যুদ্ধ যখন পুঁজির খেলা: লেনিন ও হবসনের চোখে সাম্রাজ্যবাদ
১৯১৪ সাল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে। ঠিক সেই সময়ে পোল্যান্ডের তাত্রা পর্বতমালার এক নিভৃত কুঁড়েঘরে লোকচক্ষুর অন্তরালে দিন কাটাচ্ছিলেন রুশ বিপ্লবী ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন (১৮৭০-১৯২৪)। এটি ছিল তার দীর্ঘ নির্বাসিত জীবনের একটি অধ্যায় মাত্র। পুলিশ আর সরকারি গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে, ছদ্মনাম আর জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে তিনি চষে বেড়াচ্ছিলেন পুরো ইউরোপ।
রাশিয়ায় থাকাকালীন তিনি তার পত্রিকা 'দ্য স্পার্ক'-এর মাধ্যমে বিপ্লবে উৎসাহ জোগাতেন। তার সহযোদ্ধারা থিয়েটারের গ্যালারি থেকে নিচের তলায় বসে থাকা ধনী নারী-পুরুষদের ওপর সেই পত্রিকার কপি ছুড়ে দিতেন। এমনকি কারাগারে থাকার সময়ও তিনি রুটি দিয়ে তৈরি কালির দোয়াত ব্যবহার করে গোপন বার্তা লিখতেন। পাহারাদার বা রক্ষীদের দেখামাত্রই সেই দোয়াত দ্রুত খেয়ে ফেলা যেত, এমনকি একদিন তিনি এমন ছয়টি দোয়াত গিলে ফেলেছিলেন।
লেনিনের কাছে যুদ্ধের অর্থ ছিল পরিষ্কার–বিরোধী রাষ্ট্রগুলোর শাসক শ্রেণি নিজেদের স্বার্থে সাধারণ শ্রমিকদের একে অপরকে হত্যা করতে পাঠাচ্ছে। অথচ এই শ্রমিকদের উচিত ছিল তাদের প্রকৃত শত্রু, ইউরোপের পুঁজিবাদী প্রভুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। একজন সমাজতন্ত্রী হিসেবে যুদ্ধের মতো বিষয়কে সমর্থন করা ছিল অসম্ভব। তাই লেনিন এবং ইউরোপজুড়ে তার সহযোগী বিপ্লবীরা দৃঢ়ভাবে যুদ্ধের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
জার্মানি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার কয়েক দিন পর, ৫ আগস্ট লেনিন বড়সড় এক ধাক্কা খেলেন। লজে তার সঙ্গে থাকা এক স্থানীয় কর্মী একটি পোলিশ সংবাদপত্র নিয়ে আসেন। সংবাদপত্রে লেখা ছিল, জার্মান পার্লামেন্টের সমাজতন্ত্রীরা যুদ্ধের পক্ষে সম্মতি দিয়েছে। প্রথমে লেনিন ভেবেছিলেন, তার পোলিশ সহযোদ্ধা হয়তো খবরটি ভুল অনুবাদ করেছেন। কিন্তু খবরটি ছিল ধ্রুব সত্য: সমাজতন্ত্রীরা তাদের রাজনৈতিক আদর্শের চেয়ে নিজ দেশের প্রতি আনুগত্যকেই বড় করে দেখেছিলেন। ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের সমাজতন্ত্রীরাও একই পথ বেছে নেন। এতে লেনিন প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন।
যুদ্ধের প্রতি লেনিনের এই তীব্র বিরোধিতা কেবল গণহত্যার ভয়াবহতা থেকে আসেনি, এটি এসেছিল পুঁজিবাদের একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ থেকে। কার্ল মার্ক্সের উত্তরসূরি হিসেবে লেনিন তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক–উভয় ক্ষেত্রেই একজন বিপ্লবী ছিলেন। মার্ক্স বলেছিলেন, পুঁজিবাদের স্ববিরোধিতাই একসময় এর পতন ডেকে আনবে। লেনিন এই ধারণাকে আরও এগিয়ে নেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাদী ব্যবস্থাই জাতিগুলোর মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করে, যা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের রূপ নেয়।
লেনিন তিনটি প্রধান প্রবণতার দিকে ইঙ্গিত করেন। মার্ক্স মূলত একটি জাতির অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর শুরুতে দেশগুলো একে অপরের সাথে বাণিজ্যের মাধ্যমে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ে এবং বিনিয়োগকারীরা বিদেশি ব্যবসায় অর্থ খাটাতে শুরু করেন।
দ্বিতীয় প্রবণতাটি ছিল বড় বড় কোম্পানি ও ব্যাংকের উত্থান। পুঁজিবাদের শুরুর দিকে কোম্পানিগুলো ছোট ছিল এবং মালিকেরাই অর্থায়ন করতেন। কিন্তু নতুন যুগে বড় ব্যাংকগুলো বড় বড় করপোরেশনকে অর্থায়ন করতে শুরু করে। লেনিন একে 'একচেটিয়া পুঁজিবাদ' বলে অভিহিত করেন, যেখানে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো পুরো বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।
তৃতীয় প্রবণতাটি ছিল সাম্রাজ্যবাদ: ইউরোপীয় দেশগুলো বিশ্বজুড়ে সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য বিদেশি ভূখণ্ড দখল করতে শুরু করে। সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে এটি ঘটত এবং দখলদারেরা সেখানে নিজস্ব সরকার ও উপনিবেশ স্থাপন করত।
পঞ্চদশ শতাব্দীতে স্পেন ও পর্তুগাল কর্তৃক দক্ষিণ আমেরিকা বিজয়ের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদের সূচনা হয়েছিল। ইউরোপীয় দেশগুলো বিদেশি ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণের জন্য নিজেদের মধ্যে লড়াই করত, যেখানে স্বর্ণ, মূল্যবান সামগ্রী এবং দাস বানানোর মতো মানুষ পাওয়া যেত।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে সাম্রাজ্যবাদী প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বিশ্বের যেসব এলাকা তখনো দখল করা হয়নি, বিশেষ করে আফ্রিকার অনাবিষ্কৃত অংশগুলো নিয়ে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সময় পৃথিবীর মোট ভূখণ্ডের এক-তৃতীয়াংশ ইউরোপীয় সাম্রাজ্যগুলোর দখলে চলে গিয়েছিল।
হবসনের প্রভাব
লেনিন মনে করতেন, অর্থনৈতিক আন্তসংযোগ, একচেটিয়া পুঁজিবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদ–এই তিনটি বিষয় পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। সেই সময়ে প্রচলিত ধারণা ছিল, সাম্রাজ্যবাদ একটি বীরত্বপূর্ণ প্রয়াস এবং মহান নেতাদের সাহসিকতার বহিঃপ্রকাশ। বলা হতো, সাম্রাজ্যবাদী জাতিগুলো দরিদ্র দেশগুলোতে সভ্যতা নিয়ে যায়, যা আফ্রিকা ও এশিয়ার মানুষকে আধুনিক বিশ্বের পথে নিয়ে আসবে। কিন্তু লেনিনের চিন্তা এর সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। তার কাছে সাম্রাজ্যবাদ ছিল কেবল অর্থ উপার্জনের একটি মাধ্যম।
লেনিনের এই ধারণা জন হবসন (১৮৫৮-১৯৪০) নামক একজন ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদের দ্বারা প্রভাবিত ছিল। হবসন ছিলেন একজন বিনয়ী ও বইপাগল মানুষ, যিনি লেনিনের গোপন বৈঠক ও কারাগারের ষড়যন্ত্রের জগৎ থেকে যোজন যোজন দূরে ছিলেন।
হবসন মার্ক্সবাদী ছিলেন না, কিন্তু তিনি ছিলেন প্রথাগত চিন্তার বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহী বা 'হেরেটিক'। তার লেখা একটি বইয়ের নামই ছিল 'কনফেশন্স অব এন ইকোনমিক হেরেটিক'। তার একটি বই পড়ার পর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অর্থনীতির অধ্যাপক তাকে সেখানে বক্তৃতা দেওয়া থেকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। বইটিতে তিনি যেসব ধারণা দিয়েছিলেন, যা পরবর্তী সময়ে লেনিনের যুক্তির ভিত্তি হয়, তা অনেকের কাছেই তখন অর্থহীন মনে হয়েছিল।
হবসন তৎকালীন অর্থনীতিবিদদের একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য বা 'গসপেল'-এর বিরোধিতা করেছিলেন: তা হলো 'সঞ্চয় একটি ভালো জিনিস'। হবসনের মতে, অতিরিক্ত সঞ্চয় একটি দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
বিষয়টি তিনি এভাবে ব্যাখ্যা করেন: ধনীরা এত বিপুল পরিমাণ আয় করেন, তারা সবটা খরচ করতে পারেন না। একজন সাধারণ শ্রমিকের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি আয় করা ব্যক্তি মৌলিক প্রয়োজনে ৫০ গুণ বেশি খরচ করেন না। ফলে তাদের আয়ের একটি বড় অংশ উদ্বৃত্ত বা সঞ্চয় হিসেবে থেকে যায়।
হবসন ও লেনিন বলেছিলেন, একচেটিয়া পুঁজিবাদের অধীনে অর্থনীতির আয়ের একটি বড় অংশ মুষ্টিমেয় ধনী ও শক্তিশালী ফিন্যান্সিয়ারদের হাতে চলে যায়। এর ফলে ভোগের চেয়ে সঞ্চয় বেশি হয়। এই সঞ্চয় নতুন নতুন কারখানা ও মেশিন কিনতে বা 'বিনিয়োগ' করতে ব্যবহৃত হয়, যাতে ভবিষ্যতে আরও পণ্য উৎপাদন করা যায়।
কিন্তু সমস্যা হলো, বিনিয়োগ বাড়লে উৎপাদিত পণ্য কেনার মতো মানুষ কমে যায়। ধনীরা তাদের প্রয়োজনীয় সব কিনে ফেলেছেন বলেই বাকিটা সঞ্চয় করছেন। অন্যদিকে শ্রমিকদের কেনার মতো পর্যাপ্ত টাকা নেই। ফলে নতুন কারখানায় উৎপাদিত পণ্য বিক্রি না হওয়ায় মুনাফা কমে যায় এবং দেশে ভালো বিনিয়োগের সুযোগ কমে আসে।
কিন্তু বিদেশে, যেখানে এখনো প্রচুর সঞ্চয় নেই, সেখানে বিনিয়োগের ভালো সুযোগ থাকে। এই সঞ্চয় বিদেশে পাঠানোর জন্যই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো অন্য দেশ আক্রমণ করে উপনিবেশ স্থাপন করে। ইউরোপীয় পুঁজিপতিরা তখন উপনিবেশে কারখানা তৈরি করে এবং নিজ দেশে বিক্রি করতে না পারা পণ্যগুলো সেখানকার মানুষের কাছে বিক্রি করে। সেনাবাহিনীর কাজ হয় স্থানীয়দের হাত থেকে এই বিদেশি কারখানাগুলোকে রক্ষা করা।
হবসন সাংবাদিক হিসেবে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার যুদ্ধের সময় বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছিলেন।
১৮৮০-এর দশকের মাঝামাঝি দক্ষিণ আফ্রিকায় স্বর্ণ আবিষ্কৃত হয় এবং ১৮৯৯ সালে যুদ্ধ বাধে। হবসনের বিশ্বাস ছিল, এই যুদ্ধটি ছিল মূলত পুঁজিপতিদের দ্বারা স্বর্ণখনিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লড়াই। হাজার হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু এই যুদ্ধে মারা যায় এবং অনেকে বন্দিশিবিরে প্রাণ হারান।
হবসনের মতে, লোভই সাম্রাজ্যবাদের কারণ এবং পুঁজিপতিদের ধনী করতে সাম্রাজ্যবাদী দেশের সেনাবাহিনী স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে দমন করে।
হবসন এই অতিরিক্ত সঞ্চয়কে সাম্রাজ্যবাদের 'অর্থনৈতিক মূল কারণ' বলে অভিহিত করেন। তার মতে, আয়ের সুষম বণ্টন হলে অতিরিক্ত সঞ্চয় দেশেই খরচ হতো এবং সাম্রাজ্যবাদের প্রয়োজন হতো না। সাম্রাজ্যবাদ কেবল আর্থিক একচেটিয়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলোর উপকার করে, কিন্তু পুরো জাতির জন্য এটি ক্ষতিকর; কারণ, যুদ্ধের খরচ শেষ পর্যন্ত জনগণকেই বহন করতে হয়।
লেনিনের দৃষ্টিতে সমস্যাটি কেবল সম্পদের অসম বণ্টনের চেয়েও গভীর ছিল। ১৯১৬ সালে, যখন যুদ্ধক্ষেত্রে লাখ লাখ শ্রমিক শ্রেণির মানুষ একে অপরকে হত্যা করছিল, লেনিন 'ইম্পেরিয়ালিজম: দ্য হাইয়েস্ট স্টেজেস অব ক্যাপিটালিজম' নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন।
মার্ক্স যেখানে শ্রমিক শোষণের জন্য পুঁজিবাদের সমালোচনা করেছিলেন, লেনিন সেখানে বলেন, পুঁজিবাদ ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি যুদ্ধকে অনিবার্য করে তুলেছে। তার সমাধান ছিল বৈপ্লবিক: 'সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধকে গৃহযুদ্ধে পরিণত করো।' অর্থাৎ ভিন্ন দেশের শ্রমিকদের একে অপরের সাথে যুদ্ধ বন্ধ করে নিজ দেশের পুঁজিপতিদের উৎখাত করা উচিত।
কিন্তু শ্রমিকেরা বিপ্লব না করে উৎসাহের সাথে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছিল। লেনিন এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, একচেটিয়া ক্ষমতা ও সাম্রাজ্যবাদের মাধ্যমে অর্জিত বিশাল মুনাফার কারণে কোম্পানিগুলো শ্রমিকদের উচ্চ বেতন দিতে পারত। ফলে শ্রমিকেরা একটি 'শ্রমিক আভিজাত্য'-এ পরিণত হয়। বেতনের টাকায় কেনা স্বাচ্ছন্দ্যে সন্তুষ্ট থেকে তারা বিপ্লবের চেয়ে চাকরি টিকিয়ে রাখাকেই শ্রেয় মনে করত এবং পুঁজিবাদ ও যুদ্ধকে মেনে নিত।
লেনিন ও হবসন বিশ্বাস করতেন যে সাম্রাজ্যবাদ মুমূর্ষু পুঁজিবাদের লক্ষণ। কিন্তু তাদের সময়ের দিকে তাকালে দেখা যায়, এই ধারণা পুরোপুরি সঠিক ছিল না। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ইউরোপের প্রধান অর্থনীতিগুলো বাড়ছিল এবং পুঁজিবাদ আগের চেয়ে শক্তিশালী ছিল। ব্রিটিশ পুঁজি বিদেশে যাচ্ছিল; কারণ, তাদের অর্থনীতি খুব ভালো করছিল। নতুন প্রযুক্তি সম্পদ সৃষ্টি করেছিল, যা উদ্যোক্তারা বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগ করছিলেন। তা ছাড়া যুদ্ধ ও উপনিবেশবাদ অর্থনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও ক্ষমতা ও মর্যাদার আকাক্সক্ষাও এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিল।
তবে বিংশ শতাব্দীতে 'সাম্রাজ্যবাদ' শব্দটি একটি গালি বা অপমানে পরিণত হয়, যা সমাজতন্ত্রীরা পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতেন। অর্থনীতিবিদেরা প্রায়ই পুঁজিবাদের সাফাই গাইতেন, তাই তাদের কাছে সাম্রাজ্যবাদ শব্দটি গ্রহণযোগ্য ছিল না।
যুদ্ধের কয়েক বছর পর লেনিন ছদ্মবেশে রাশিয়ায় ফিরে আসেন এবং কার্ল মার্ক্সের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্বের প্রথম কমিউনিস্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। নতুন এই দেশ, সোভিয়েত ইউনিয়ন, নিজেকে সাম্রাজ্যবাদের প্রধান শত্রু হিসেবে ঘোষণা করে। পরবর্তী সময়ে আফ্রিকা ও এশিয়ার উপনিবেশিত মানুষেরা সাম্রাজ্যবাদী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং বিদ্রোহের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। 'উন্নয়নশীল' দেশ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই রাষ্ট্রগুলো তখন বিদেশি পুঁজিপতিদের বদলে নিজেদের জনগণের উপকারে অর্থনীতি গড়ে তোলার চেষ্টা করে।
ছবি: সংগৃহীত
