‘এনসিপির সাথে সম্পৃক্ত নই’ – যে কারণে বললেন উমামা ফাতেমা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী উমামা ফাতেমা বলেছেন, 'আমি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই, ব্যক্তিগতভাবে এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই।'
সম্প্রতি তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে একথা লিখেছেন তিনি।
সেখানে তিনি বলেন, 'সবার উদ্দেশ্যে একটা ছোট ঘোষণা, আমি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির সাথে সম্পৃক্ত নই। আমার অনেক পরিচিত ব্যক্তিবর্গ এই দলটির সাথে আছে। ব্যক্তিগতভাবে এনসিপির সাথে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। তাই এনসিপি সংক্রান্ত পরামর্শ, সাংগঠনিক আলাপ বা প্রস্তাবনা আমার কাছে উপস্থাপন না করার অনুরোধ রইল। এতে আপনার, আমার দুইজনেরই সময় বাঁচবে।'
এমন পোস্ট দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে উমামা বলেছেন, এনসিপিতে যোগ না দিলেও অনেকেই তাঁকে নতুন এই দলের আদলেই দেখার চেষ্টা করেন। সেটি স্পষ্ট করতেই এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
উমামা ফাতেমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি আন্দোলনের ছাত্রসংগঠন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব ছিলেন। অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে যেসব ছাত্রী সম্মুখসারিতে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম উমামা।
অভ্যুত্থানের পর গত বছরের অক্টোবরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করা হয়। এসময় উমামা মুখপাত্রের দায়িত্ব পান। তখন তিনি ছাত্র ফেডারেশনের পদ থেকে অব্যাহতিও নেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যোগ দিলেও— যুক্ত হননি উমামা। তিনি এখনো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় আছেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কাঠামো আবারও পুনর্গঠিত হতে পারে। পুনর্গঠিত কমিটিতে উমামা শীর্ষ পদপ্রত্যাশী, এমন আলোচনা রয়েছে।