আপনি সব কিছু নিয়েই কথা বলেছেন, কেবল রোডম্যাপ বাদে: মির্জা ফখরুল

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেশষ্টা নির্বাচনের রোডম্যাপ বাদে আর প্রায় সব বিষয়েই কথা বলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার (২৮ মে) রাতে মির্জা ফখরুল তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে ইংরেজিতে দেওয়া এক পোস্টে একথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই অধ্যাপক ইউনুসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের সঙ্গে শুধু সহযোগিতা নয়, সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে আমাদের দল—এমনটাই জানিয়েছেন দলটির এই শীর্ষ নেতা।
তিনি বলেন, "আমরা প্রতিটি সংস্কার বিষয়ক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছি, প্রস্তাবনা জমা দিয়েছি এবং যেখানে দ্বিমত পোষণ করেছি, সেখানে সুনির্দিষ্ট যুক্তিসহ নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছি। আমরা বারবার বলেছি—সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিশ্বের কোনও গণতান্ত্রিক দেশেই সংস্কারের নামে সব কিছু থমকে থাকে না।"
"আর গণতন্ত্রে একটি জনগণের সংসদ গঠনের জন্য নির্বাচন কখনোই সংস্কারের দোহাই দিয়ে স্থগিত রাখা যায় না"- বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের স্মরণে রাখা দরকার, আমরা কেবল একটি কর্তৃত্ববাদীই নয়—বরং সরাসরি একটি স্বৈরশাসন থেকে উত্তরণ করেছি। এখন বাংলাদেশের জনগণ প্রস্তুত—একটি নতুন সংসদের জন্য। একটি সংসদ, যা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হবে, যেটি তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করবে। এমন একটি সংসদ যেখানে জনপ্রতিনিধিরা দেশের – উন্নয়নের নীতি নিয়ে, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার নিয়ে ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলবেন।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমরা একটি (নির্বাচনি) রোডম্যাপ চেয়েছি। কিন্তু, ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও সরকার রোডম্যাপ প্রসঙ্গে নিরব। আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) প্রায় সব কিছু নিয়েই কথা বলেছেন—শুধু রোডম্যাপ ছাড়া। এই অনুপস্থিতিই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে গুরুতর প্রশ্নের উদ্রেক করে।"
আজ বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির যুব সমাবেশে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এবিষয়ে ফখরুল বলেন, "আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্পষ্ট করে দিয়েছেন—নির্বাচন হতে হবে ডিসেম্বরেই!"
উল্লেখ্য, বর্তমানে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থান করছেন বিএনপি মহাসচিব।