এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বৈদেশিক ঋণে খরচ বাড়বে: ফাহমিদা খাতুন

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, এলডিসি তালিকা থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার খরচ বেড়ে যাবে।
আজ শনিবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি-র আয়োজনে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, 'অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের ক্ষেত্রে আমরা গ্রেস পিরিয়ড পাই বা কম সুদ ধরা হয়। গ্র্যাজুয়েট হয়ে গেলে গ্রেস পিরিয়ড কমে যাবে। একইসঙ্গে কম্পিটিটিভ ইন্টারেস্ট রেট পেমেন্ট করতে হবে। ফলে আমাদের খরচ বেড়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের আগে থেকেই চিন্তাভাবনা করা উচিত।'
বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে রিটার্ন নিয়ে পরিকল্পনা থাকা উচিত মন্তব্য করে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, 'বিগত ১৬ বছরের মতো যদি এখনও ঋণ দিয়ে দুর্নীতি এবং অপচয় করতে থাকি, তাহলে বৈদেশিক ঋণ রিপেমেন্ট নিয়ে আমাদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। ঋণ নেওয়ার সময়েই সেটার ব্যবহার ও রিটার্ন সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে ঋণ ব্যবস্থাপনা ভালো না হলে আমরা ঋণের ফাঁদে পড়তে পারি।'
ম্যানিপুলেটেড তথ্য কীভাবে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা যায়, বাংলাদেশ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ উল্লেখ করে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, 'আগে বিভিন্ন উপায়ে ডেটা ম্যানিপুলেশন করা হয়েছে। আমরা বড় জিডিপি দেখতাম, কিন্তু সেটা কোথা থেকে আসছে আমরা জানতাম না। কারণ উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ছিল না। যদিও বিবিএস পরবর্তীতে ডাটা ম্যানিপুলেশনের কথা স্বীকার করেছে।'
এলডিসি থেকে উত্তরণের দেশের অর্থনীতি টেকসই ও মসৃণ থাকবে কি না, সেটাই মূল আলোচনার বিষয় মন্তব্য করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, 'আমাদের ট্যারিফ নীতি ও বাণিজ্য নীতি নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে। রপ্তানিতে যে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, এটি চালু রাখা যাবে কি না সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। এছাড়া দেশের শিল্পগুলোকে প্রথমদিকে শুল্কছাড় দেওয়ার গুরুত্ব থাকলেও বছরের পর বছর শুল্কছাড় থাকা উচিত নয়। এটা বন্ধ করতে হবে।'