যৌথবাহিনীর ওপর এসিড হামলার মামলায় কথক দাশকে ৩ দিনের রিমান্ড

চট্টগ্রাম নগরের হাজারী গলিতে যৌথবাহিনীর কাজে বাধা দান ও অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডা. কথক দাশের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত। আদালতে আসামি কথক দাশের উপস্থিতিতে এ রিমান্ড শুনানি হয় বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা দান ও অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি ডা.কথক দাশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ৫ নভেম্বর ইসকনের বর্তমান কার্যক্রমের সমালোচনা করে মো.ওসমান নামের একজন দোকানদার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যাকে কেন্দ্র করে হাজারী গলিতে ৫০০-৬০০ জন ইসকন সমর্থক তাঁর দোকানে হামলা করে। বিশৃঙখল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং জনগণের জান-মাল রক্ষার্থে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে কিছু বিক্ষুব্ধরা যৌথবাহিনীর ওপর হামলা করে। এসময় দুষ্কৃতকারীরা যৌথবাহিনীর সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল ও অ্যাসিড ছোড়ে। এতে সেনাবাহিনীর ৫ জন সদস্যসহ ১২ জন আহত হন।
এ ঘটনার পর হাজারী গলিতে অভিযান চালিয়ে ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন, যেখানে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়।
আসামি ডা. কথক দাশ একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ, সনাতন ধর্মের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে তিনি সম্পৃক্ত বলে জানা যায়। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের সমর্থক হিসেবেও পরিচিত।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে যুক্তরাজ্যে যাবার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হলে কথককে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরদিন তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়। নগরীর কোতোয়ালী থানায় কথকের বিরুদ্ধে থাকা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে—- আদালতের নির্দেশে দুইদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর নগরীর কোতোয়ালী থানায় জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেছিলেন ফিরোজ নামে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসও কারাগারে আছেন।