পুঁজিবাজারে সালমানের ওপর নিষেধাজ্ঞার পর বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুরের শেয়ারে দরপতন

সালমান এফ রহমান ও তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানের ওপর নিয়ন্ত্রক সনংস্থা পুঁজিবাজারে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর গতকাল বেক্সিমকো গ্রুপের দুটি তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ারদরে পতন ঘটেছে।
সালমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান। তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো গ্রুপের তিনটি কোম্পানির মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারদর গতকাল ৫.১১ শতাংশ কমে ১১৩.২০ টাকায় নেমে আসে এবং শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ারদর ২.৯০ শতাংশ কমে ২০.১০ টাকায় দাঁড়ায়। ফ্লোর প্রাইসের কারণে পতন থেকে রক্ষা পেয়ে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বেক্সিমকো) শেয়ারদর ১১০.১০ টাকায় অপরিবর্তিত ছিল।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জানায়, সালমান, তার ছেলে শায়ান ও বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের ওপর আজীবনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আইএফআইসি আমার বন্ডের মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহে অনিয়মের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্ডটি বেক্সিমকোর কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশিপ ইস্যু করলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে, আইএফআইসি ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে।
২০২৩ সালে এ বন্ড ইস্যু করার সময় সালমান আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং শায়ান ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বিএসইসি তাদের যথাক্রমে ১০০ কোটি ও ৫০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। সেইসঙ্গে ঘটনাটিকে 'আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড'-সংক্রান্ত বিনিয়োগকারী প্রতারণার অন্যতম গুরুতর ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছে।
শরিয়াহভিত্তিক বন্ড 'বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক'-এর মাধ্যমে ৩ জাকার কোটি টাকা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও আইন লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।