আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হওয়ায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি

ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানি গ্রুপের ১,৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট আজ মঙ্গলবার থেকে পুনরায় উৎপাদনে ফিরেছে। এতে সেখান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতিতে আশাব্যঞ্জক উন্নতি হয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি'র (পিজিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ ওই কেন্দ্র থেকে ১,০৭৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছিল।
এর ফলে সন্ধ্যার চাহিদার সময়েও সারাদেশে মাত্র ৮০ থেকে ১২০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে, যখন চাহিদা ছিল ১৩,৯৪৬ মেগাওয়াট এবং সরবরাহ ছিল ১৩,৮২০ মেগাওয়াট।
বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) আওতায় নির্মিত আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি ইউনিট রয়েছে, যার প্রত্যেকটির উৎপাদন ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল একটি ইউনিট এবং ১২ এপ্রিল অপর ইউনিটটি কারিগরি ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ করে দেয়, যার ফলে সারাদেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি হঠাৎ করে বেড়ে যায়।
রেকর্ড অনুযায়ী, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ ৪২৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছিল, যদিও সাধারণত ছুটির দিনে চাহিদা কম থাকে।
"গত কিছু দিনের মধ্যে এটি ছিল সর্বোচ্চ লোডশেডিং, যেখানে সাধারণত ঘাটতির পরিমাণ ৫০ থেকে ১৫০ মেগাওয়াটের মধ্যে থাকে," বলেন পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, হাসিনা সরকারের করা চুক্তির কারণে বাংলাদেশ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে।