ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা ভালোভাবে এগোচ্ছে: হোয়াইট হাউস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন। এ ফোনালাপে তিনি যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে এবং তিন বছর ধরে চলা সংঘাতের আরও স্থায়ী অবসানের দিকে অগ্রসর হতে রাজি করানোর চেষ্টা করবেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের বৃহত্তম এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। এই যুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন, লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পরে থেকে ইউক্রেনীয় শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
পুতিন গত সপ্তাহে বলেছিলেন, তিনি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য ওয়াশিংটনের প্রস্তাবকে নীতিগতভাবে সমর্থন করেন। তবে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত তার বাহিনী লড়াই চালিয়ে যাবে।
তবে ট্রাম্প আশা করছেন, তিনি পুতিনকে যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তি পরিকল্পনার দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য রাজি করাতে পারবেন। তিনি সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তি পরিকল্পনার কিছু দিক নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর মধ্যে কিয়েভের কিছু ভূখণ্ড ছাড় দেওয়া এবং একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
ট্রাম্প গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, চূড়ান্ত চুক্তির অনেক অংশে একমত হওয়া গেছে। তবে এখনও অনেক কিছু বাকি আছে।
তিনি আরও বলেছেন, (সংঘাতে) প্রত্যেক সপ্তাহে দুপক্ষেরই আড়াই হাজার সৈন্য মারা যাচ্ছে। এটি এখনই বন্ধ হওয়া উচিত।
এর আগে ক্রেমলিন জানিয়েছিল যে ট্রাম্প ও পুতিন যুদ্ধ শেষ করা এবং রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা করবেন এবং যতটুকু প্রয়োজন মনে করবেন ততটুকু সময় তারা কথা বলবেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারির একটি ফোনালাপ ও দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আলোচনার মধ্য দিয়ে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে ইতিমধ্যে একটি 'নির্দিষ্ট বোঝাপড়া' হয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'তবে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও স্বাভাবিক করা এবং ইউক্রেনের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে এখনও অনেক প্রশ্ন বাকি রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে দুই প্রেসিডেন্টকে আলোচনা করতে হবে।'