নিজস্ব সব শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিলেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি'র সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক জুবায়দুর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) -এর মাধ্যমে তার হাতে থাকা সব শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ডিএসই-তে দাখিল করা ঘোষণায় তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বাজারদরে পাবলিক মার্কেটে তিনি ১ লাখ ৪৯ হাজার শেয়ার বিক্রি করবেন। বুধবার ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমাপনী দর ছিল ৪২ টাকা ৮০ পয়সা। এ হিসাবে বিক্রির মোট অংক দাঁড়াবে প্রায় ৬৪ লাখ টাকা।
এদিন ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর ০.৪৭ শতাংশ বেড়ে ৪২ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন শেষ হয়।
গত ২৩ জুলাই ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পদত্যাগের পর তার স্থলাভিষিক্ত হন জুবায়দুর রহমান। এর আগে, চলতি বছরের ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পরিচালক হিসেবে মনোনীত করে, এবং তিনি এপ্রিল মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন।
ব্যাংকের এপ্রিল মাসের মাসিক শেয়ারহোল্ডিং রিপোর্টে তার নামে কোনো শেয়ার দেখানো হয়নি। কিন্তু জুলাই মাসের রিপোর্টে দেখা যায় তিনি ১ লাখ ৪৯ হাজার শেয়ারের মালিক।
ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা টিবিএসকে জানান, জুবায়দুর রহমান এক দশকেরও বেশি আগে শেয়ারগুলো কিনেছিলেন। তবে নথিপত্রে অসঙ্গতির কারণে সেগুলো আগের রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। পরবর্তীতে বিষয়টি সমাধান হয় এবং শেয়ারগুলো তার নামে নথিভুক্ত করা হয়।
এদিকে ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ইসলামী ব্যাংক আগের বছরের তুলনায় ৮১ শতাংশ কম সমন্বিত নিট মুনাফা দেখিয়েছে। একই সময়ে খেলাপি ঋণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশে, যেখানে ২০২৩ সালে তা ছিল মাত্র ৩ শতাংশ।
খেলাপি ঋণের এ নজিরবিহীন বৃদ্ধি ৬৯ হাজার ৭৭০ কোটি টাকার নিরাপত্তা সঞ্চিতি ( প্রভিশন) ঘাটতি তৈরি করেছে। এ কারণে ব্যাংকটি ২০২৪ সালে কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারেনি।
চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা দাঁড়ায় ৬৭ কোটি ৪০ লাখ টাকায়, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩৫৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস কমে দাঁড়িয়েছে ৪২ পয়সায়, যা এক বছর আগে ছিল ২.২২ টাকা।