সুন্দরবনে ড্রোনে নজরদারি, অবৈধ মাছসহ নৌকা জব্দ

সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিষ দিয়ে মাছ ধরার সময় বন বিভাগ ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুটি নৌকা, মাছ ও জাল জব্দ করেছে।
বুধবার (১১ জুন) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ঝাপসী এলাকার বয়ের সিংগার শিসা খাল থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে পারমিট বন্ধ থাকে এবং মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এ সময় অপরাধ ঠেকাতে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। ড্রোন ব্যবহার করে স্মার্ট পেট্রোলিং টিম বিভিন্ন নদী ও খালে নজরদারি চালায়।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার ড্রোনে ঝাপসী এলাকার বয়ের সিংগার খালে একটি নৌকায় কয়েকজনকে দেখা গেলে দ্রুত একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে দুটি নৌকা তল্লাশি করে বিষের বোতল, বিষ দিয়ে ধরা মাছ ও জাল জব্দ করা হয়।
রেজাউল করিম আরও জানান, সুন্দরবনে ড্রোন ব্যবহার করে অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের গাবুরা এলাকার বনজীবী সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি ও তার বাবা কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনের নদীতে যান। সেখানে ছোট খালগুলোতে জেলেদের বিষ ছিটিয়ে মাছ ধরতে দেখেছেন। খালের মুখে জাল পেতে, বিষ দেওয়ার পর মাছ লাফাতে লাফাতে জালে ধরা পড়ে। বেশি মাছ ধরার আশায় জেলেরা এমনটা করে থাকেন।
সাতক্ষীরা রেঞ্জ সহযোগী হাবিবুর রহমান বলেন, 'বিষ দিয়ে মাছ ধরার প্রবণতা একেবারে নেই বলা যাবে না, তবে আমাদের এলাকায় এই প্রবণতা খুবই কম। তুলনামূলকভাবে পূর্ব রেঞ্জে এমন ঘটনা বেশি ঘটে।'
ড্রোন অপরাধ দমন কার্যক্রমে সহায়ক—এ কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, 'আমরাও ড্রোন অপারেশন করি। এটি অপরাধী শনাক্তে যথেষ্ট কার্যকর, তবে বনের ভেতরের ঝোপে থাকলে তখন দেখা যায় না।'