসর’ বললে ভুল হবে; দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ পুলিশকে সেবা দেওয়ার পর তাদের অবসর নিলাম করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
ফাইয়াজ আহনাফ সামিন
27 November, 2025, 06:40 pm
Last modified: 27 November, 2025, 06:46 pm

বাম থেকে কোরি, ফিন ও স্যাম।

​​একজন পুলিশ অফিসার অবসরে গেলে নানারকম ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পান—মাসিক পেনশন, এককালীন গ্র্যাচুইটি, অসুস্থ হলে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা, আরও অনেক কিছু। পুলিশের জন্য কাজ করা যে কেউই এসব সুবিধা পেয়ে থাকেন। পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে একজন কনস্টেবল বা ড্রাইভার—সবারই আছে অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা।

কিন্তু পুলিশেরই কিছু বিশেষ সদস্যের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। তারা হলো পুলিশের বিশেষায়িত ক্যানাইন ইউনিটের (কে-৯) কুকুর। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক বস্তু শনাক্ত করার জন্যই গড়ে তোলা হয় এ ইউনিট। সেখানে কাজ করে ফিন, কোরি ও স্যাম নামের তিনটি কুকুর—ফিন ও কোরি ল্যাব্রাডর প্রজাতির, আর স্যাম জার্মান শেফার্ড। দীর্ঘ আট বছর ধরে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটে টানা কাজ করার পর তাদেরকে এখন অবসরে পাঠানো হয়েছে।

তবে 'অবসর' বললে ভুল হবে;  দীর্ঘ আট বছর বাংলাদেশ পুলিশকে সেবা দেওয়ার পর তাদের অবসর নিলাম করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্যানাইন টিমের কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় প্রকাশ্য নিলাম। সেখানে বিক্রি হয়ে যায় তিন কুকুরই। ল্যাব্রাডর প্রজাতির ফিন বিক্রি হয় ৩০ হাজার টাকায়, জার্মান শেফার্ড স্যাম ৪০ হাজার টাকায়, আর কালো ল্যাব্রাডর কোরি বিক্রি হয় ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।

ফিন ও স্যামকে হস্তান্তর করা হবে ২৭ নভেম্বর। কিন্তু কোরিকে কিনতে নিলামকারীরা প্রতিযোগিতা করলেও, যিনি ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম তুলেছিলেন—তিনি শেষ পর্যন্ত কোরিকে নিতে অপারগতার কথা জানিয়েছেন। আর তার কারণটি ছিল বেশ অদ্ভুত।

কালো ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুর বাজারে অত্যন্ত মূল্যবান। এই প্রজাতির একেকটি বাচ্চার দামই অনেক। কোরি কালো ল্যাব্রাডর এবং স্ত্রী-লিঙ্গের কুকুর। তাই তাকে এত দামে কিনতে মানুষ নিলামে ঝাঁপিয়েছিল—মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রিডিং। কিন্তু কেনার পর জানা গেলো কোরির বয়স হয়ে গেছে।

ক্যানাইন হ্যান্ডলার ও কুকুর

২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে জন্ম কোরির। সেখান থেকে বাংলাদেশে এনে ক্যানাইন ইউনিটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এখন তার বয়স আট বছর। এই বয়সে এসে স্ত্রী কুকুর সাধারণত প্রজননক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

নিলামে কোরির এত বেশি দাম ওঠার পেছনে যে কারণটা ছিল—অর্থাৎ ব্রিডিং—সেই উদ্দেশ্য পূরণ সম্ভব নয় জেনে ক্রেতা পিছিয়ে গেলেন। জন্মের পর থেকে দীর্ঘদিন বাংলাদেশ পুলিশকে সেবা দিয়ে এসেছে কোরি। এখন অবসরের সময় এসেও তাকে প্রায় বিক্রি হতে হয়েছিল আরেকটি 'কাজের' জন্য। কিন্তু সেখানে 'অযোগ্য' (!) প্রমাণিত হওয়ায় ক্রেতা শেষ পর্যন্ত আর নিতে চাইছেন না কোরিকে।

বিশ্বব্যাপী ক্যানাইন ইউনিটের কুকুরদের অবসরের জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা থাকে। আমাদের দেশে যদিও ১৯৯৮ সাল থেকে ক্যানাইন ইউনিট চালু, তবুও ক্যানাইন কুকুরদের জন্য কোনো ধরনের অবসর ব্যবস্থা এখনো নেই। এখন তো অন্তত অবসরের পরে নিলামে তুলে তাদের একটি স্থায়ী ঠিকানা দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু আগের সময়ে নাকি সেই ব্যবস্থাও ছিল না। ক্যানাইন ইনস্পেক্টর ফখরুল আলমের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়।

ক্ষতিকর দ্রব্য শুঁকে বের করতে অভিজ্ঞ ক্যানাইন।

১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত—এই আট বছরে বাংলাদেশের ক্যানাইন ইউনিটের অবসরপ্রাপ্ত ও বয়স্ক কুকুরদের ইউথনাইজ (Euthanize) করা হতো। অর্থাৎ ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হতো। ২০০৬ সালের পর পশুপ্রেমীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ইউথনাইজ বন্ধ হয়। এরপর বয়স্ক কুকুরদের নিলামে বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

কুকুরকে বলা হয় মানুষের সেরা বন্ধু। সৃষ্টির আদিকাল থেকে হোমো স্যাপিয়েন্সের জয়যাত্রায় কুকুর মানুষের পাশে থেকেছে নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হিসেবে। আদিম যুগে মানুষকে কুকুর সাহায্য করেছে শিকার করতে, খাবার খুঁজে পেতে, আবার কখনো হিংস্র বন্য প্রাণীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে।

পুলিশি কাজে কুকুর ব্যবহারের ইতিহাসও হাজার বছরের পুরোনো। প্রাচীন মিশরে সেনাবাহিনীর বার্তা বহন আর পাহারার কাজে কুকুর ব্যবহার করা হতো। ১৩০০ সালে ফ্রান্সে প্রথমবারের মতো পুলিশি কাজে ব্যবহারের জন্য কুকুরের নাম নথিভুক্ত করা হয়। ফ্রান্সের সেন্ট মালোতে নৌ-স্থাপনা ও ডক পাহারা দেওয়ার জন্য কুকুর মোতায়েন করা হয়েছিল।

আধুনিক যুগে পুলিশে কুকুর ব্যবহারের শুরু ১৮৯৫ সালে—ফ্রান্সে। প্যারিসের রাস্তায় গ্যাং নিয়ন্ত্রণে ক্যানাইন ইউনিট গঠন করা হয়। প্যারিসের সাফল্য দেখে পরের বছরই জার্মানরা তাদের ক্যানাইন ইউনিট চালু করে। ক্যানাইন কুকুরের প্রজনন, প্রশিক্ষণ ও ব্যবহারের ওপর জার্মানরা সুশৃঙ্খল গবেষণা করে; তখন থেকেই জার্মান শেফার্ড প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাজে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯২০ সালে জার্মানির গ্রিনহেইডে ক্যানাইন কুকুরদের জন্য প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হয়।

যারা ক্যানাইন কুকুর সামলান, তাদের বলা হয় ক্যানাইন হ্যান্ডলার। একজন হ্যান্ডলারের কাছেই একটি কুকুর প্রশিক্ষিত হয় এবং অবসর পর্যন্ত সেই হ্যান্ডলারকেই অনুসরণ করে। বেলজিয়ামের ঘেন্টে ১৮৯৯ সালে প্রথম ক্যানাইন ও হ্যান্ডলারদের সম্মিলিত প্রশিক্ষণ চালু হয়।

নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে ক্যানাইন কুকুর

লন্ডনে ক্যানাইন ইউনিট চালু হয় ১৯৩০ সালের দিকে। তাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র দ্রুতই বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পায়। ১৯৫৮ সালে লন্ডনে ক্যানাইন ইউনিট অংশ নেয় ১৮৫০টি অভিযানে; এর মধ্যে ৩৬ জন নিখোঁজ মানুষকে খুঁজে পেতে সাহায্য করে তারা।

আমেরিকায় ক্যানাইন কোর চালু হয় ১৯০৭ সালে। কিছু অভিযোগের কারণে ১৯২০ সালে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১৯৫৪ সাল থেকে আবার ক্যানাইন কোর চালু করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশে ক্যানাইন ইউনিটের অবসরপ্রাপ্ত কুকুরদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোনো অবসরভাতা বা সুবিধা না থাকলেও অন্তত একটি বিষয় নিশ্চিত থাকে—তাদের নিলামে বিক্রি করা হয় না। অবসরের পর কুকুরগুলো সাধারণত তাদের হ্যান্ডলারের কাছেই থাকে বা কোনো লাইসেন্সপ্রাপ্ত দত্তক গ্রহণকারী সংস্থায় হস্তান্তর করা হয়। তাদের যাত্রার শেষটা অন্তত নিলামের টেবিলে গিয়ে থামে না।

ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে অবসরপ্রাপ্ত ক্যানাইন কুকুর কোথায় যাবে, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে তার হ্যান্ডলারের ওপর। ক্যানাইনের জন্য নির্ধারিত কুকুরগুলো জন্মের পর থেকেই হ্যান্ডলারের তত্ত্বাবধানে বড় হয়। হ্যান্ডলারকে তারা নিজেদের পরিবারের সদস্য হিসেবেই মেনে নেয়।

হ্যান্ডলাররা বেশিরভাগ সময়েই অবসরপ্রাপ্ত এই পেশাদার কুকুরগুলোকে নিজের পোষা কুকুর হিসেবে রেখে দেন। এখানে হ্যান্ডলারেরও গভীর এক আবেগ কাজ করে। ক্যানাইন কুকুরদের সব ধরনের খরচ—খাওয়া, চিকিৎসা, পুনর্বাসন—সবই বহন করেন হ্যান্ডলার।

বিশ্বের অল্প কিছু দেশে অবসরপ্রাপ্ত কুকুরদের দেখভালের দায়িত্ব সরকার নিজেই নেয়। পোল্যান্ড তাদের মধ্যে অন্যতম। ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামশায়ারের পুলিশ অবসরপ্রাপ্ত কুকুরদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করেছে। রুয়ান্ডাতেও ক্যানাইন কুকুরদের অবসরের পর রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে রাখা হয়।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মিলিটারি কুকুর স্টাবি, ১৭টি যুদ্ধে কাজ করেছিল আমেরিকান আর্মির সাথে।

২০০০ সালের আগে আমেরিকাতেও একইভাবে অবসরপ্রাপ্ত কুকুরদের ইউথনাইজ করা হতো, যদি তাদের দায়িত্ব কেউ নিতে না চাইত। কিন্তু ২০০০ সালে 'রবি'স ল' (Robbie's Law) পাস হওয়ার পর নিয়ম বদলায়। আইনে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত কুকুরকে আর মেরে ফেলা যাবে না। হ্যান্ডলার বা অন্য কেউ দত্তক নিতে না চাইলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে তাদের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে।

আমেরিকায় আছে 'প্রজেক্ট ক্যানাইন হিরো' নামের একটি প্রতিষ্ঠান—যারা অবসরপ্রাপ্ত এসব কুকুরের দেখভালের জন্য অনুদান সংগ্রহ করে এবং তাদের জন্য স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করে।

বিশ্বজুড়ে ক্যানাইন কুকুররা অবসরের পর হয় হ্যান্ডলারের কাছে যায়, নয়তো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা এনজিওর দায়িত্বে চলে যায়। কিন্তু নিলাম করে অবসরপ্রাপ্ত কুকুর বিক্রির নজির সম্ভবত একমাত্র বাংলাদেশেই দেখা গেল।

মার্কিন-আফগান যুদ্ধের সময় একটি ক্যানাইন কুকুরের অসাধারণ গাঁথা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। লুক্কা নামের সেই কুকুর বিস্ফোরক খোঁজার সময় আহত হয়। বোমা বিস্ফোরণে উড়ে যায় তার সামনের পা। ২০১২ সালের মার্চ মাসে ঘটে এ দুর্ঘটনা। পঙ্গু হয়ে যাওয়া লুক্কাকে তখন দত্তক নেন তার হ্যান্ডলার ক্রিস উইলেনবার্গ। কয়েক বছর পর লুক্কাকে দেওয়া হয় 'ডিকিন মেডেল'—যা প্রাণীদের জন্য ভিক্টোরিয়া ক্রস নামেও পরিচিত।

আমাদের দেশের কোনো ক্যানাইন কুকুর যদি এভাবে আহত হতো, কী করা হতো? অক্ষম, পঙ্গু একটি কুকুর—যাকে নিলামেও তোলা যাবে না—তার কী পরিণতি হতো, তা সহজেই অনুমেয়।

ক্যানাইন ইনস্পেক্টর ফখরুল আলমকে প্রশ্ন করা হয়—কেন এসব ক্যানাইন কুকুরকে বিক্রি করা হয়? কেন কাউকে দত্তক দেওয়া হয় না? কিংবা কেন সরকার এদের দায়িত্ব নেয় না—পোল্যান্ড বা ইংল্যান্ডের মতো কোনো পেনশন ব্যবস্থা চালু করে না?

সদা প্রস্তুত জার্মান শেফার্ড ক্যানাইন।

জবাবে তিনি বলেন, "অবসরপ্রাপ্ত কুকুরদের দায়িত্ব আমাদের কর্তৃপক্ষ নেবে বা এদের কোনো পেনশন সিস্টেম থাকবে—এটা চিন্তা করাই অযৌক্তিক এবং কাল্পনিক। আমাদের তেমন লজিস্টিক সাপোর্ট নেই। হ্যান্ডলাররা চাইলেও দত্তক নিতে পারবে না। আমি নিজে হ্যান্ডলিং করেছি অনেক ক্যানাইন কুকুর। অনেক কুকুরের প্রতিই আমার মায়া জন্মেছে। কিন্তু দত্তক নেওয়ার কোনো পদ্ধতি নেই আমাদের নিয়মে। হ্যান্ডলার ছাড়াও কুকুর পালে বা কুকুর ভালোবাসে—এমন কাউকেও দত্তক দিয়ে দেওয়ার নিয়ম নেই। সবসময়ই বিক্রি করা হয়েছে ক্যানাইন কুকুর।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের কোনো হ্যান্ডলারকে যদি বলেন ক্যানাইন দত্তক নিতে—তখন 'কবি এখানে নীরব'। অর্থাৎ হ্যান্ডলাররা নিজেরাও চাইবেন না দত্তক নিতে। কারণ এগুলো সব বিদেশি কুকুর। এদের যত্ন করা, খাবার দেওয়া, চিকিৎসা করাতে যে খরচ হয় প্রতি মাসে—তা অনেক হ্যান্ডলারের মাসিক বেতনের চেয়েও বেশি। কে নেবে এই দায়িত্ব?"

এসব কারণেই অবসরপ্রাপ্ত কুকুরদের নিলামে তোলাটাই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত সমাধান বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে সরব ছিলেন নেটিজেনরা। তাদের প্রশ্ন—কর্মজীবন শেষ হলে পুলিশের কর্মকর্তাকে কি নিলামে তোলা হয়? তাদের কি বিক্রি করে দেওয়া হয়? তাহলে ফিন, কোরি ও স্যামকে কেন নিলামে তোলা হবে?

কিন্তু নেটিজেনদের আকুতি বা ক্ষোভ—কিছুতেই গায়ে লাগেনি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের। জীবনভর ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে পুলিশকে সহায়তা করা সেই তিন ক্যানাইন কুকুরের নাম উঠেছে নিলামের দরপত্রে। তাদের বিক্রিও হয়ে গেছে।

প্রয়োজন ফুরোলে গুরুত্বও ফুরিয়ে যায়—এ কথা যেমন মানুষের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি সত্য ফিন, কোরি আর স্যামের ক্ষেত্রেও।


ছবি: সংগৃহীত 
 

Related Topics

টপ নিউজ

কুকুর / ফিন, কোরি, স্যাম / বাংলাদেশ পুলিশ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ছবি: ডিএমপি
    হাদি হত্যাচেষ্টায় জড়িত ফয়সালকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা সরকারের
  • এভারকেয়ার হসপিটাল। ফাইল ছবি: বিজনেস ওয়্যার
    হাদির অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’, মস্তিষ্কে মারাত্মক ক্ষতি, চলছে ভেন্টিলেশন: মেডিকেল বোর্ড
  • ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-টু’ অবিলম্বে চালু, এমপি প্রার্থীরা পাবেন অস্ত্রের লাইসেন্স: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
    ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-টু’ অবিলম্বে চালু, এমপি প্রার্থীরা পাবেন অস্ত্রের লাইসেন্স: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি ও দীর্ঘসূত্রতার কবলে চট্টগ্রামের ছয় মেগা প্রকল্প
    ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি ও দীর্ঘসূত্রতার কবলে চট্টগ্রামের ছয় মেগা প্রকল্প
  • ছবি: ডিএমপি
    হাদির ওপর হামলা: সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি প্রকাশ, তথ্য চায় পুলিশ
  • ছবি: সংগৃহীত
    হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

Related News

  • বিদায় ফিন, কোরি ও স্যাম: ৩ অবসরপ্রাপ্ত কে-৯ কুকুর নিলামে তুলছে পুলিশ 
  • জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশের শেষ কনটিনজেন্টকে দেশে ফেরার নির্দেশ
  • কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষায়িত পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের অনুরোধ মার্কিন দূতাবাসের, পুলিশের আপত্তি
  • লতিফ বাওয়ানী জুট মিলের সাড়ে ৬ একর জমি পুলিশকে দিচ্ছে সরকার
  • পালানোর অভিযোগে সাবেক ডিবি প্রধান হারুনসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

Most Read

1
ছবি: ডিএমপি
বাংলাদেশ

হাদি হত্যাচেষ্টায় জড়িত ফয়সালকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা সরকারের

2
এভারকেয়ার হসপিটাল। ফাইল ছবি: বিজনেস ওয়্যার
বাংলাদেশ

হাদির অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’, মস্তিষ্কে মারাত্মক ক্ষতি, চলছে ভেন্টিলেশন: মেডিকেল বোর্ড

3
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-টু’ অবিলম্বে চালু, এমপি প্রার্থীরা পাবেন অস্ত্রের লাইসেন্স: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ

‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-টু’ অবিলম্বে চালু, এমপি প্রার্থীরা পাবেন অস্ত্রের লাইসেন্স: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

4
৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি ও দীর্ঘসূত্রতার কবলে চট্টগ্রামের ছয় মেগা প্রকল্প
বাংলাদেশ

৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি ও দীর্ঘসূত্রতার কবলে চট্টগ্রামের ছয় মেগা প্রকল্প

5
ছবি: ডিএমপি
বাংলাদেশ

হাদির ওপর হামলা: সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি প্রকাশ, তথ্য চায় পুলিশ

6
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab