ঝটিকা মিছিল: ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব ও আইনজীবী রফিকুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

রাজধানীর ধানমন্ডি ও পল্টন এলাকায় ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঝিনাইদহ জেলা সহসভাপতি মো. বিপ্লব হোসেন এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী ও ঢাকা বারের সদস্য রফিকুল আলম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার পৃথক দুটি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াস ও আতিকুর রহমানের আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা- ডিবির রমনা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ এবং পল্টন থানার উপপরিদর্শক মো. মাকসুদুর রহমান- দুজনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল ধানমন্ডি থেকে বিপ্লবকে এবং একই দিনে আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের সামনে থেকে রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে।
বিপ্লবের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৩১ আগস্ট নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ জন সদস্য ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোডে ঝটিকা মিছিল করে। পরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। আসামিরা একত্রিত হয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে অপপ্রচারমূলক স্লোগান দেয় এবং বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অপরাধ সংঘটিত করে। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক মো. আকিব নূর বাদী হয়ে মামলা করেন।
রফিকুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২৪ আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানাধীন গুলিস্তানের শহীদ মতিউর পার্কের উত্তর পাশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের ২০০ থেকে ২৫০ জন নেতা-কর্মী মিছিল করে। এসময় আসামিরা আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট ও বড় ধরনের অঘটন ঘটানোর উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেয়। পরদিন ২৫ আগস্ট পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।