কুয়েটে শিক্ষার্থীদের হলছাড়া করতে ইন্টারনেট, পানি সরবরাহ বন্ধের অভিযোগ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ার জন্য বাধ্য করতে হলগুলোতে ইন্টারনেট সংযোগ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
আজ বুধবার বিকেলে ক্যাম্পাসের ছয়টি আবাসিক হল ঘুরে ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা এ অভিযোগ করেন।
ড. এস এম রশিদ হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- আজ সকাল ১০টায় হল ছাড়ার সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও অনেক শিক্ষার্থীই হলে অবস্থান করছেন। তাদের হল ছাড়তে বাধ্য করার কৌশল হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলগুলোতে ইন্টারনেট সংযোগ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলটিতে অবস্থানরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ভিসিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি। তাই তার অধীনে সিন্ডিকেটের যে সিদ্ধান্ত আসবে, স্বাভাবিকভাবেই আমরা তা মেনে নেব না। তিনি আমাদের তিন ঘণ্টা যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। যা আপনারা দেখেছেন, দেশবাসী দেখেছে।
হলগুলোতে ইন্টারনেট ও পানি সরবরাহ বন্ধের বিষয়টি জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ বলেন, এটি তার জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, হল ভ্যাকেন্ট ঘোষণার পরও যারা রয়ে গেছেন, আমাদের প্রভোস্ট ও শিক্ষকেরা তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বল প্রয়োগ করে নয়, বরং বুঝিয়ে যাতে তাদের হল থেকে বের করা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঞা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে বলা হয়। একই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অর্ধশত শিক্ষার্থী। তার পর থেকে শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ ভিসির পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এছাড়া গত রোববার শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়ে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানান।