ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা কিউয়ের ‘জুয়েল’ সিনেমার স্বত্ত্ব পেল চরকি

ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা কৌশিক মুখার্জীর ('কিউ' নামে পরিচিত) 'জুয়েল' সিনেমার স্বত্ত্ব পেয়েছে বাংলাদেশি ওটিটি প্লাটফরম চরকি।
মার্কিন ম্যাগাজিন ভ্যারাইটি জানিয়েছে, তাসবীর ফেস্টিভালের কিউরেটর ও লুমিনারি পিকচারস্ (সিয়াটল) এর প্রধান নির্বাহী রিতা মেহেরের পাশাপাশি চরকিও সিনেমাটির সহ-প্রযোজক হিসেবেও যুক্ত হয়েছে।
ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অডজয়েন্ট প্রযোজিত এই সিনেমাটির এখন প্রোডাকশন পরবর্তী কাজ চলছে।
সিনেমাটি বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অংশে শুট করা হয়েছে। সিনেমাটির গল্প জুয়েল নামে এক তরুণ টিকটকারের শূন্য থেকে ভিলেইন হয়ে ওঠা নিয়ে। সিনেমার প্রধান চরিত্র জুয়েলের স্বপ্ন টিকটকে হিরো হওয়ার। টিকটকে তার ফলোয়ার ১৫ হাজার। সে একজন ফায়ারস্টার্টার (যিনি দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে নানা ধরনের ভেলকি দেখাতে পারদর্শী)।
জুয়েল ও তার ভাই জীবন দুজনই দিনমজুর। তারা দুজনই একটি ভাল কারখানায় কাজের জন্য কাতার যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। একপর্যায়ে জীবন মাদক বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পড়ে। এ কারণে জুয়েলের জীবিকা নির্বাহের সব দরজা বন্ধ হয়ে যায়। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জুয়েল। উপায় না পেয়ে সে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশি দেশ ভারতে চলে যায়। কিন্তু সে ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি, সামনে কি ভয়ানক এক ট্রাজেডি তার জন্য অপেক্ষা করছে। এ ঘটনাকে ঘিরে এগিয়ে যায় সিনেমাটির গল্প।
এক বিবৃতিতে কিউ বলেন, 'দুই বাংলার ঝুঁকিপূর্ণ ও অরক্ষিত এলাকা নিয়েই জুয়েল সিনেমাটি। নতুন তরুণ প্রজন্ম নতুন এক পরিচয়কে গ্রহণ করছে।'
তিনি যোগ করেন, 'জুয়েল খুবই সরল, মানবিক এবং দুর্বল প্রকৃতির। আমি নান্দনিকতার মাঝে আসল পরিবর্তনটি খোঁজার চেষ্টা করেছি, যা বিশ্বের কে-পপ ম্যানিয়াকে প্লাবিত করছে।'
কিউ বলেন, 'জুয়েল' আমার সিনেমাটিক প্রক্রিয়ার নতুন একটি ধারা। উপমহাদেশীয় তরুণদের যে আবেগ এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় তার বর্তমান পরিধি চলচ্চিত্রটিতে প্রতিফলিত হয়েছে। ফোনের ক্যামেরা তাদের উপর যে বোঝা চাপিয়ে দেয়, সেটি দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।'
অনন্য পদ্ধতিতে সিনেমায় গল্প ফুটিয়ে তোলার জন্য কিউয়ের বেশ নাম রয়েছে। তিনি অডজয়েন্ট আর্ট প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী। 'গান্ডু' ও 'গার্বেজ' সিনেমারও পরিচালক তিনি।