কুমিল্লায় হামলার প্রতিবাদ ও ৬ দফা দাবিতে আজ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি

ছয় দফা দাবির বাস্তবায়ন ও কুমিল্লার কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার 'রাইজ ইন রেড' কর্মসূচির ডাক দিয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম 'কারিগরি ছাত্র আন্দোলন'। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১১টায় দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটক লাল কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
শুক্রবার রাত ১টার দিকে এক ক্ষুদেবার্তায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. সাব্বির আহমেদ।
তিনি বলেন, 'কুমিল্লায় ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার এখনো নিশ্চিত না হওয়ায় আমরা শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় দেশের প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
তিনি আরও বলেন, 'কারিগরি সেক্টরে চলমান বৈষম্য দূরীকরণ ও ছয় দফা দাবির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে মহাসড়কের দুই পাশে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্ল্যাকার্ড হাতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করব।'
এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় কাফনের কাপড় পরে ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। জুমার নামাজের পর রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট জামে মসজিদ থেকে শুরু হয় তাদের মিছিল।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে ২০২১ সালের 'বিতর্কিত' ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগ বাতিল এবং ওই পদে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে ৩০ শতাংশ কোটা প্রথা বাতিল।
এছাড়া তারা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে খোলা বয়সে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ, দশম গ্রেডে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য পদ সংরক্ষণ, কারিগরি ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকা ব্যক্তিদের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা এবং একটি আলাদা 'কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়' গঠনসহ 'কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন' এবং একটি উচ্চমানের কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে সচিবালয়ে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াসমিনের সঙ্গে আলোচনার পর শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবি নিয়ে কোনো লিখিত আশ্বাস কিংবা দৃশ্যমান অগ্রগতি মেলেনি। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি বলেও জানান তারা।
এর আগের দিনও বুধবার (১৬ এপ্রিল) শিক্ষার্থীরা সারাদেশে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে, যার ফলে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
ওইদিনই আন্দোলনের মুখে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান খানকে পদ থেকে সরিয়ে তাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।