টিপ পরা শিক্ষিকাকে হেনস্তায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত

টিপ পরার জন্য ড. লতা সমাদ্দারকে হেনস্তা ও জীবননাশের চেষ্টার অভিযোগ আসা ওই পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ডিএমপি'র কমিশনার মো শফিকুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "বর্ণিত কনস্টেবল উক্ত অভিযোগকারিনীর সাথে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হওয়ার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করায় তাকে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে"।
তিনি জানান, এ ঘটনায় ২ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
"এ অভিযোগ সংক্রান্তে কমিটির সদস্যদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে," বলেন তিনি।
এর আগে, ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন ড. লতা সমাদ্দার।
জিডিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, 'আমি হয়রানির প্রতিবাদ করলে ওই পুলিশ সদস্য তার মোটরসাইকেল দিয়ে আমাকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি সরে গিয়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আমি বাইকের নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হই।'
তেজগাঁও কলেজের এই শিক্ষিকা বলেন, ঘটনাটি তিনি নিকটবর্তী ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তাদের জানালে তারা তাকে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।
এছাড়া ড. লতাও তদন্ত করে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিচার চেয়েছেন।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ও প্রতিবাদের জন্ম দেয়।
এদিকে হয়রানির ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে নারী কর্মী সংগঠন নারীপক্ষ।
অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা রোববার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট-অভ অর্ডারে বক্তব্য দেওয়ার সময় এই হয়রানির নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি সবার জন্যই ভীষণ লজ্জাজনক ঘটনা।