বাসে ডাকাতি ও যৌন নিপীড়ন: গ্রেপ্তার ৩ জনের জামিন

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও দুই নারীযাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় বুধবার সন্ধ্যায় জামিনে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালত সূত্রে জামিনের কথা জানা যায়।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- বাসটির চালক বাবলু ইসলাম (৩৫), চালকের সহকারী সুমন ইসলাম (৩৫) এবং সুপারভাইজার মাহবুল আলমকে (৩৮)।
নাটোরের বড়াইগ্রাম আমলী আদালত সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম থানার এসআই শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চালান মূলে ঢাকা-রাজশাহী চলাচলকারী 'ইউনিক রোড রয়েলস' বাসের চালক বাবলু ইসলাম, চালকের সহকারী সুমন ইসলাম এবং সুপারভাইজার মাহবুল আলমকে বুধবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় তাদের আদালতের সামনে হাজির করলে আদালত শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমীন নেলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার গাবতলি থেকে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় বাসটিতে আরও কয়েকজন যাত্রী ওঠে। পরে বাসটি টাঙ্গাইল পৌঁছালে নতুন ওঠা যাত্রীসহ আরও কয়েকজন অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পরে ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে সব মালামাল লুটে নেয় এবং দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করে মির্জাপুর এলাকায় বাস থেকে নেমে যায়। মঙ্গলবার সকালে বাসটি বড়াইগ্রাম এলাকায় আসলে যাত্রীরা বাসটি আটকের জন্য থানায় খবর দেয়।'
তিনি বলেন, 'এ সময় যাত্রীরা অভিযোগ করেন ঘটনার সঙ্গে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার জড়িত থাকতে পারে। এজন্য তাদেরকে আটক করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো মামলা দায়ের না করলেও তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। বিষয়টি তদন্ততাধীন রয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হলেও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় হাজির হওয়া শর্তে তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে।'
এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য টাঙ্গাইলের এসপি এবং মির্জাপুর থানার ওসিকে ফোন দিলেও তারা ধরেননি।