সন্তানকে অস্বীকার করলেন নওয়াজউদ্দিন, ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন স্ত্রী আলিয়ার

অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির দাম্পত্য কলহ চরমে। এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়ে দ্বিতীয় সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানালেন স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকি। তার অভিযোগ, তাদের ছেলেকে পিতৃপরিচয় দিতে রাজি নন নওয়াজ, তাকে নিজের সন্তান বলে গ্রহণ করছেন না অভিনেতা। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন স্ত্রী আলিয়া।
এর আগে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির মা অভিযোগ করেছিলেন, আলিয়ার দ্বিতীয় সন্তান মোটেই নওয়াজের নিজের ছেলে নয় (বায়োলজিক্যাল সন্তান)। অবস্থা বেগতিক দেখে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন জানালেন এই তারকার স্ত্রী। আলিয়ার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি এর আগেও হাইকোর্টে ডিএনএ টেস্টের আবেদন করেছিলেন, পরে অবশ্য তা প্রত্যাহার করে নেন। এবার পারিবারিক আদালতে আপিল করলেন আলিয়া।
গত কয়েক মাস ধরেই নওয়াজের পরিবারের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছে আলিয়ার। এর মাঝেই সন্তানের অভিভাবকত্ব অস্বীকার করেছেন নওয়াজ। দু-দিন আগেই আলিয়া জানিয়েছেন, ফের একবার ডিভোর্সের আবেদন করবার কথা ভাবছেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে আলিয়া লেখেন, "আমার জীবনের আঠারোটা বছর এমন একটা পুরুষের পেছনে আমি নষ্ট করেছি, যার চোখে আমার কোনো মূল্য নেই।" ২০০৪ সালে নওয়াজের সঙ্গে প্রথম পরিচয় আলিয়ার। মুম্বাইয়ের একটা নগরে এক কামরার বাড়িতে থাকতেন নওয়াজ-আলিয়া এবং অভিনেতার ভাই শামসুদ্দিন।
আলিয়া আরও জানান, "২০১০ সালে আমরা বিয়ে করি। পরের বছর আমি সন্তানের জন্ম দিই। সন্তানের জন্মদান সংক্রান্ত খরচের জন্য আমার মায়ের দেওয়া ফ্ল্যাট আমি বিক্রি করে দিই। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে আমি নওয়াজকে একটা গাড়িও কিনে দিয়েছিলাম… এতোগুলো বছর পর ওই মানুষটা অমানুষে পরিণত হয়েছে। যদিও কোনোদিনই সে ভালোমানুষ ছিল না।"
এদিকে নওয়াজউদ্দিনের দাবি, প্রথম সন্তানের জন্মের পর আলিয়াকে তিনি ডিভোর্স দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আলিয়া আবারও নওয়াজের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান এবং তাদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়।
আলিয়া লিখেছেন, "ওর দাবি অনুযায়ী আমি যখন তার স্ত্রী ছিলাম, তখনও তিনি আমায় স্ত্রী হিসাবে মান্যতা দেননি। এই অভিযোগগুলো খুব খারাপ এবং অসম্মানজনক। আমার এই মেসেজের একটাই কারণ, যে মানুষটা এত নিচে নেমে গিয়েছে, তার আসল রং আমি দেখাতে চাই। প্রতারক যেকোনো ধর্মের মানুষই হতে পারেন। যার বেড়ে ওঠার সময় সঠিক শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, তিনি কখনো এভাবে প্রতারণা করবেন না। তাই সবাইকে অনুরোধ, ধর্ম দিয়ে মানুষকে বিচার করবেন না।"
২০১৭ সালে আলিয়া-নওয়াজের সম্পর্কে চিড় ধরে বলে জানা যায়। তারপর থেকেই আলাদা থাকেন দুজনে। এরপর ২০২০ সালের মে মাসে নওয়াজের নামে ডিভোর্স মামলা করে বসেন আলিয়া। তবে পরের বছরই সুর পালটে সেই মামলা প্রত্যাহার করেন। জানান, আবারও সংসার করতে আগ্রহী তিনি। গত বছরের শেষের দিকে আবারও দুজনের ঝগড়ার খবর সামনে আসে। তার বিরুদ্ধে নওয়াজের পাল্টা অভিযোগ, এখনও প্রথম স্বামীর বিবাহিতা স্ত্রী হিসেবে আছেন আলিয়া।