Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
July 31, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, JULY 31, 2025
চট্টগ্রামে রক্ষিত বন ও ব্যক্তিগত জমি দখলের অভিযোগ রিসোর্ট মালিকদের বিরুদ্ধে

বাংলাদেশ

মিজানুর রহমান ইউসুফ
08 February, 2025, 02:05 pm
Last modified: 08 February, 2025, 02:07 pm

Related News

  • চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে নগরবাসী
  • সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে রাজস্ব কর্মকর্তাসহ দুজন বরখাস্ত
  • চট্টগ্রামে আইসিডি বেইজড নতুন কাস্টম হাউস গঠন করা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
  • চট্টগ্রামে দ্রুত ছড়াচ্ছে চিকুনগুনিয়া, চিকিৎসা নিতে আসা প্রতি ১০ জনের ৭ জন আক্রান্ত
  • চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

চট্টগ্রামে রক্ষিত বন ও ব্যক্তিগত জমি দখলের অভিযোগ রিসোর্ট মালিকদের বিরুদ্ধে

রিসোর্ট মালিক মুনাল মাহবুব ও তাসনিম মাহমুদ সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। মুনাল বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা এবং আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ মাহবুবুল আলমের মেয়ে।
মিজানুর রহমান ইউসুফ
08 February, 2025, 02:05 pm
Last modified: 08 February, 2025, 02:07 pm
মাটি-রিসোর্ট। ছবি: টিবিএস

চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে অবস্থিত মাটি-টা রিসোর্টের মালিকদের বিরুদ্ধে রক্ষিত বন ও ব্যক্তিগত জমি দখল, পাহাড় কেটে ফেলা এবং গাছ কেটে সম্পত্তি সম্প্রসারণের অভিযোগ উঠেছে। 

রক্ষিত বনের ৪০ শতক জমি দখল ও পরিপক্ক গাছ কাটার আভিযোগ এনে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের  বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ।

এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রিসোর্টটি গড়ে তুলতে স্থানীয় অন্তত চার মালিকের ১ একরের মতো জমি জোরপূর্বক দখল করেছেন রিসোর্ট মালিকরা।

রিসোর্টটি মূলত মালিকদের প্রায় ২০ একর জমিজুড়ে বিস্তৃত। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, রক্ষিত বন ও পার্শ্ববর্তী সম্পত্তি দখল করে মালিকেরা ধীরে ধীরে রিসোর্টের সীমানা বাড়িয়েছেন।

রিসোর্ট মালিকরা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, সমস্যাগুলোর সমাধান করা হয়েছে।

রিসোর্ট মালিক মুনাল মাহবুব ও তাসনিম মাহমুদ সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। মুনাল বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা এবং আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ মাহবুবুল আলমের মেয়ে।

মাহবুবুল আলম চট্টগ্রাম চেম্বার অভ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি। পরবর্তীতে ফেডারেশন অভ বাংলাদেশ চেম্বারস অভ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি হিসেবে একাধিক মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি এ পদ থেকে ইস্তফা দেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এই প্রভাব রিসোর্টটিকে তদন্ত ও জবাবদিহি থেকে রক্ষা করেছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, জমি দখল করে নেওয়ার পর উল্টো ভুক্তভোগীদের মামলা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন দিয়ে হয়রানিও করেছেন মুনাল-তাসনিম দম্পতি। 

তারা আরও বলেন, রিসোর্টটি নির্মাণের জন্য প্রচুর গাছ কাটা হয়েছে, যা স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।

স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, রিসোর্টটি নির্মাণের পর কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের বনে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেয়। এতে ওই এলাকার শতাধিক মানুষ তাদের জীবিকা হারায়।

বন বিভাগের মামলা

২০২১ সালের ২৯ জুন চট্টগ্রাম বন আদালতে মাটি-টার মালিকদের বিরুদ্ধে রক্ষিত বনের ৪০ শতাংশ জমি দখল ও ও ২৫ টি পরিপক্ক গাছ কেটে পরিষ্কার করার অভিযোগে একটি মামলা করে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ। 

চট্টগ্রাম বন বিভাগের (উত্তর) সহকারী বন কর্মকর্তা সফিউল করিম মজুমদার মামলাটি পরিচালনা করছেন। তিনি টিবিএসকে বলেন, চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালত ইতোমধ্যে মাটি-টা রিসোর্টের মালিকের বিরুদ্ধে গাছ কাটা ও রক্ষিত বনভূমি দখলের প্রমাণসহ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত একই আদালতে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে একটি আবেদন করেছিলেন। আদালতে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন। 

সফিউল করিম আরও বলেন, অভিযুক্ত তাসনিম মাহমুদ বন বিভাগের বিরুদ্ধে একটি পৃথক মামলা করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছিলেন। গত ১৫ জানুয়ারি প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন।

বন বিভাগের তথ্য অনুসারে, মাটি-টার পাশের পাহাড়টি বন বিভাগের (উত্তর) কুমিরা ফরেস্ট রেঞ্জের অধীনে দক্ষিণ জঙ্গল সোনাইছড়ি রক্ষিত বনের অংশ। ২০১১-১২ অর্থবছরে এই জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করে বন বিভাগ।

জমি দখলের অভিযোগ

রক্ষিত বনভূমি দখলের পাশাপাশি স্থানীয়রা রিসোর্ট মালিকদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাদের জমি দখলের অভিযোগও করেছেন।

সাবের শাহ ইমন দক্ষিণ জঙ্গল সোনাইছড়ি এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ১ একর জমি লিজ নিয়ে ২০১৬ গড়ে তোলেন আম ও ড্রাগন ফলের বাগান।

সাবেরের দাবি, ২০১৯ সালে তার বাগানের পাশে মাটি-টা রিসোর্ট নির্মানের কাজ শুরু হয়। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান মাটি-টা কর্তৃপক্ষ পুলিশের উপস্থিতিতে একটি এক্সকাভেটর দিয়ে তার আমগাছগুলো উপড়ে তা আবার মাটি দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে। 'এ সময় বাধা দিতে গেলে পুলিশ দিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে আমাকে সরিয়ে দেয়া হয়।' জমির মালিকদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পান, তাদের প্রায় ৬ শতক জমি দখল করে তারকাঁটার বেড়া দিয়ে ফেলেছে মাটি-টা কর্তৃপক্ষ।

জমির মালিক নইম শাহ ইমরান বলেন, 'সীমানা নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি থাকলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও ভূমি অফিসের  মাধ্যমে পরিমাপ করে তা সমাধান করা যেত। কিন্তু কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে তারা আমাদের জমি দখল করে ফেলে। অবৈধ এই দখলের প্রতিবাদ করলে আমাদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানিও করে মাটি-টা কর্তৃপক্ষ।'

তিনি আরও বলেন, 'শুধু আমাদের নয়। রিসোর্টটির আশপাশে আরও ৪-৫ জনের জমি দখল করে উল্টো তাদের নামে থানায় মামলা করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছেন রিসোর্ট মালিকেরা। মুনাল-তাসনিম দম্পতি চট্টগ্রাম চেম্বার ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলমের প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যবহার করে এসব অবৈধ দখলদারিত্ব চালিয়ে গেছেন।'

আরেক ভুক্তভোগী যুক্তরাজ্যপ্রবাসী কাদের চৌধুরী বলেন, 'মাটি-টার পশ্চিম সীমানার পাশে আমাদের ৯৬ শতকের একটি প্লট আছে। ২০২১ সালে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ প্রায় অর্ধেকের মতো জমি দখল করে নিয়েছে। আমি ফোন করে পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ডেকে এনেছিলাম। কোনো কাজ হয়নি। উল্টো তারা আমাকে কোনো ঝামেলায় না জড়ানোর পরামর্শ দেয়।'

তিনি অভিযোগ করেন, 'আমি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নেয়নি। উল্টো কয়দিন পর শুনতে পাই রিসোর্টের মালিক আমাদের নামে আদালত ও থানায় পৃথক মামলা করেছে।'

সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার ভূমি আবদুল্লাহ আল মামুন টিবিএসকে বলেন, রক্ষিত বনের জমি দখলের অভিযোগে বন বিভাগ মাটি-টা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে। তবে স্থানীয় কোনো ব্যক্তির জমি দখলের কোনো আভিযোগ পাননি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

'অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে,' বলেন তিনি।

মাটি-টা রিসোর্ট

সোনাইছড়ি রক্ষিত বনের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত মাটি-টা রিসোর্টে বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রায় ৩০০ মানুষের রাত্রিযাপনের সুবিধা রয়েছে। 

স্থানীয়দের দাবি, ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই রিসোর্টের নির্মাণকাজ আশপাশের পরিবেশে আমূল পরিবর্তন এনেছে।

রিসোর্টটি নির্মাণের আগে এলাকাটিতে ছিল ঘন আর বনে যাওয়ার একটু সরু পথ। এখন রিসোর্টটির সামনে তৈরি করা হয়েছে একটি সুইমিংপুল ও একটি কৃত্রিম হ্রদ। সুইমিং পুলের পাশেই আছে একটি বড় স্থাপনা। উভয় পাশের পাহাড়ের গাছ কেটে নির্মাণ করা হয়েছে নানা স্থাপনা। পাশেই একটি পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে বড় একটি মাঠ। 

উত্তর পাশে পাহাড়গুলোতে ঘন বন থাকলেও দক্ষিণ পাশে রিসোর্টের মালিকানায় থাকা পাহাড়ে দেখা যায় গাছ কেটে পরিষ্কার করে ফেলার আলামত। 

স্থানীয়দের অভিযোগ দুই দিকের পাহাড় কাটার পাশাপাশি অন্তত ৫ হাজার গাছ কেটে পরিষ্কার করেছে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। এতে ওই এলাকার জীববৈচিত্র্যে পড়েছে বিরুপ প্রভাব।

পরিবেশবান্ধব বলে দাবি করা হলেও রিসোর্টটির পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে।

জীববৈচিত্র্যে নেতিবাচক প্রভাব

একসময় মেছো বাঘ, হরিণ, বানরের মতো বন্যপ্রাণীর আনাগোনা থাকলেও রিসোর্ট নির্মাণের পর ওই এলাকার পাহাড়গুলোতে তাদের আর দেখা যায় না।

বন বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদরা বলছেন, প্রতিটি বনের একটি নিজস্ব বাস্তুসংস্থান ও জীববৈচিত্র্য গড়ে ওঠে। বনে মানুষের আগ্রাসন ও স্থাপনা নির্মাণ জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুসংস্থানকে হুমকিতে ফেলে দেয়। ভেঙে যায় খাদ্যশৃঙ্খল। এতে অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদের অস্তিত্ব হুমকিতে পড়ে।

তাই বন বা বনের প্রবেশপথে রিসোর্ট নির্মাণ করা বিপজ্জনক বলে সতর্ক করেন করছেন প্রবীণ বন গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অভ ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সেসের সাবেক অধ্যাপক  ড. কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, 'যতই পরিবেশবান্ধব করে রিসোর্ট তৈরি করা হয় না কেন, এতে বনের কোনো না কোনো ক্ষতি হয়ই।' 

কামাল হোসেন বলেন, একসঙ্গে অনেক মানুষ যখন বনে হাঁটা-চলা করে তখন বন্যপ্রাণীরা ভয়ে দূরে চলে যায়। বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও গুল্মও হুমকিতে পড়ে। 

'একজনের দেখাদেখি অন্যরাও রিসোর্ট নির্মান করতে চাইবে, যা বনের জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংস করে দিতে পারে,' বলেন তিনি।

সচেতন নাগরিক কমিটির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি, অ্যাডভোকেট আখতার কবীর চৌধুরী বলেন, 'যে সময়ে মাটি-টা রিসোর্টটি গড়ে উঠেছিল, সে সময় দেশে কোনো আইনের শাসন ছিল না। প্রভাবশালীরা নিজেদের মতো করে আইনকে ব্যবহার করেছেন।'

তিনি বলেন, 'পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, জাতীয় অতি গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ ছাড়া কোনো পাহাড় কাটার সুযোগ নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড়ও ড্রেজিং বা রেজিং করার কোনো সুযোগ নেই।'

সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইন ভেঙে পাহাড় কেটে ও বনের জমি দখল করে গড়ে তোলা রিসোর্টটি নির্মাণ ও অনুমোদনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই আইনজীবী।

পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক মনিরা পারভিন রুবা টিবিএসকে বলেন, 'বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে দুই পাহাড়ের মাঝে পাহাড় ও গাছ কেটে কোনো রিসোর্ট নির্মাণ করার কোনো সুযোগই নেই।'

এই রিসোর্ট নির্মাণ ও একে পরিবেশ ছাড়পত্র ও অনুমতি দেওয়ার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি রিসোর্টটি উচ্ছেদেরও দাবি জানান, যাতে অন্য কেউ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে এমন রিসোর্ট নির্মাণের চিন্তাও না করে।

অভিযোগ অস্বীকার মাটি-টা কর্তৃপক্ষের

পাহাড় কাটা, রক্ষিত বন ও স্থানীয়দের জমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাটি-টার পরিচালক তাসনিম মাহমুদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, বন বিভাগ যে জমি দখলের অভিযোগে মামলা করেছে, তার মালিক নূরজাহান গ্রুপ। 

গাছ কাটার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তারা [বন বিভাগ] অভিযোগে উল্লেখ করেছে, কোনো এক গোয়েন্দা শাখার কাছে জানতে পারে আমি গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছি। তা-ও দুই মাস পরে মামলা করেছে।'

পুলিশ বা ফৌজদারি মামলা দিয়ে স্থানীয়দের হয়রানির বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি। এছাড়া রিসোর্ট গড়ে তুলতে কোনো গাছ বা পাহাড় কাটা হয়নি বলেও দাবি করেন।

তাসনিম বলেন, 'আমাদের জমিটি খাদেমোড়া ও জঙ্গল সোনাইছড়ি মৌজার সীমানায় অবস্থিত। আরএস ও বিএস জরিপে যেখানে প্রায় ৩০ ফুটের একটি গরমিল রয়েছে। আমি আদালতে বিএস রেকর্ড সংশোধন চেয়ে মামলা করেছি এবং রায়ও আমার পক্ষে এসেছে। তাই জমিগুলো আমি আমার দখলে নিয়েছি।'

তবে টিবিএসের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মামলা করার আগে ও পরে এবং মামলায় আদালত কোনো রায় দেওয়ার আগেই তিনি জমিগুলো দখলে নিয়েছেন। তার করা মামলাগুলো এখনো চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন। 

মুনাল মাহবুব রিসোর্টের মালিকানায় থাকার বিষয়টি স্বীকার করলেও তিনি কোনো মন্তব্য করে রাজি হননি। 

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলমের মোবাইল নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

Related Topics

টপ নিউজ

চট্টগ্রাম / জমি দখল / রিসোর্ট / রিসোর্ট নির্মাণ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বিমান যাত্রায় ঝাঁকুনি কেন আগের চেয়ে বেশি? কেন তীব্রতা বাড়ছে?
  • যুক্তরাজ্যে বিমানের ভেতর ‘ট্রাম্পের মৃত্যু হোক’, ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার: ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, গ্রেপ্তার ১
  • আইএফআইসি আমার বন্ড কেলেঙ্কারি: সালমান-শায়ান-শিবলী রুবাইয়াতকে আজীবন পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
  • রায় জালিয়াতির অভিযোগ: আদালতে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল বললেন, 'ইটস নট ট্রু'
  • 'ভালো বন্ধু' ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে চান ট্রাম্প
  • কর ফাঁকি: ১৫০ প্রকৌশলী, বিচারক ও পাসপোর্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট

Related News

  • চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে নগরবাসী
  • সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে রাজস্ব কর্মকর্তাসহ দুজন বরখাস্ত
  • চট্টগ্রামে আইসিডি বেইজড নতুন কাস্টম হাউস গঠন করা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
  • চট্টগ্রামে দ্রুত ছড়াচ্ছে চিকুনগুনিয়া, চিকিৎসা নিতে আসা প্রতি ১০ জনের ৭ জন আক্রান্ত
  • চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

বিমান যাত্রায় ঝাঁকুনি কেন আগের চেয়ে বেশি? কেন তীব্রতা বাড়ছে?

2
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যে বিমানের ভেতর ‘ট্রাম্পের মৃত্যু হোক’, ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার: ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, গ্রেপ্তার ১

3
বাংলাদেশ

আইএফআইসি আমার বন্ড কেলেঙ্কারি: সালমান-শায়ান-শিবলী রুবাইয়াতকে আজীবন পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

4
বাংলাদেশ

রায় জালিয়াতির অভিযোগ: আদালতে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল বললেন, 'ইটস নট ট্রু'

5
আন্তর্জাতিক

'ভালো বন্ধু' ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে চান ট্রাম্প

6
অর্থনীতি

কর ফাঁকি: ১৫০ প্রকৌশলী, বিচারক ও পাসপোর্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net