সাতক্ষীরা উপকূল থেকে ট্রলারযোগে খুলনায় সমাবেশে আসছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা

খুলনায় বিএনপির সমাবেশের আগে গণপরিবহন ধর্মঘটের মুখে সব বাধা উপেক্ষা করে ট্রলারে করে ১৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
এমন দৃশ্য দেখা গেছে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারী ইউনিয়নে। আজ শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে ট্রলারে করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে দেখা যায়।
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে দুই দিনের বাস ধর্মঘট ও লঞ্চ ধর্মঘটের পর রূপসার মাঝিরাও ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়।
শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো, ভৈরব থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত নদী খনন, ভারতগামী জাহাজের ল্যান্ডিং পাসসহ ১০ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছে যাত্রীবাহী লঞ্চ শ্রমিকরা।
বিএনপি নেতারা বলছেন, সমাবেশে আসতে বাধা দিতে বাস ও লঞ্চ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, ১০ দফা দাবিতে তারা যাত্রীবাহী লঞ্চে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট শুরু করেছেন। এর ফলে ২টি রুটে ৬টি লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিএনপির নেতাদের অভিযোগ বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার পর লঞ্চ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী জানান, কোনভাবেই সমাবেশে জনস্রোত বন্ধ করা যাবে না। বাস বন্ধ করলেও আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে।
'নৌকা, মোটরসাইকেল যোগে বিচ্ছিন্নভাবে ছয় হাজার নেতাকর্মী সাতক্ষীরা থেকে সমাবেশে যোগদান করবে।'