রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে জনগণকে দাঁড় করানো যাবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, জনগণকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো উচিত নয়।
শনিবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইল থেকে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি বলেন, 'কোনোভাবেই রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে জনগণকে দাঁড় করানো যাবে না।'
আওয়ামী লীগকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টার অভিযোগে হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর এবং বিক্ষোভের সূত্রপাতের পর এই মন্তব্য করলেন মাহফুজ।
হাসনাত একটি সাক্ষাৎকারের ২৮ সেকেন্ডের ট্রেলার ভিডিও-ও পোস্ট করেছেন। তাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া দাবি করেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগে সেনাপ্রধানের ভেটো (আপত্তি) ছিল।
আসিফ পরে তার ফেসবুক পেজ থেকে ১৭ মিনিটের পুরো সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছেন।
আজকের পোস্টে মাহফুজ বলেন, 'রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজাতে আমরা গত কয়েকমাস কাজ করেছি। খুবই জটিল প্রক্রিয়া ছিল সব প্রতিষ্ঠানে আস্থা ও সক্রিয়তা ফেরত আনা। শক্তিশালী, জবাবদিহিমূলক এবং কার্যকর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়া আমরা এগুতে পারব না।'
এছাড়া পুনর্গঠিত বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানই অন্তর্বর্তী সরকারের 'গুড পারফরম্যান্সের ভিত্তি' বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, সরকার ইতিমধ্যেই অনেক প্রাতিষ্ঠানিক অপরাধীদের শাস্তি, পদচ্যুতির এবং বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে বিচারের আওতায় এনেছে। আরও মামলা তদন্তের অপেক্ষায় রয়েছে। 'এছাড়া সব প্রতিষ্ঠানকেই নিজেদের হাত পরিষ্কার করতে হবে।'
মাহফুজ আরও লেখেন, 'দেড় দশকের ফ্যাসিবাদ অনেক কলকব্জা রেখে গেছে। সেগুলো সংস্কার ও বদলানোর প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক হতে হবে।
'ঐক্য রিকারেন্ট হোক, ভায়োলেন্স না। স্থিতিশীল রাষ্ট্রে আমরা সংস্কার ও বিচারের কাজ আরও দ্রুততার সাথে করতে পারব।'
এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছিলেন, ১১ মার্চ ক্যান্টনমেন্টে এক বৈঠকে তাকে এবং আরও দুইজনকে আসন সমঝোতা এবং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
হাসনাত অভিযোগ করেন, 'রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ' তৈরির এই পরিকল্পনা 'পুরোপুরি ভারতের'। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন, তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। 'আমাদেরকে আরো বলা হয়—"রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ" যাদের দিয়ে করা হবে, তারা এপ্রিল-মে থেকে শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে, হাসিনাকে অস্বীকার করবে এবং তারা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করবে এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে।'