ইকবালের জব্দ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংককে ১.৫ কোটি টাকা জরিমানা

প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এইচ বি এম ইকবালের জব্দ করা অ্যকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে ব্যাংকটিকে প্রায় ১.৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
একইসঙ্গে এই ঘটনায় ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে বিএফআইইউ।
বিএফআইইউ থেকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো এক চিঠির তথ্যানুসারে, ব্যাংকটিকে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা ও ৩০ হাজার ডলার সমপরিমাণ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ফলে মোট জরিমানা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএফআইইউয়ের নির্দেশনা লঙ্ঘন ওই টাকা তোলা হয়েছে।
বিএফআইইউ সূত্র টিবিএসকে জানিয়েছে, 'সম্প্রতি জব্দ করা অ্যাকাউন্ট খোলার দায়ে ব্যাংকটিকে জরিমানা করা হয়েছে। তবে অ্যকাউন্ট থেকে যে পরিমাণ টাকা তোলা হয়েছে, সমপরিমাণ টাকাই জরিমানা করা হয়।'
প্রিমিয়ার ব্যাংকের এমডি ও সিইও মোহাম্মদ আবু জাফর এবং এএমডি ও সিএএমএলসিও শামসুদ্দিন চৌধুরী দুজনের কেউই এই বিষয়ে টিবিএসের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবাল, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পী ও তাদের তিন সন্তানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। এই তিন সন্তান হলেন মঈন উদ্দিন ইকবাল, ইকরাম ইকবাল ও নওরীন ইকবাল। সন্তানদের মধ্যে মঈন ও ইকরাম প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক।
প্রিমিয়ার গ্রুপের ইকবাল ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রিমিয়ার গ্রুপের অধীনে পাঁচ-তারকা হোটেলের পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট, সিমেন্ট উৎপাদন, মেডিকেল সেন্টারসহ নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে।
দেশে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন ইকবাল।
ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ২০১১ সালে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে বাগিয়ে নেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।