রীনা আর আমার বিয়ে বরবাদ করে দিয়েছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ: আমির খান

খুব অল্প বয়সেই বিয়ে করেছিলেন আমির খান ও রীনা দত্ত। সে সময় আমিরের বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর। প্রথমে প্রতিবেশী হিসেবে একে অপরের জানাশোনা শুরু, এরপর ক্রমে তা প্রেমে বদলে যায়। প্রতিবেশি হলেও দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক মধুর ছিল না।
বিশেষ করে রীনার মা তাকে আমিরের সঙ্গে আর দেখা না করার প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য করেন।
এই বাধা অতিক্রম করে, আমির ও রীনা গোপনে কোর্ট ম্যারেজ করেন। তখনও আমিরের প্রথম ছবি 'কেয়ামত সে কেয়ামত তক' মুক্তি পায়নি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমির খান তাদের সেই গোপন বিয়ে এবং পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ কীভাবে তার বিয়ের দিনটি মাটি করে দিয়েছিলেন সে সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেন।
আমির বলেন, 'আমরা পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম, তারপর বাড়ি ফিরে আসি এমনভাবে, যেন কিছুই হয়নি আমরা ভাবছিলাম, সবাই জিজ্ঞেস করবে—'এতক্ষণ কোথায় ছিলে?'
'কিন্তু সেদিন ছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ, সবাই এতটাই ম্যাচে ডুবেছিল যে কেউ বুঝতেই পারেনি যে আমরা সারা দিন বাড়িতে ছিলাম না।'
সেই ম্যাচই আমিরের জন্য বিষাদের কারণে পরিণত হয়।
তিনি বলেন, 'সেই দিনটা ছিল সেই ঐতিহাসিক ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। যেখানে শেষ বলে জাভেদ মিয়াঁদাদ ছক্কা মেরে ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। সেদিন আমরাই জিতছিলাম, তাই কারো মনেই পড়েনি আমাদের খোঁজ নেওয়ার কথা। আমিও বাড়ির সবার সঙ্গে বসে ম্যাচ দেখছিলাম, কিন্তু জাভেদের সেই ছক্কা আমার দিনটা একেবারে বরবাদ করে দিল।'
আমির আরও জানান, "একবার বিমানে জাভেদ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়। আমি বলি, 'জাভেদ ভাই, আপনি ঠিক করেননি। আপনি আমার বিয়েটা বরবাদ করে দিয়েছেন।' উনি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেন, 'কীভাবে?' তখন আমি বলি, 'সেদিন আপনি ছক্কা মেরেছিলেন। আর আমি ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম'।''
পরে তাদের গোপন বিয়ের কথা জানতে পেরে রীনার পরিবার মোটেও খুশি হয়নি। এমনকি রীনার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তবে এই ঘটনাই শেষ পর্যন্ত দুই পরিবারকে কাছাকাছি আনে।
পরে রীনার পরিবার বিয়েটি মেনে নেয় এবং তাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। পরবর্তীতে রীনার ভাই বিয়ে করেন আমিরের বোন ফারহাতকে।
তবে ২০০২ সালে আমির ও রীনার মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
সম্প্রতি আমির খানকে দেখা গেছে তার নতুন ছবি 'সিতারে জমিন পর'-এ, যা মুক্তি পেয়েছে গত ২০ জুন।
আর.এস. প্রসন্ন পরিচালিত এই হৃদয়স্পর্শী স্পোর্টস কমেডি-ড্রামা ছবিটি আমিরের ২০০৭ সালের কালজয়ী ছবি 'তারে জমিন পর'-এর উত্তরসূরি। এই ছবিতে আরও আছেন জেনেলিয়া দেশমুখ ও ১০ জন নতুন অভিনয়শিল্পী। ছবিটি বক্স অফিসে ভালো সাড়া ফেলেছে।