জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী সঠিকভাবে, সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে: আইনমন্ত্রী

সঠিকভাবে, সঠিক সময়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ (রোববার) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। নির্বাচন গণতান্ত্রিক দেশের একটি সাধারণ বিষয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী, সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। আমরা আশা করবো, এই সরকারের মেয়াদান্তে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তাতে সব দল অংশগ্রহণ করবে।
মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, 'শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য, গণতন্ত্রের শিকড়কে শক্ত করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করছে। এই দেশে গণতন্ত্রের যে বিকাশ হয়েছে, সেটা শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই হয়েছে। দেশে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার যে অধিকার আছে, তা যদি কেউ বাধাগ্রস্ত করে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে দলই বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা করুক; সেটাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নিবে। এটা পরিষ্কার কথা'।
মন্ত্রী আরও বলেন, 'শেখ হাসিনার সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। এই দায়বদ্ধতার মধ্যে সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে, আমরা দেশের উন্নয়নের ব্যাপারে জনগণকে কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমরা সেই প্রতিশ্রুতিগুলো রক্ষা করার চেষ্টা করব। আমাদের কাজ জনগণের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সেখানে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইন রক্ষার্থে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে'।
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, জনগণের কাছে যেসব অঙ্গীকার করা হয়েছিল, তার মধ্যে যেগুলো এখনও শেষ হয়নি, সেগুলো শেষ করা। তিনি যেসব অঙ্গীকার করেছিলেন তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার- পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। এ বছর বঙ্গবন্ধু টানেল, ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-সিলেট চার লেনের রাস্তা চালু করা হবে, ইনশাল্লাহ। যেসব উন্নয়ন প্রকল্প এবছর শেষ হওয়ার কথা সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে, প্রকল্পগুলো শেষ করা হবে'।
মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চেয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বেশি। উদাহরণস্বরূপ যেসব ক্ষেত্রে জনগণ বিচার পায়নি, সেসব ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সেবামূলক সরকারের আমলে মানুষ বিচার পেয়েছে। যারা বলছেন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তারা কিন্তু অতীতে যে বড় বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে সেটার কথা বলেন না'।
আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।