ইলিশা-১-এর ৩য় স্তরে সন্ধান মিলল গ্যাস মজুতের

ভোলার ইলিশা-১ ফিল্ডের তৃতীয় স্তরে গ্যাসের মজুত পাওয়া গিয়েছে। এ মজুত থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বাপেক্স-এর কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে সোমবার (১৫ মে) বলেন, ওই জোনে ড্রিল স্টেম টেস্ট (ডিএসটি) শুরু করার পর কূপে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা ও রেকর্ড করা হবে।
নতুন এ মজুতসহ গ্যাসক্ষেত্রটির তিনটি স্তরে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুত পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছেন বাপেক্স কর্তৃপক্ষ। এ মজুত থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ২৫ থেকে ২৭ বছর ধরে উত্তোলন করা যাবে বলে মোহাম্মদ আলী জানান।
তিনি বলেন, 'এটি দেশের ২৯তম এবং দ্বীপজেলা ভোলার তৃতীয় গ্যাসক্ষেত্র হতে যাচ্ছে।'
বর্তমানে ভোলার তিনটি গ্যাসক্ষেত্রের নয়টি কূপের দৈনিক ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে।
অভ্যন্তরীণ গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে এবং দেশে জ্বালানি সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকার নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে বাপেক্স ভোলায় ইলিশা-১-এর খনন শুরু করে।
গত ৮ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাট সংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ কূপের খনন কাজ শুরু হয়। তিন স্তরে ডিএসটির মাধ্যমে ৩,৪৭৫ মিটার গভীরে সফলভাবে খননকাজ সম্পন্ন হয় ২৪ এপ্রিল।
সূত্র অনুযায়ী, বাপেক্সের সঙ্গে নকশা ও নির্দেশনা চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার গ্যাজপ্রম খননকাজ চালাচ্ছে।
১৯৯৩-৯৪ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিনে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে আবিষ্কারের পর একে একে সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ নামের আলাদা দুটি গ্যাসক্ষেত্রে ৮টি কূপ খনন করা হয়। এসব কূপে মোট গ্যাস মজুদের পরিমান ১ দশমিক ৭ টিসিএফ ঘনফুট বলে জানা গেছে।