কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন শমী কায়সার

অভিনেত্রী শমী কায়সার দুই পৃথক হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কারাগারের জেলা সুপার কর্তৃক জামিনের কাগজপত্র যাচাইয়ের পর শমী কায়সারকে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে মুক্তি দেওয়া হয়।
শমী কায়সারকে গত ৫ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের করা দুটি পৃথক হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।
গত ১০ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এএসএম আবদুল মবিন ও বিচারপতি মো. জাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জুবায়ের হাসান ইউসুফ হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে জামিন দেন। এর আগে ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার মামলায়ও আদালত থেকে জামিন পান। উভয় মামলায় জামিন পাওয়ার পর আর কোনো মামলা না থাকায় আদালতের আদেশ অনুযায়ী তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
শমী কায়সার শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার ও লেখক-গবেষক, শিশু সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সারের কন্যা। তিনি একজন অভিনেত্রী এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। শমী কায়সার আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও তা পাননি।
তিনি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ছিলেন এবং একই সঙ্গে এফবিসিসিআই-এর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৪ আগস্ট শমী কায়সার ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।