জাকসু নির্বাচন: ১৭ হলের ভোট গণনা শেষ, ৫ হলের অনানুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট গণনা শেষ হয়েছে ২১টি হলের মধ্যে ১৭টির। এর মধ্যে পাঁচটি হলে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে অনানুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ফলাফল প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত অনানুষ্ঠানিক ফলাফল
মীর মশাররফ হোসেন হলে ভিপি হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জুবায়ের শাবাব (১৯১ ভোট), জিএস শাহরিয়া নাজিম রিয়াদ (১৯২ ভোট) এবং এজিএস আরাফাত (১৭৯ ভোট)। জুবায়ের শাবাব ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮তম আবর্তনের শিক্ষার্থী।
শহীদ সালাম-বরকত হলে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন রসায়ন বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের মারুফ এবং জিএস হয়েছেন মাসুদ রানা।
১০ নম্বর ছাত্র হল (সাবেক মুজিব হল)-এ ভিপি হয়েছেন আসিফ মিয়া, জিএস মেহেদি হাসান এবং এজিএস নাদিম মাহমুদ।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন রাকিবুল ইসলাম, জিএস আলী আহমদ এবং এজিএস লাবিব।
আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম রায়হান কবীর।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ২১টি হলে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শুরুর দিকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও দুপুরের পর তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্রের বাইরে দীর্ঘ সারির কারণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল ও তাজউদ্দীন আহমদ হলে সন্ধ্যার পরও ভোট চলতে থাকে। রাত ১০টার পর ভোট হাতে গণনা শুরু হয়।
নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক রশিদুল আলম জানান, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
এদিকে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- বিভিন্ন হলে ভিন্ন নির্দেশনা কার্যকর, ভোটার তালিকায় ছবির অনুপস্থিতি এবং কিছু কেন্দ্রে ভোটারদের আঙুলে অমোচনীয় কালি না দেওয়া।
উল্লেখ্য, ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন আট হাজার তিনজন, যা মোট ভোটারের ৬৭.৯ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৩৪০ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৬২০ জন প্রার্থী। ২১টি হলে ৩১৫ পদে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ১৩১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এবং ৬৮টি পদ শূন্য রয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে লড়েছেন ১৭৭ প্রার্থী, যার মধ্যে ১৩২ জন ছাত্র ও ৪৫ জন ছাত্রী।