বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিপুল প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ করুন এশিয়ার সেরা গোপন সম্ভাবনায়

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে সিলভানা কাদের সিনহার একটি নিবন্ধ। তিনি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ওষুধ কোম্পানি– অ্যাকমি ল্যাবরেটরিজ প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা হামিদুর রহমান সিনহার নাতনী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষিত একজন আইনজীবী, পাশাপাশি প্রাভা হেলথ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এটি বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল আউটপেশেন্ট সেবাদানের উদ্যোগ। উদীয়মান অর্থনীতির সম্ভাবনাময় বাজারে উচ্চ মানের চিকিৎসা সেবার আরও বিস্তারের লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করে প্রাভা হেলথ। বর্তমানে দেশে পাঁচ লাখের বেশি রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে এই উদ্যোগ। ফোর্বসে প্রকাশিত তাঁর নিবন্ধটি এখানে তুলে ধরা হলো:
বাংলাদেশ — ১৮ কোটিরও বেশি মানুষের দক্ষিণ এশীয় একটি দেশ — আজ বৈশ্বিক অর্থনীতির এক উজ্জ্বল উদীয়মান শক্তি। বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি কয়েক বছর ধরেই ভারতের চেয়ে বেশি। আইএমএফ-এর হিসেব অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ ৭% হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।
এর পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি হলো— আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠী, সম্প্রসারিত মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং দ্রুত নগরায়ন। বিখ্যাত ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ পিটার ড্রকার একসময় বলেছিলেন, "ডেমোগ্রাফিকস আর ডেসটিনি—অর্থাৎ জনসংখ্যাগত বৈশিষ্ট্যই ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। আজ বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের সামনে বিরল সুযোগ এসেছে এই জনসংখ্যাভিত্তিক প্রবণতাকে কাজে লাগানোর।
১৯৫৪ সালে, যখন বাংলাদেশের বর্তমান ভূখণ্ড পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত, আমার দাদু হামিদুর রহমান সিনহা একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন — অ্যাকমি ল্যাবরেটরিজ। এটি আজ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং শীর্ষস্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর একটি, এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।
পঞ্চাশের দশকে, বাজারে প্রচলিত প্রায় ৮০% ওষুধ ছিল ভেজাল এবং বেশিরভাগই ব্যয়বহুল আমদানিকৃত পণ্য। আমার দাদু একটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন যা গুণগতমানসম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ওষুধ উৎপাদন করত। তিনি বারবার সতর্ক করতেন, "যদি আমরা ভোক্তাকে প্রতারণা করি, তবে সেদিনই আমাদের পতন ঘটবে।"
আজ, বাংলাদেশে ওষুধ শিল্প দেশের দ্রুততম বিকাশমান খাত এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গতিশীল খাত হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৬ষ্ঠ বৃহত্তম ঔষধ প্রস্তুতকারী দেশ। দেশের ৯৮% ওষুধের চাহিদা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়, যা আমাদের প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি অর্থনীতিতে পরিণত করেছে।
বাংলাদেশি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো এখন বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে — যার মধ্যে রয়েছে ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত বাজারও।
এই পথচলা শুরু হয়েছিল একজন উদ্যোক্তার হাত ধরে, যিনি বিশ্বাস করতেন সততা ও গুণগতমানই ব্যবসার মূল ভিত্তি। আজ সেই বিশ্বাস একটি জাতীয় শিল্পের মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে। আন্তর্জাতিক আইন ও পররাষ্ট্রনীতিতে একজন সফল মার্কিন আইনজীবী হিসেবে কাজ করার পর, প্রায় এক দশক আগে পেছনে ফেলে আসা পারিবারিক শেকড়ের টানে বাংলাদেশে ফিরে আসি। উদ্দেশ্য ছিলো — প্রাভা হেলথ নামের এক উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। যদিও পরিবারের পেশাগত ঐতিহ্য আমাকে প্রভাবিত করে, তবু এই উদ্যোগের পেছনে ছিল এক গভীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা।
২০১১ সালে ঢাকায় পারিবারিক কাজে একবার ঢাকায় আসি। তখন আমার মা শীর্ষস্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশনের পর জটিলতায় ভুগতে থাকেন। পরবর্তীতে তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে হয় সংশোধনী সার্জারির জন্য। এই অভিজ্ঞতাই আমাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানে এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে। এ থেকেই শুরু আমার নতুন যাত্রা — একজন মার্কিন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আইনজীবী থেকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার।
বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রসার ঘটার সঙ্গে সঙ্গে মানসম্মত চিকিৎসার চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে। ২০১০ সাল থেকে দেশের স্বাস্থ্যখাত গড়ে ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতিকেও ছাড়িয়ে গেছে। সামাজিক উন্নয়নের সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ এখন শীর্ষে — যা জনস্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা প্রমাণ করে।
তবে দেশের স্বাস্থ্য খরচের ৭৫ শতাংশের বেশিই বেসরকারি খাত থেকে আসে — যা পরিবর্তিত ভোক্তা প্রবণতা এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনাকে তুলে ধরে। এমনকি দেশের ৩৭ শতাংশ সাধারণ জনগণও চিকিৎসার প্রথম ধাপেই বেসরকারি খাতের দ্বারস্থ হন। বাজারে অতিরিক্ত চাহিদা এখন স্পষ্ট।
এই বিশাল চাহিদা মেটাতে দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য অবকাঠামো এখনো অনেক পিছিয়ে। প্রতি এক হাজার মানুষের জন্য হাসপাতালের শয্যা মাত্র একটি। পাশাপাশি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ অনুযায়ী দক্ষ চিকিৎসা পেশাজীবীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
স্বাস্থ্যখাতে গুণগত মান ও সামর্থ্য নিশ্চিত করতে হলে, দেশের বর্তমান অবকাঠামোর আমূল পরিবর্তন অপরিহার্য। আর সেই পরিবর্তনের অংশ হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করেছে প্রাভা হেলথ — আধুনিক, সাশ্রয়ী ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত বর্তমানে একটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখাতে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের জন্য বর্তমানে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
১. এখনই সঠিক সময় — আগেভাগেই বিনিয়োগের সুযোগ
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে এখনই বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়। মানসম্মত চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাজারে যে বিশাল ফাঁক রয়েছে, সেটি পূরণ করতে এখনো আগেভাগেই প্রবেশ করা সম্ভব। সরকারও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় নানা প্রণোদনা দিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে ১০০% বৈদেশিক মালিকানার অনুমতি ও করছাড় সুবিধা।
বাংলাদেশে বর্তমানে মাথাপিছু স্বাস্থ্য খরচ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম, তবে ২০৪০ সালের মধ্যে তা দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে — যা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি দুর্লভ সুযোগ।
গত দুই দশকে দেশে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ছয় গুণ বেড়েছে। তবে এখনও মানসম্পন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ার জায়গা অনেক। প্রাভা হেলথ বর্তমানে বাংলাদেশের মাত্র ১১টি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি। অর্থাৎ, প্রতি ১.৬ কোটি বাংলাদেশির জন্য এধরনের মাত্র ১টি নির্ভরযোগ্য সেন্টার রয়েছে, যেখানে ভারতে প্রতি ৫.৭৫ লাখ মানুষের জন্য একটি করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে — এটি বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল বিনিয়োগের সুযোগ।
স্পষ্ট করে বলা যায়, বাংলাদেশের মতো অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণ শুধু চিকিৎসার অভাব নয়, বরং মানসম্মত চিকিৎসার অভাব। আমাদের প্রয়োজন আরও মানসম্পন্ন ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাব, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র — একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য অবকাঠামো। এই খাতে বিনিয়োগ যেমন জরুরি, তেমনি তা দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক বলেই প্রমাণিত হয়েছে। সারা এশিয়াতেই এখন স্বাস্থ্যখাত থেকে কোটি কোটি টাকার অর্জনকারী ব্যবসায়ী উঠে আসছেন। স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলা এখন শুধু জনস্বাস্থ্য রক্ষাই নয় — এটি একটি বুদ্ধিদীপ্ত অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত।
এই বাস্তব চিত্র প্রতিদিনই দেখা যায় প্রাভা হেলথ- এ, যেটি বাংলাদেশের প্রথম মানসম্মত আউটপেশেন্ট 'ওয়ান স্টপ শপ'। এখানে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি কেয়ার, ল্যাব, ইমেজিং, ফার্মেসি, ছোটখাটো সার্জারি — সবই পাওয়া যাচ্ছে ক্লিনিকে কিংবা অনলাইন মাধ্যমে।
বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা এখন হাসপাতাল থেকে সরে আসছে ক্লিনিক ও বাসাভিত্তিক ব্যবস্থায়। বাংলাদেশেও এই পরিবর্তনের সম্ভাবনা প্রবল।
২. স্বাস্থ্যবিমা খাতে বিস্তার
বর্তমানে বাংলাদেশের মাত্র ১% মানুষ কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিমার আওতায় রয়েছে। এটি এক বিশাল সম্ভাবনাময় ও উম্মোচনের অপেক্ষায় থাকা বাজার। একটি কার্যকর ও বিস্তৃত স্বাস্থ্যবিমা ব্যবস্থা তৈরি করতে পারলে— চিকিৎসা ব্যয়ের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যাবে এবং একইসঙ্গে মানুষের চিকিৎসা সেবার প্রবেশাধিকার বাড়বে।
৩. দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী গড়ে তোলা
স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো — দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী তৈরি। এর মধ্যে চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব ও মেডিকেল টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত। শুধু মেডিকেল কলেজ নয়, প্রয়োজন নার্সিং ও টেকনিশিয়ান ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, যা ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য।
৪. ডিজিটাল হেলথ ইনোভেশন কাজে লাগানো
বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা খাত বার্ষিক ১০% হারে বাড়ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এ খাতের বাজারমূল্য ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
প্রযুক্তিই শুধু ভবিষ্যৎ নয়, এটাই এখনকার বাস্তবতা। এটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দ্রুততর করছে, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ও চিকিৎসা সেবা প্রদানকারীদের কার্যক্রম আরও দক্ষ করছে, দূর থেকে রোগ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তীব্র রোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করছে এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মানসম্মত চিকিৎসা পৌঁছে দিচ্ছে।
ডিজিটাল অ্যাক্সেসও দ্রুত বাড়ছে: ২০২২ সালে যেখানে ৩৮% পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করত, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০%-এ। একই সময়ে ব্যক্তিগত ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ৩৭% থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৬%।
পরিশেষে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত এখন একটি সম্ভাবনার বিশাল দিগন্ত। যাঁরা আগেভাগে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত, তাঁদের জন্য এটি হতে পারে একটি যুগান্তকারী বিনিয়োগের ক্ষেত্র — যা একযোগে সমাজ, অর্থনীতি ও ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে বদলে দিতে পারে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত: এশিয়ার বিনিয়োগ সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত
এ মুহূর্তে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত এশিয়ার অন্যতম সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ ক্ষেত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এখানে একদিকে যেমন রয়েছে উন্নত সেবার জন্য উৎসুক বিশাল জনগোষ্ঠী, অন্যদিকে তেমনি রয়েছে বেসরকারি অংশগ্রহণে উৎসাহী সরকার — আর সেইসঙ্গে রয়েছে একটি বাজার, যেখানে চাহিদা প্রতিনিয়ত সরবরাহকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় বিচক্ষণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এখনই সময় — ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যসেবা গড়ে তোলার এবং এক অর্থবহ ব্যবসা নির্মাণের।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ শুধুমাত্র একটি লাভজনক ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নয় — এটি একটি বিচক্ষণ, আকারে বর্ধিতকরণের সুযোগযোগ্য এবং বহুল প্রতীক্ষিত উদ্যোগ। যারা এখন এগিয়ে আসবেন, তাদের লাভ শুধুমাত্র আর্থিক মুনাফায় সীমাবদ্ধ থাকবে না — বরং তা পরিমাপ হবে কোটি মানুষের জীবনে আনা ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে।