মেছো বিড়াল, সজারু, গন্ধগোকুল পাচার করে নিয়ে যাচ্ছিল তারা...

র্যাবের হাতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় ২৬টি বন্যপ্রাণী অবমুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে এসব বন্যপ্রাণী অবমুক্ত করা হয়েছে।
গত ১৮ জানুয়ারি যশোরের মনিরামপুর, সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ এবং ১৫ জানুয়ারি খুলনার পাইকগাছার কপিলমনি থেকে এ প্রাণীগুলো জব্দ করে র্যাব-৬ এর সদস্যরা।
জব্দ হওয়া এসব বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে একটি মেছো বিড়াল, একটি সজারু, দুইটি বানর, একটি গন্ধগোকুল, একটি অজগর, দুইটি গোখরা, দুইটি ধুসর বক, ছয়টি ডাহুক পাখি, একটি পানকৌড়ি এবং নয়টি সুদ্ধি কচ্ছপ। পাচারকারীরা বিভিন্ন সময় সুন্দরবনসহ অন্যান্য এলাকা থেকে পাচার করে এনেছিল প্রাণীগুলোকে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে মিনি চিড়িয়াখানা তৈরি করে এসব প্রাণীকে প্রদর্শনীর জন্য আটকে রাখে কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি।
উদ্ধার হওয়া এসব বন্যপ্রাণীকে করমজলে অবমুক্তের সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, স্টাফ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মোঃ আবুল কালাম আজাদ, খুলনা বিভাগীয় বণ্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান নির্মল কুমার পাল, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবিরসহ র্যাব, কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের অন্যান্য সদস্যরা।

র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে একটি চক্র চোরাই পথে পাচার করে এনে সুন্দরবনের এসব বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করেছিল। সুন্দরবনের পরিবেশের জন্য ব্যাপারটি ক্ষতিকর।
দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা সদস্যদের তথ্য অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে বন্যপ্রাণীগুলো উদ্ধার করা হয়। যারা এসব বন্যপ্রাণী পাচার ও সংরক্ষণ করেছিল তাদের জেল জরিমানা করাও হয়।
এর আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর ১৬ প্রজাতির ৪৩টি বন্যপ্রাণী জব্দ করে সুন্দরবনের এই করমজলে অবমুক্ত করা হয়। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, সুন্দরবনে মৎস্য, বনজ, বন্যপ্রাণী ও দেশের দস্যু দমনের র্যাব সবসময় প্রস্তুত। বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও চোরাচালান রোধে আগামীতেও র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে যোগ করেন তারা।