জামানত হারালেন তৃণমূল বিএনপির তৈমূর

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার ছিলেন আলোচিত নাম। বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া তৈমূর তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে জায়গা করে নেন মহাসচিব পদে। এবার নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছিলেন জোড়ালো কণ্ঠে। কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে শেষত জামানতই বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার।
নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ১২৮ টি কেন্দ্র মিলিয়ে তৈমূর পেয়েছেন তিন হাজার ১৯০টি ভোট। তার প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে পুরো নির্বাচনে বাতিল হওয়া ভোটের সংখ্যাই বেশি। পুরো নির্বাচনে বাতিল হয়েছে মোট চার হাজার ৩৫টি ভোট।
নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, একটি নির্বাচনী এলাকায় মোট প্রদত্ত ভোটের শতকরা সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট পেলে একজন প্রার্থীর জামানত রক্ষা হয়। আসনটিতে মোট ভোট পড়েছে দুই লাখ ১২ হাজার ৬২৪ টি। সে হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য তৈমুর আলম খন্দকারের প্রয়োজন ছিল ২৬ হাজার ৫৭৮টি ভোট।
নির্বাচনী হিসাবে তৈমূর তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। নির্বাচনে অংশ নেওয়া নয় প্রার্থীর মধ্যে সাত প্রার্থীর জামানতই বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
আসনটিতে মোট তিন লাখ ৮৫ হাজার ৬১৬ ভোটারের মধ্যে ৫৫.১৪ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে। এর মধ্যে গোলাম দস্তগীর গাজী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩টি ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভুঁইয়া কেটলী প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫টি ভোট।
অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যে জাকের পার্টির যোবায়ের আলম ভুঞা গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৬০৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান আলমিরা প্রতীকে পেয়েছেন ১৬৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৯৬ ভোট, ইসলামি ঐক্য ফ্রন্টের শহীদুল ইসলাম চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন ৮২০ ভোট, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৫৬৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী গোলাম মূর্তজা ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯১ ভোট।