ধর্ষণবিরোধী গণপদযাত্রায় পুলিশের বাধা, লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ

নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের গণপদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় স্মারকলিপি জমা দিতে যাওয়ার পথে রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে মিছিলটি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগুতে চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয় এবং দু'পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে যমুনা অভিমুখে রওনা হন বিক্ষোভকারীরা। মিছিল থেকে তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেন এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের সব ঘটনার বিচারের দাবি জানান।

আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের যৌক্তিক দাবির বিপরীতে পুলিশ আওয়ামী লীগের আমলের মতো মারমুখী আচরণ করছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে পুলিশি হামলার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ তাদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘ মল্লার বসু দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডাকে বলেন, আমাদের স্বারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ছিল। কিন্তু পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আমাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার মধ্যে পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে দুজনকে সিভিয়ারলি ইনজুর্ড করে। এছাড়া আমিসহ ১০-১২ আঘাতপ্রাপ্ত হই।
জানতে চাইলে রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ থেকে যমুনার দিকে আসছিলেন। পুলিশ ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড়ে তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

এর আগে একই ঘটনায় আজ বেলা সাড়ে ১১টায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নেন রাজধানীর ৩০ কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন।