শেয়ারবাজার ও ঋণ জালিয়াতি: সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৫ মামলা
শেয়ারবাজারে জালিয়াতি ও ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
মামলায় সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ান ফজলুর রহমান ও তার ভাই এ এস এফ রহমান আসামি হয়েছেন। এ এস এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানও মামলার আসামির তালিকায় রয়েছেন। এছাড়া জনতা ব্যাংকের ১২ কর্মকর্তাসহ মোট ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিচালক ইকবাল আহমেদ, এ বি সিদ্দিকুর রহমান, মাসুদ ইকরামুল্লাহ খান, শাহ মঞ্জুরুল হক, রীম এইচ শামসুদ্দোহা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কাওসার চৌধুরী, স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেডের এমডি আনোয়ারুল বাশার, পরিচালক নাসরিন আহমেদ, ক্রিসেন্ট অ্যাক্সেসরিজ লিমিটেডের এমডি আবু নাঈম মাহমুদ সালেহিন, পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তানভীর, প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেডের এমডি মোহাম্মদ আলিফ ইবনে জুলফিকার, মোসা. নুসরাত হায়দার, নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন খান মজলিস, পরিচালক আব্দুর রউফ, কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেডের এমডি মাহফুজুর রহমান খান, পরিচালক সৈয়দ তানভীর এলাহী, পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেডের এমডি ওয়াসীউর রহমান ও পরিচালক রিজিয়া আক্তার।
জনতা ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তা আসামি হয়েছেন তারা হলেন- প্রধান কার্যালয়ের সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুর রহিম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম, ডিজিএম (অব.) মো. মমতাজুল ইসলাম, সিনিয়র অফিসার রফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক সালেহ আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক এজিএম মোহাম্মদ শাজাহান, ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবির ঢালী ও ম্যানেজার শ. ম. মাহাতাব হোসাইন বাদশা।
দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, 'আসামিদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাৎ এবং হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে আসে।'
মামলাগুলোর এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ গ্রহণ করে সর্বমোট ২১ কোটি ৫৫ লাখ ২৮ হাজার ৮০১ মার্কিন ডলার (প্রতি ডলার ৯০ টাকা হারে ১ হাজার ৯৩৯ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ৯৪ টাকা) জনতা ব্যাংক পিএলসি থেকে আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।
