সাবেক সিটিটিসি কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় কারাগারে

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)-এর সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ইশতিয়াক আহমেদকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাঙামাটি থেকে গ্রেপ্তারের পর তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
জুলাইতে আন্দোলনকারীদের অবস্থান শনাক্ত করতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ড্রোন উড়িয়ে তথ্য সংগ্রহ করে র্যাব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের কাছে সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে ইশতিয়াক আহমেদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও গুম ও নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইশতিয়াক স্বীকার করেছেন যে, তৎকালীন সিটিটিসি প্রধানের সরাসরি নির্দেশে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নজরদারি ও ভিডিও ধারণের জন্য ড্রোন ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে ভিডিও মুছে ফেলার নির্দেশ এলে তিনি তা পালন করেন।
প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান সাংবাদিকদের জানান, ইশতিয়াক আহমেদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। পুলিশ তাকে রাঙামাটি থেকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, সাবেক বিচারপতি আবু আহম্মেদ জমাদারের ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ। আবু আহম্মেদ জমাদার গত সরকারের মেয়াদ শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।