সিলেটে ৮০০ জনকে আসামি করে বাটার মামলা, লুট হওয়া জুতাসহ গ্রেপ্তার আরও ২

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের সময় সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে।
বুধবার রাতে বাটার এরিয়া ম্যানেজার মোস্তাসিম বিল্লাহ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাতনামা প্রায় ৮০০ জনকে আসামি করা হয়। এদিকে, বাটা থেকে লুট হওয়া জুতাসহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ নিয়ে এই ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলায় এ পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, বর্বরতার প্রতিবাদে বর্বরতা করা যাবেনা। বিশৃঙ্খলা ও লুটপাটের দায়ে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। বাকিদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তিনি বলেন, বুধবার মধ্যরাতে নগরীর হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে লুট করা ২ জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঝালকাঠি জেলার আলিপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. রাকিব মিয়া (১৯) এবং মাদারীপুর জেলার তাঁতিহাটি গ্রামের মো. জুয়েল শেখের ছেলে মো. বাবু শেখ (১৮)।
ওসি বলেন, তারা দুই জন ভবঘুরে। এই জুতা জোড়া তারা দরগাহ গেইট এলাকাস্থ বাটার শো-রুম থেকে লুট করেছিলো।
এর আগে সোমবার নগরীর মীরবক্সটুলা এলাকার রয়েলমার্ক হোটেল ভাঙচুর ও নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার লুটপাটের ঘটনায় হোটেলের ম্যানেজার (অপারেশন) আব্দুল মতিন সরকার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি হোটেলের ২০-২৫ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
পাশাপাশি রয়েলমার্ক হোটেলের দ্বিতীয় তলায় ছিল কেএফসি। মামলার এজহারে তিনি কেএফসিতে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টিও উল্লেখ করেন।