অষ্টমীর স্নানোৎসবে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে পুন্যার্থীদের ঢল

নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমীর স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাপমোচনের আশায় ব্রহ্মপুত্র নদে ডুব দিতে জড়ো হন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত লাখো ভক্ত ও পুন্যার্থী। তাদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয় কঠোর ব্যবস্থা।
সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এ স্নান অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার (৪ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে লগ্ন মেনে শুরু হয় স্নানোৎসব।
লাঙ্গলবন্দের ২০টি স্নানঘাটে ভিড় করেন ভক্তরা। স্নানের মাধ্যমে পাপমুক্তি ও ব্রহ্মার সন্তুষ্টি লাভের বিশ্বাসেই বহু বছর ধরে এখানে আসছেন তারা।
স্নানোৎসব ঘিরে নদীর পাড়ে থাকা মন্দিরগুলোতে চলে পূজা-অর্চনা ও ধর্মীয় সংগীত। প্রতিটি ঘাটে ছিল পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, পোশাক পরিবর্তনের স্থান এবং শৌচাগারের ব্যবস্থা। আয়োজকদের ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অনেকে।
কুমিল্লা থেকে আসা বনি দাস বলেন, 'প্রতিবছরই এখানে স্নানে আসি। রাস্তায় কিছু যানজট ছিল। ভগবানের কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন সবার মঙ্গল করেন, দেশে হানাহানি বন্ধ হয়।'
নারায়ণগঞ্জ শহরের গৃহবধূ শ্রদ্ধা পাল বলেন, 'সবার মঙ্গল চাই। ভগবান যেন সবাইকে সুস্থ রাখেন। এবার নিরাপত্তা ও আয়োজন আগের চেয়ে অনেক ভালো।'
লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক জয় কে. রায়চৌধুরী বলেন, 'পুণ্যার্থীরা যেন ধর্মীয় নিয়ম মেনে স্নানোৎসব পালন করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই আমাদের চেষ্টা। প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি। সরকার যেভাবে খেয়াল দিয়েছে, সেজন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।'
সকাল ১১টায় স্নানোৎসব পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম। তিনি আয়োজকদের কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সকালে স্নানোৎসবকে কেন্দ্র করে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় আট কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা যায়। বন্দরের কেওঢালা থেকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া পর্যন্ত এই যানজট সৃষ্টি হলেও বেলা বাড়তেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।