অবশেষে ডেপ-হার্ড মামলা নিয়ে মুখ খুললেন ইলন মাস্ক

হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ ও অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড যখন মানহানি মামলার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, টেসলার সিইও ইলন মাস্ক তখন টুইটার কেনাবেচা নিয়ে চমক জাগানো খবরের শিরোনাম হচ্ছেন। কিন্তু ডেপ-হার্ডের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে মাস্কেরও যে ভূমিকা আছে, তা ইতোমধ্যেই জেনে গেছে বিশ্ব। তবুও এতদিন যাবত এই হাই-প্রোফাইল মামলার ব্যাপারে টুঁ শব্দটি করেননি বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি।
সম্প্রতি এই মানহানি মামলায় পক্ষ-বিপক্ষের লড়াই তুঙ্গে পৌছেছে এবং আগামী সপ্তাহেই রায় আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর তারই মধ্যে নীরবতা ভঙ্গ করলেন ইলন মাস্ক। টুইটারে এই দুজনের মামলা নিয়ে এমআইটির গবেষক বিজ্ঞানী লেক্স ফ্রিডম্যানের করা একটি টুইটের জবাব দিয়েছেন তিনি।
টুইটার বার্তায় লেক্স লিখেছিলেন- "জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড মামলা নিয়ে আমার কয়েকটি পর্যবেক্ষণ: ১. খ্যাতি একদম তীব্র নেশার মতো (কারো কারো ক্ষেত্রে), ২. মনোবিজ্ঞানী ও আইনজীবীরা নানা বিচিত্র দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ ৩. লাখ লাখ লোকের সামনে মিথ্যা বলা শুধুমাত্র মানুষের পক্ষেই সম্ভব ৪. ভালোবাসা অনেক সময় নোংরা হয়ে উঠতে পারে ৫. মেগা পাইট অব ওয়াইন।"
লেক্সের এই টুইটের উত্তরে ইলন মাস্ক লেখেন- "আমি আশা করছি, তারা দুজনেই ঘুরে দাঁড়াবেন এবং ভালো সময়ে তারা দুজনেই অসাধারণ।"
জনি ডেপের সাথে বিচ্ছেদের পর বছরখানেক একসাথে ডেটিং করেছিলেন ইলন মাস্ক ও অ্যাম্বার হার্ড। যদিও এক বছর পরেই ২০১৭ সালে তারা আলাদা হয়ে যান। কিন্তু ২০১৮ সালে আবারও দুজন একসাথে হন এবং কয়েক মাস পরে আবার তাদের সম্পর্কের অবসান ঘটে।
ডেপের সাথে থাকাকালীন নিজেকে 'গৃহ-সহিংসতার শিকার' বলে দাবি করেছিলেন অ্যাম্বার হার্ড। আর তাতেই পুরো হলিউড জনির বিপক্ষে চলে যায়। এতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে হার্ডের বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা আনেন জনি ডেপ। বর্তমানে সেই মামলার শুনানি চলছে এবং খুব শিগগিরই এই সাড়া জাগানো মামলার রায় আসতে পারে।