হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকা ৯ যুক্তরাজ্য প্রবাসী হঠাৎ ‘উধাও’

১৮ মার্চ যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিলেটে ফিরেছিলেন একই পরিবারের ৯ প্রবাসী। সরকারি নির্ধেশনা মেনে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিলো নগরের আম্বারখানা এলাকার হোটেল বৃটেনিয়ায়। তবে রোববার দুপুরে 'কাউকে কিছু না বলেই বাড়ি চলে যান তারা'।
কোয়ারেন্টিনের নিয়ম অনুযায়ী হোটেলের বাইরে বের হওয়া ও হোটেলের ভেতরে বাইরের কারো সাথে সাক্ষাত না করার নির্দেশনা থাকলেও তারা অমান্য করেই সিলেটের জকিগঞ্জে নিজ বাড়িতে চলে যান এই প্রবাসীরা।
রোববার দুপুর ২টার দিকে হোটেলের নিরাপত্তা বলয় ফাঁকি দিয়ে তারা জকিগঞ্জে বাড়িতে চলে যায় বলে জানায় হোটেল কর্তৃপক্ষ।
নগরের যেসব হোটেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে সেগুলোতে সার্বক্ষণিকভাবে পুলিশ অবস্থান করছে। পুলিশের উপস্থিতিতে তারা কীভাবে বাড়ি চলে গেলেন এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, "ওই হোটেলে ৩ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্বরত রয়েছেন। তাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও কীভাবে প্রবাসীরা বাড়ি চলে গেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বা হোটেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রোববার দুপুর ২টার দিকে ২০৩, ৬০৩ নম্বর কক্ষে থাকা একই পরিবারের ৯ প্রবাসী কাউকে কিছু না বলে চলে যান। পরে মুঠোফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। প্রবাসীরা জানিয়েছেন, তারা মুমুর্ষ রোগী দেখতে বাড়িতে গেছেন। তারা পুনরায় হোটেলে কোয়ারেন্টিনে ফিরবেন বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
হোটেল ব্রিটানিয়ার ব্যবস্থাপক কাওছার খান বলেন, "পালিয়ে যাওয়া ৯ প্রবাসী ১৮ মার্চ লন্ডন থেকে এসে কেয়ারেন্টিনে থাকতে শুরু করেন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে আগামী ২৬ মার্চ তাদের কেয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার কথা।"
ওই পরিবারের সদস্যরা হলেন, আব্দুল মালিক (৪৬), রুনা আক্তার (৪৪), তামিমা আক্তার(৯), তায়্যিবা আক্তার (১১), রুবাবা আক্তার (৪৩), রাহিমা বেগম (৪৩), রাদিয়া আক্তার (১১), সায়েমা বেগম (১৮) ও এম তাহমিদ চৌধুরী (৪)।
যুক্তরাজ্যে নতুন ধরণের করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষিতে গত ১ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করে সরকার। এজন্য সিলেটের ১০টি হোটেলকে নির্ধারণ করা হয়। ১ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্য হতে আসা যাত্রীরা প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকছেন। বিমানবন্দর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারির মাধ্যমে তাদের হোটেলে এনে রাখা হয়।