Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
December 15, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, DECEMBER 15, 2025
নারকেল: মানবসভ্যতার প্রাচীন সঙ্গী

ইজেল

সৈয়দ মূসা রেজা
28 September, 2025, 10:25 pm
Last modified: 28 September, 2025, 10:30 pm

Related News

  • ফটকাবাজির আদ্যোপান্ত
  • কোক না পেপসি?
  • যুদ্ধ যখন পুঁজির খেলা: লেনিন ও হবসনের চোখে সাম্রাজ্যবাদ
  • আদর্শ পৃথিবীর খোঁজে: অর্থনীতির চোখে মানুষের আকাঙ্ক্ষা আর অসম্ভবকে সম্ভব করার গল্প
  • অদৃশ্য হাত: মানুষের স্বার্থ আর সমাজ গড়ে ওঠার দীর্ঘ অনুচ্চারিত কাহিনি

নারকেল: মানবসভ্যতার প্রাচীন সঙ্গী

হাজার বছরের বেশি সময় ধরে নারকেলগাছ মানবসভ্যতার ইতিহাসে জড়িয়ে আছে। কখনো উপকূলের ঝড়ঝঞ্ঝায় আশ্রয় দিয়েছে, কখনো খিদে নিবারণ করেছে, কখনো আবার কাঠামো বানানোর উপকরণ হয়েছে। তাই তো অসংখ্য সংস্কৃতি একে বলেছে ‘জীবনের বৃক্ষ’ বা ট্রি অব লাইফ।
সৈয়দ মূসা রেজা
28 September, 2025, 10:25 pm
Last modified: 28 September, 2025, 10:30 pm
ঘোড়ার পিঠে ডাব ও নারকেল, ফিলিপাইন।

ছোটবেলায় ধাঁধা ধরা হতো—ডাব না খেলে কী হয়? উত্তরটি আপাতত তুলে রাখছি শেষের জন্য। তার আগে বরং ঘুরে আসি কবি আল মাহমুদের শিশুতোষ কবিতা না ঘুমানোর দল থেকে—

'নারকেলের ঐ লম্বা মাথায়
হঠাৎ দেখি কাল
ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে
ঠান্ডা ও গোলগাল।'

কবিতার এই ডাবসদৃশ চাঁদ যেমন শিশুমনে বয়ে আনে বিস্ময়, তেমনি রুপালি পর্দায় ভেসে ওঠে নারকেলসদৃশ এক বন্ধুত্বের গল্প। ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র 'কাস্ট অ্যাওয়ে' আমাদের দেখিয়েছে টম হ্যাঙ্কস অভিনীত নায়ক চাক নোল্যান্ডকে, যে এক দুর্ঘটনায় ফেডএক্স কার্গো বিমান সাগরে বিধ্বস্ত হলে একা ভেসে গিয়ে আশ্রয় নেন এক নির্জন দ্বীপে।

চার বছরের সেই একাকী জীবনে চারপাশে শুধু নির্জন সমুদ্র, মাথার ওপর জ্বলন্ত সূর্য আর অজানা ভয়। অসহায় সেই সময়ে সে খুঁজে পায় এক অদ্ভুত সঙ্গী—কার্গো থেকে ভেসে আসা এক ভলিবল। রক্তমাখা হাতের ছাপ দিয়ে তাতে আঁকা হয় মুখ, নাম রাখা হয় 'উইলসন'। দিনের পর দিন সেই জড়বস্তুটিই হয়ে ওঠে চাকের একমাত্র বন্ধু, তার সঙ্গী-সাথী, বেঁচে থাকার মানসিক অবলম্বন।

দর্শক জানেন, এটি কেবল এক বল। তবু নায়ক আর দর্শক দুজনের কাছেই উইলসন হয়ে ওঠে এক জীবন্ত বন্ধু। এই রূপকথার মতো বাস্তবতায় লুকিয়ে আছে এক গভীর সত্য, মানুষ কখনোই সম্পূর্ণ একা বাঁচতে পারে না। প্রকৃতি কিংবা জড়বস্তু, যেকোনো কিছুর সঙ্গেই সে বন্ধন তৈরি করে নেয়।

এই বন্ধুত্বের ইতিহাসেই আমরা পাই নারকেলকে। রুপালি পর্দার উইলসনের মতোই বাস্তব পৃথিবীতে মানবসভ্যতার চিরন্তন সঙ্গী হয়ে উঠেছে নারকেল। দ্বীপে, সমুদ্রতীরে, উপকূলে কিংবা উষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্যে, নারকেল মানুষের খাদ্য, আশ্রয়, জ্বালানি ও আত্মিক সান্ত্বনার উৎস।

এ কারণেই নারকেলগাছকে বলা হয় 'লাইফ ট্রি'বা জীবন বৃক্ষ। পৃথিবীর বহু উপকূলীয় সভ্যতায় মানুষের বেঁচে থাকার ইতিহাসে নারকেল কেবল খাদ্য নয়, বরং আশ্রয়দাতা ও নির্ভরতার প্রতীক। যেমন, চাক  নোল্যান্ডের নির্জন দ্বীপে উইলসন হয়ে উঠেছিল তার একমাত্র ভরসা, তেমনি মানবসভ্যতার দীর্ঘ অভিযাত্রায় নারকেল হয়ে আছে মানুষের নিঃশব্দ সহযাত্রী। সমুদ্রপথে ভেসে ভেসে, নাবিকদের হাতে হাত রেখে, যুগের পর যুগ নারকেল ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর উপকূলজুড়ে।

একটি ডিজিটাল বাংলা অভিধানে নারকেলকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এভাবে—'ক্রান্তীয় অঞ্চলে জাত মঞ্জরিপত্রের (Spadix) ফুল, পালকসদৃশ বড় পাতা ও দীর্ঘ কাণ্ডবিশিষ্ট শাখাহীন চিরহরিৎ বৃক্ষ বা তার খোলায় আবৃত ডিম্বাকৃতি ফল; যার মধ্যে সঞ্চিত জল উপাদেয় পানীয় এবং শাঁস খাদ্যরূপে আদৃত, নারকেল।'

কিন্তু অভিধানের সংজ্ঞার চেয়েও নারকেল বহন করে গভীরতর এক কাহিনি। মানুষের বেঁচে থাকা, অভিযাত্রা আর সংস্কৃতির চিরন্তন বন্ধু হয়ে ওঠার ইতিহাস।

নারকেলের প্রাচীন উৎস

'উইলসন' যেমন এক পরিত্যক্ত মানুষের নিঃসঙ্গতায় প্রাণের প্রতীক হয়েছিল, তেমনি নারকেলও হাজার বছরের মানবযাত্রায় হয়ে উঠেছে টিকে থাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন। বাণিজ্যের হাতিয়ার। আচার-অনুষ্ঠানের উপাদান আর সংস্কৃতির মূর্ত প্রতীক। একসময় আরব বণিকদের নৌকায় চেপে এটি ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে, আফ্রিকার তীরে, আর পরবর্তী সময়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে। এখনো নারকেল একই সঙ্গে খাদ্য ও আশ্রয়ের, ধর্মীয় উৎসব ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের অটুট সঙ্গী হয়ে আছে।

নারকেলের বিশ্বভ্রমণ: ইতিহাস, বাণিজ্য আর স্বাদের গাঁথা

মুখে মুখে প্রচলিত লোকগাঁথায় বলা হয়, সাগরতীরে ছায়ায় ছায়ায় হাঁটতে হাঁটতে মাথায় হঠাৎ ঝপ করে একটা নারকেল পড়ল এক লোকের। ব্যাথায় কাতর হয়ে সে বলল, 'বাপ রে! স্বর্গের ফল যদি এমন হয়, তবে নরকের শাস্তিই বা কেমন হবে?' সত্যি সত্যিই নারকেলের রয়েছে এই অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য, উঁচু গাছ থেকে সোজা মাটিতে পড়লেও ভেতরের পানি ও শাঁস বেশির ভাগ সময় অক্ষত থাকে। মানুষকে বারবার অবাক করেছে। নারকেল যেন একাধারে আশীর্বাদও, আবার ধাঁধাও।

নারকেলের পথরেখা।

জীবন বৃক্ষের কিংবদন্তি

হাজার বছরের বেশি সময় ধরে নারকেল গাছ মানবসভ্যতার ইতিহাসে জড়িয়ে আছে। কখনো উপকূলের ঝড়ঝঞ্ঝায় আশ্রয় দিয়েছে, কখনো খিদে নিবারণ করেছে, কখনো আবার কাঠামো বানানোর উপকরণ হয়েছে। তাই তো অসংখ্য সংস্কৃতি একে বলেছে 'জীবনের বৃক্ষ'বা ট্রি অব লাইফ। কারণ একটাই, এই এক গাছেই আছে খাদ্য, পানীয়, তেল, আঁশ থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি বানানোর উপকরণ।

আজ পৃথিবীর প্রায় সব উপক্রান্তীয় উপকূলে নারকেল জন্মায়। কিন্তু ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি ২০১১ সালে জেনেটিক পরীক্ষায় জানতে পারে, নারকেলের আদি নিবাস ভারতবর্ষ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। সেখান থেকে এই বাদামসদৃশ ফল নিজের ভাসমান সক্ষমতায় স্বয়ংসম্পূর্ণ ভ্রমণকারী হয়ে দুই গোলার্ধেই ছড়িয়ে পড়ে।

বণিকের হাতে ভ্রমণ

তবে ইতিহাসবিদেরা একমত যে নারকেল শুধু সাগরে ভেসে ভেসে নয়, মানুষের হাতে হাতেও ছড়িয়েছে। বিশেষত আরব সমুদ্রযাত্রী ব্যবসায়ীরাই প্রায় দুই হাজার বছর আগে ভারত থেকে পূর্ব আফ্রিকায় নারকেল নিয়ে যান। তারা ফলটির নাম দিয়েছিলেন ঝাওঝাত আল-হিন্দ অর্থাৎ 'হিন্দের আখরোট। এই নাম আজও আরবিতে টিকে আছে।

নারকেলের আধুনিক নামের সূত্র মেলে আরেক ভাষায়। পর্তুগিজরা এটিকে বলত কোকুরুতো, মানে 'মাথার মুকুট'। এ শব্দ থেকে এসেছে ইংরেজি কোকোনাট। পঞ্চদশ শতকের এক সংস্করণে ডিওস্কোরাইডেসের 'ট্র্যাকটাটাস দে হারবিস'গ্রন্থের ছবিতে এই কোকুরুতোর ইঙ্গিতও দেখা যায়—বণিকের দাঁড়িপাল্লায় ওজনদার ফল হিসেবে।

নৌকা আর নারকেল

আরবরা যখন হিন্দুস্তানের বণিকদের সঙ্গে বাণিজ্য করতেন, তখন তারা দেখেছিলেন, নারকেল শুধু খাবার নয়, নৌযান তৈরিরও উপকরণ। ভারতীয়রা বানাত ছোট ছোট, চটপটে গতির ধাও—উপকূলঘেঁষা নাও। বানানো হতো নারকেলগাছের কাঠ দিয়ে, আর বাঁধা হতো নারকেলের আঁশ দিয়ে পাকানো দড়ির সাহায্যে। পরে আরবরাও এই ধাও ব্যবহার শুরু করে। আজও ধাও বানানো হয়। তবে উপকরণ সবই আধুনিক।

ইউরোপে নারকেলের আগমন

এসব আরব ব্যবসায়ীই প্রথম ইউরোপীয়দের কাছে নারকেলকে পরিচয় করিয়ে দেন। এশিয়াজুড়ে রেশম পথ বা সিল্ক রোডের বাণিজ্য পথে চলতে চলতে অনেক ইউরোপীয় অভিযাত্রী এ ফলের খোঁজ পান। ত্রয়োদশ শতকে ভেনিসের দুঃসাহসিক অভিযাত্রী মার্কো পোলো মিসরে নারকেল দেখে তার নাম দেন 'ফেরাউনের বাদাম'।

ষোড়শ শতকের শুরুতে এসে নারকেল পৌঁছে যায় ইউরোপে 'সাগরের রেশম পথ বা সিল্ক রোড'ধরে। সেই পথ ধরে ভারত ও পর্তুগালের সরাসরি বাণিজ্য পথ খুঁজতে গিয়ে এসেছিলেন পর্তুগিজ অভিযাত্রী, জলদস্যু ভাস্কো দা গামা। তার নৌচালনার পথনির্দেশনা পেয়েছিলেন প্রখ্যাত আরব নাবিক আহমদ ইবনে মাজিদের মানচিত্র থেকে। গামার অর্ধশতাব্দী আগেই তিনি এ পথচিত্র এঁকেছিলেন।
কোকোনাট নামের জন্ম

ভাস্কো দা গামাসহ অন্যান্য পর্তুগিজ বণিকের হাতেই নারকেল পেল আজকের সবচেয়ে পরিচিত আন্তর্জাতিক নাম। তারা একে বলেছিল কোকোনাট; কারণ, ফলটির গায়ে তিনটি দাগ মাথার খুলি বা কোকুরুতোর মতো লাগে, যেন দুটি চোখ আর একটি মুখ, আর এর আঁশগুলো দেখতে চুলের মতো। তাই তাদের চোখে নারকেল ছিল এক খুলিসদৃশ অদ্ভুত ফল।

নারকেলের বিশ্বভ্রমণ ও জাদুকরী রূপান্তর

ষোড়শ শতকের শুরুতে ইউরোপীয় অভিযাত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন ভেনিসের অভিজাত আন্তোনিও পিগাফেত্তা। ইতিহাসে তাকে বলা হয় প্রথম দিককার দুঃসাহসিক ভ্রমণকারী বা  'অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিস্ট'দের একজন। তিনি ফার্দিনান্দ মাগেলানের ভারত-ইউরোপ বাণিজ্যযাত্রায় সঙ্গী হয়েছিলেন। ভ্রমণকালে তিনি তার ডায়েরিতে নারকেলকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তার ভাষায়, 'নারকেল হলো তালগাছের ফল। যেমন আমাদের কাছে রুটি আর মদ, তেল আর ভিনেগার আছে, ঠিক তেমনই তারা এই গাছ থেকে সবকিছু পায়। দুটি নারকেলগাছ থাকলেই ১০ জনের একটি পরিবার টিকে থাকতে পারে। এই গাছও টিকে থাকে এক শ বছর।' পিগাফেত্তার লেখার মধ্যেই ফুটে ওঠে নারকেলের জীবনীশক্তি।

ইউরোপে নারকেলের জাদু

নিজ দেশে ফিরে ইউরোপীয়রা নারকেলকে শুধু খাবার হিসেবেই নয়, সাজসজ্জার উপকরণ হিসেবেও ব্যবহার করতে শুরু করল। ষোড়শ শতকের ইউরোপে বিশ্বাস ছিল, নারকেলের খোলসের ভেতরে আছে জাদুকরী আরোগ্য শক্তি। তাই তারা নারকেলের খোলসে বসাত সোনাদানা, রত্নপাথর, আর বানাত ঝলমলে গবলেট বা পানপাত্র। এই চর্চা ১৯ শতক পর্যন্ত চালু ছিল। কিন্তু ইউরোপীয় সমুদ্র বাণিজ্যের অন্ধকার দিক, উপনিবেশ আর দাস ব্যবসা নারকেলকে পৌঁছে দিল আমেরিকার সৈকতে। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে নারকেল এল উপনিবেশবাদ আর দাস ব্যবসার হাত ধরে। এর সঙ্গে ভারত থেকেও বহু চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক আনা হয়েছিল। আর সে অঞ্চলের আর্দ্র, উপক্রান্তীয় আবহাওয়া নারকেলের জন্য হয়ে উঠল একদম পোয়াবারো।

শুধু ফল নয়, বহুমুখী সম্পদ

নারকেলের বৈজ্ঞানিক নাম 'কোকোস নুসিফেরা'। এটি আসলে একধরনের ড্রুপ, যার অন্তর্ভুক্ত খেজুর, জলপাই, গোলমরিচ, বাদাম, এমনকি আম, পিচ আর প্লামের মতো ফলও। তবে অন্যদের চেয়ে নারকেলের ব্যবহার বিস্তৃত অনেক বহুদূর পর্যন্ত। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ নারকেলগাছের কাঠ, তেল, রস আর আঁশ (কয়ার) ব্যবহার করে আসছে।
ভৌগোলিক বিস্তার: সাগরপাড়ের উপহার

ইতিহাসবিদেরা বলেন, নারকেলগাছ আসলে সমুদ্রের দান। লবণাক্ত বাতাস ও বালুকাময় মাটিতে বেড়ে ওঠার এক অনন্য ক্ষমতা আছে এ গাছের। তাই প্রাচীনকালে যখন মানুষের হাতে ছিল না জাহাজ বা মানচিত্র, তখন ভেসে আসা নারকেলই হয়তো হয়ে উঠেছিল নতুন ভূমি চেনার সংকেত।

ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনস, শ্রীলঙ্কা কিংবা মালদ্বীপ—সবখানেই নারকেল কেবল কৃষি ফসল নয়, বরং জাতীয় পরিচয়ের অংশ। মালদ্বীপের পতাকায় যেমন শামুকের পাশে আঁকা থাকে নারকেলগাছ, তেমনি শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘদিন ধরে সরকারিভাবে নারকেল রপ্তানি ছিল বৈদেশিক আয়ের প্রধান উৎস। আফ্রিকার উপকূল থেকে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত, যে জাহাজই পৌঁছেছে, সঙ্গে এসেছে নারকেলও।

ফ্রিদা কালো, উইপিং ককোনাটস, ১৯৫১

পশ্চিমে নতুন জোয়ার

আজকের পশ্চিমা জগতে নারকেল নতুন করে আলোচনায় এসেছে। কয়েক বছর আগেই পেশাদার ও শৌখিন ক্রীড়াবিদেরা নিয়মিত পান করতে শুরু করলেন নারকেল পানি—কারণ, এতে আছে প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট। এর পর থেকেই এটি বাজারে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হতে থাকে। ২০১৩ সালের পর থেকে এর ভোগ বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। ২০১৫ সালের পর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎপাদক ফিলিপাইন তাজা নারকেল রপ্তানি বাড়িয়েছে ৮০ শতাংশের বেশি। আজ নারকেল উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ আর রপ্তানি—সব মিলিয়ে এটি বহু বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক শিল্পে পরিণত হয়েছে।

স্পেশালটি ফুডস অ্যাসোসিয়েশনের কনটেন্ট প্রধান ডেনিস পার্সেল বলেন, 'নারকেলের বিশেষ খাবার হিসেবে পরিচিতি শুরু হয় ডাবের পানি দিয়ে, পরে ছড়িয়ে পড়ে নারকেল তেল, নারকেল দুধ দিয়ে তৈরি বিকল্প দুগ্ধজাত দ্রব্য যেমন দই, আইসক্রিম, আর নাশতা যেমন নারকেল চিপস পর্যন্ত। এমনকি চা থেকে শুরু করে পপকর্নেও নারকেলের স্বাদ যোগ হচ্ছে। ভেগান খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গেও নারকেলের যোগ আছে; কারণ, এটি মাখনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।'

অর্থাৎ আরব ব্যবসায়ীদের হাত ধরে বিশ্বভ্রমণের পর প্রথমবার নারকেল তাজা, শুকনা, হিমায়িত কিংবা প্রক্রিয়াজাত (দুধ, তেল, চিনি, সিরাপ) পুনরায় হয়ে উঠেছে বিশ্বব্যাপী আলোচিত এক পণ্য। আর এখন এটি কেবল ছোট উৎপাদকদের সীমায় নয়, বরং বিশ্বের সবচেয়ে বড় খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্যও লাভজনক হাতিয়ার।

আজ পশ্চিমা বাজারে নারকেল শুধু খাবারে নয়, বরং স্বাস্থ্যসেবা, সৌন্দর্যপণ্য, এমনকি গৃহস্থালি পরিষ্কারক দ্রব্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। তার মানে, প্রাচীন পরিচিতি অনুযায়ী নারকেল আবারও বহু দিক থেকে জীবন টিকিয়ে রাখছে।

যেখানে নারকেল দৈনন্দিনের অংশ

তবে এসব নতুনত্ব আসলে নতুন কিছু নয় দক্ষিণ ভারতের, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিংবা পূর্ব আফ্রিকার ছোট দ্বীপ জাঞ্জিবার বা তানজানিয়ার কাছে। এখানে নারকেল মানেই নিত্যদিনের জীবন। রুটি থেকে শুরু করে পানীয়, গোশতের পদ থেকে মিষ্টান্ন—সবকিছুতেই নারকেল অপরিহার্য। 

জাঞ্জিবারে বাজারের দিন শুরু হয় নারকেল কেনা দিয়ে। নারকেল ফাটিয়ে বানানো হয় দুধ, আর কোরানো নারকেল রান্নার জন্য প্রস্তুত করা হয়। মেয়েদের কাছে নারকেল কোরানো শেখা, মায়ের কাছ থেকে মেয়ের কাছে পৌঁছানো প্রথম দিককার দক্ষতার একটি। নারীরা নারকেলের পাতায় ছাউনি বানিয়ে জীবিকা অর্জন করে, আঁশ থেকে তৈরি করে দড়ি। নবজাতকের আশীর্বাদে ব্যবহার হয় নারকেল তেল। এমনকি ইসলামের পবিত্র দিনে স্থানীয় মসজিদগুলোতেও নারকেল আর নারকেলজাত পণ্য প্রধান খাদ্য দানের অংশ হয়ে থাকে।

বাবরনামায় নারকেল বৃক্ষ।

আরব দুনিয়া ও নারকেলের রন্ধনভ্রমণ

নারকেলের বাণিজ্যে আরবদের প্রভাব যেমন ইতিহাসে গভীর, তেমনি আজও টিকে আছে তাদের সংস্কৃতিতে। উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের রান্নাঘরে নারকেল ব্যবহৃত হয় মূলত বিশেষ অনুষ্ঠান বা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে। এ থেকেই বোঝা যায়, এককালে নারকেল ছিল বিরল আর বহুমূল্য এক খাদ্য।

মিসরের ইফতার পানীয়

মিসরে রমজানের ইফতারে জনপ্রিয় পানীয় হলো সোবিয়া। সৌদি আরব কিংবা অন্যত্র যেখানে এটি তৈরি হয় গম, বার্লি বা ওট দিয়ে, সেখানে মিসরের সোবিয়ার মূল উপাদান নারকেল দুধ। রোজা ভাঙার মুহূর্তে এই পানীয় যেন মিষ্টি স্বস্তি এনে দেয়।

সেনেগালের নারকেল-পায়েস

আফ্রিকার সেনেগালে ইফতার টেবিলে থাকে নারকেল-ভাতের পায়েস। ভাত আর নারকেলের মিশ্রণ রোজাদারদের কাছে শুধু শক্তির উৎসই নয়, উৎসবের স্বাদও বাড়ায়।

লেবানন, সিরিয়া ও মিসরের মিষ্টি

লেবানন, সিরিয়া আর মিসরে নারকেল কোরানো দিয়ে বানানো হয় হারিশ বা বাসবুসা নামের সেমোলিনা কেক। জন্মদিন থেকে বিবাহ—প্রতিটি বিশেষ উপলক্ষেই এটি পরিবেশিত হয়। নরম কেকের টেক্সচার আর নারকেলের সুবাস মিলে এটি অঞ্চলের অন্যতম প্রিয় মিষ্টি।

মরক্কোর চায়ের সঙ্গী

মরক্কোতে জনপ্রিয় ছোট নারকেল বিস্কুট ঘোরিবা চায়ের সঙ্গে খাওয়ার জন্য দারুণ এক সঙ্গী। পাশাপাশি পুরো নারকেল ভেঙে বাজারে তৈরি করা হয় নানা ধরনের ঝাল-নোনতা বা মিষ্টি নাশতা, যা বিক্রি হয় পথের বাজারেই।

লোকজ চিকিৎসা ও আধ্যাত্মিকতা

নারকেল শুধু খাদ্য নয়, বহু সমাজে এটি ওষুধের মতোও ব্যবহৃত হয়। দক্ষিণ ভারতের আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় নারকেল তেল ব্যবহৃত হয় মাথার যন্ত্রণা, চুল পড়া বা ত্বকের সমস্যায়। আবার নারকেল পানি দেওয়া হয় গর্ভবতী নারী কিংবা অসুস্থ রোগীকে শক্তি জোগাতে। এছাড়া শুভ কাজের আগে নারকেল ভাঙার রেওয়াজ রয়েছে গোটা হিন্দু ভারতে। 

বাংলাদেশের কোনো কোনো গ্রামীণ লোকজ বিশ্বাসে নারকেল ভাঙা মানে মঙ্গল কামনা—যেমন বিবাহে, নতুন ব্যবসার শুরুতে কিংবা পূজায় নারকেল উৎসর্গ করা হয়। অনেক আফ্রিকান সমাজেও নারকেল গণনা করা হয় শুভফল হিসেবে, যা আধ্যাত্মিক জগতের সঙ্গে যোগাযোগের প্রতীক।

ককোনাট ট্রেড কার্ড, ১৯০০

জলবায়ু পরিবর্তুনের ছায়া

তবে ভবিষ্যৎ একেবারেই নিরুদ্বেগ নয়। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি আর ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় নারকেলগাছের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে। মালদ্বীপ বা কিরিবাতির মতো ছোট দ্বীপগুলোতে লবণাক্ত পানি মাটির ভেতরে ঢুকে গিয়ে নারকেলগাছ শুকিয়ে দিচ্ছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী কয়েক দশকে যদি তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকে, তবে নারকেল উৎপাদনের প্রধান অঞ্চলগুলোতেই উৎপাদন কমতে শুরু করবে। অথচ এই শিল্পের ওপর নির্ভর করছে লাখো মানুষের জীবিকা। তাই এখন অনেক দেশেই চলছে নতুন জাতের নারকেলগাছ উদ্ভাবনের গবেষণা; যা হবে খরাপ্রতিরোধী, ঝড় সহনীয় আর লবণাক্ত মাটিতেও টিকে থাকতে সক্ষম।

রন্ধনভ্রমণের আমন্ত্রণ

এসব উদাহরণই দেখায়, কীভাবে আরব ও মুসলিম দুনিয়ায়, কিংবা দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলে নারকেল বিশেষ সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ হয়ে উঠেছে। পানীয় থেকে মিষ্টি, বিস্কুট, নাড়–, সেমাই, ক্ষীর থেকে উৎসবের কেক—নারকেল সেখানে উৎসব আর আচার-অনুষ্ঠানে এক অবিচ্ছেদ্য উপাদান।

এসব রেসিপির মধ্য দিয়েই যেন আমরা নারকেলকে নিয়ে এক রন্ধনযাত্রায় বেরিয়ে পড়ি—যা একদিকে ইতিহাসের, অন্যদিকে ভবিষ্যতেরও।

শেষের কথা

সূচনার ধাঁধায় ফিরে যাই। ছোটবেলায় জিজ্ঞেস করা হতো, ডাব না খেলে কী হয়? আমরা হাসতে হাসতে উত্তর না দিয়েই এগিয়ে গিয়েছিলাম। এখন নিশ্চয়ই আলাদা করে বলার দরকার নেই। বলতে হবে না, ডাব না খেলে নারকেল হয়! সেই ধাঁধা আসলে কেবল শিশুতোষ খেলাই নয়, এটি প্রকৃতির এক অনন্ত ধারার কথা মনে করিয়ে দেয়। ডাবের কোমল রস থেকে শুরু হয় যাত্রা, আর সময়ের আবর্তে সেটিই পরিণত হয় শক্ত খোলসের নারকেলে। জীবনের মতোই এ এক শিক্ষা। অবস্থার রূপ বদলায়, কিন্তু মূল সত্তা থাকে অবিচল।

আজকের দিনে যখন পশ্চিমা দুনিয়া নতুন করে নারকেলের গুণাগুণ আবিষ্কার করছে, নারকেল পানি থেকে শুরু করে নারকেল তেল, দুধ, দই, আইসক্রিম কিংবা প্রসাধনী ও ওষুধ; তখন দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কিংবা আফ্রিকার উপকূলীয় সমাজগুলো জানে, এই গাছ তাদের পূর্বপুরুষের চিরন্তন সঙ্গী। বাজারে ভেসে ওঠা নারকেলের দুধের গন্ধ, রান্নাঘরে কোরানো নারকেল, নবজাতকের আশীর্বাদে ব্যবহৃত নারকেল তেল কিংবা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নারকেলের দান—সবই বলে দেয়, এ সম্পর্ক নিছক খাদ্য বা অর্থনীতির নয়; এটি জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ, একপ্রকার আধ্যাত্মিক বন্ধন।

যেভাবে কাস্ট অ্যাওয়ে চলচ্চিত্রে টম হ্যাঙ্কস অভিনীত চাক নোল্যান্ডের কাছে উইলসন নামের ভলিবল হয়ে উঠেছিল নির্জন দ্বীপের মানসিক অবলম্বন, তেমনি মানবসভ্যতার দীর্ঘ ইতিহাসে নারকেলও হয়ে উঠেছে আমাদের নীরব সহযাত্রী। হাজার বছরের সমুদ্রযাত্রা, বাণিজ্য, উপকূলীয় বসতি কিংবা দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস—সবখানেই নারকেল টিকে আছে সঙ্গী হয়ে। সমুদ্রের ঢেউয়ের মতোই তার অবদান প্রবহমান, কখনো চোখে পড়ে না, কিন্তু অনুপস্থিত হলে বোঝা যায় কতটা প্রয়োজনীয়।

বিখ্যাত মারস্ বাউন্টি চকোলেটের বিজ্ঞাপন, ১৯৫০

ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে, উপকূলের প্রতিটি ঢেউয়ে, বেঁচে থাকার প্রতিটি লড়াইয়ে নারকেল মানুষের মনে করিয়ে দিয়েছে প্রকৃতির সঙ্গে বন্ধুত্বের অপরিহার্যতা। নাবিকের হাতে নারকেলের আঁশ দিয়ে বাঁধা ধাও নৌকা যেমন দূরদূরান্তের দেশকে যুক্ত করেছে, তেমনি গৃহস্থের রান্নাঘরে কোরানো নারকেল মিশে গেছে প্রতিদিনের জীবনে। নারকেল যেন মানুষের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনো খাদ্য, কখনো আশ্রয়, কখনো আত্মিক সান্ত্বনার উৎস।

অতএব, নারকেল শুধু একটি ফল নয়; এটি সভ্যতার আড়ালে আড়ালে বয়ে চলা এক চিরন্তন কাহিনি। এটি মানুষ আর প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য সংগীত; যার প্রতিটি সুরে মিশে আছে বেঁচে থাকার গল্প। যেমন শিশুদের ধাঁধায় ডাব থেকে নারকেলের পরিণতি লুকিয়ে থাকে, তেমনি মানবসভ্যতার অভিযাত্রায় নারকেলও লুকিয়ে থাকে প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের গভীর বন্ধনের প্রতীক হয়ে।
 

Related Topics

টপ নিউজ

ইজেল / ডাব / নারকেল

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ছবি: এএফপি
    ৭,৮০০ কোটি গাছ লাগিয়েছে চীন; তাতেই নষ্ট করেছে নিজেদের পানিচক্রের ভারসাম্য
  • ছবি: সংগৃহীত
    বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার পর ৫৭,৫৭৬ কোটি টাকা লোকসান দেখাল ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
  • ছবি: সংগৃহীত
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাম আযম-নিজামীদের প্রতিকৃতি মুছে দিল প্রশাসন, 'জানেন না' প্রক্টর
  • ছবি: সংগৃহীত
    হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক
  • ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট
    ‘মামলা’ এড়াতে ট্রাফিক কর্মীকে কয়েকশো মিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে পালালেন সিএনজি চালক
  • পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছবি: বাসস
    ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

Related News

  • ফটকাবাজির আদ্যোপান্ত
  • কোক না পেপসি?
  • যুদ্ধ যখন পুঁজির খেলা: লেনিন ও হবসনের চোখে সাম্রাজ্যবাদ
  • আদর্শ পৃথিবীর খোঁজে: অর্থনীতির চোখে মানুষের আকাঙ্ক্ষা আর অসম্ভবকে সম্ভব করার গল্প
  • অদৃশ্য হাত: মানুষের স্বার্থ আর সমাজ গড়ে ওঠার দীর্ঘ অনুচ্চারিত কাহিনি

Most Read

1
ছবি: এএফপি
আন্তর্জাতিক

৭,৮০০ কোটি গাছ লাগিয়েছে চীন; তাতেই নষ্ট করেছে নিজেদের পানিচক্রের ভারসাম্য

2
ছবি: সংগৃহীত
অর্থনীতি

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার পর ৫৭,৫৭৬ কোটি টাকা লোকসান দেখাল ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক

3
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাম আযম-নিজামীদের প্রতিকৃতি মুছে দিল প্রশাসন, 'জানেন না' প্রক্টর

4
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

5
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট
বাংলাদেশ

‘মামলা’ এড়াতে ট্রাফিক কর্মীকে কয়েকশো মিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে পালালেন সিএনজি চালক

6
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছবি: বাসস
বাংলাদেশ

ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net