Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
August 12, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, AUGUST 12, 2025
পাহাড়ে সংঘর্ষ বাড়ছে হাতি আর মানুষে 

বাংলাদেশ

19 May, 2021, 03:30 pm
Last modified: 19 May, 2021, 03:40 pm

Related News

  • শেরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল আরও একটি বন্যহাতির
  • হাতি সংরক্ষণে নতুন উদ্যোগ: উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ বানাবে সরকার
  • অস্ত্র নয়, হাতিই ছিল এ উপমহাদেশের রাজনীতি ও পরিবেশের প্রতীক
  • ঐ তে ঐরাবত 
  • দোকানে হানা দিলো হাতি, খাবার খেয়ে ‘টাকা না দিয়েই’ পালালো!

পাহাড়ে সংঘর্ষ বাড়ছে হাতি আর মানুষে 

বন্য হাতির প্রাকৃতিক খাবার সঙ্কট, হাতির আবাসস্থলে মানুষের বসবাস বেড়ে যাওয়া, সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ, প্রাকৃতিক ঝিরি-ঝরণা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে বন্য হাতিকে খাবার ও পানির সন্ধানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত হাতি ও মানুষ মুখোমুখি হচ্ছে। 
19 May, 2021, 03:30 pm
Last modified: 19 May, 2021, 03:40 pm
মাঝে মাঝেই এভাবে নেমে আসে হাতির পাল; ছবি-টিবিএস

বহু বছর আগে সবুজ পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিলো বন আর জীববৈচিত্র্যপূর্ণ এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। কিন্তু মানুষের আগ্রাসী ও লোভী চোখ থেকে মুক্তি পায়নি সবুজ পাহাড় আর পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য। বন উজাড়,জুম চাষের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করা, নির্বিচারে বন্য প্রাণী শিকার-পাচার ও ভক্ষণ,জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে ক্রমশ বিবর্ণ হয়েছে পাহাড়ের প্রাণ বৈচিত্র্য। শুধুই বিবর্ণ? ক্রমশ ঝুঁকিতে পড়ে বিলীন হওয়ার পথেই যেন হাঁটছে পাহাড়ের ঐতিহ্য এশীয় প্রজাতির হাতি। সাম্প্রতিক সময়ে হাতির করিডোরে অবাধে চাষাবাদ, বাগান করা, বসতি নির্মাণ, হাতির খাদ্য সংকটসহ নানান কারণে প্রায়শই মানুষের মুখোমুখি হয়ে পড়ছে হাতি; প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ এবং হাতি উভয়ই। যদিও বন আর হাতি রক্ষার দায়িত্ব যে বন বিভাগের,তার কাছেও খুব নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই এ ব্যাপারে।  

কাপ্তাই জাতীয় উদ্যাগ ও পাবলাখালি অভয়ারণ্য

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটির মূলত দুটি এলাকায় হাতির পদচারণা লক্ষ করা যায়। এর একটি কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান ( রাম পাহাড়,সীতা পাহাড়সহ) এবং লংগদু উপজেলার পাবলাখালি অভয়ারণ্য। ১৯৯৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৫৪৬৪ একর বনভূমি নিয়ে গঠন করা হয় কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্ক। ১৯৮৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ৪২ হাজার ৮৭ একর বনভূমি নিয়ে গঠন করা হয় পাবলাখালি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। এই দুটি স্থানকেই হাতিসহ বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেটি হয়নি।  

সঙ্গতকারণে এই দুটি উপজেলাতেই হাতি মানুষের মুখোমুখি হয়ে পড়া এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। শুকনো মৌসুমে যখন কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে আসে,তখনই সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। আর এই দুই অভয়ারণ্যের সাথে সম্পৃক্ত উপজেলাগুলোর লোকালয়েও মাঝে মাঝেই নেমে আসে হাতির পাল। সাধারণ হাতির পালে ১০ থেকে ১৫ টি হাতিকেও একসাথে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

বন বিভাগের মতে, এশীয় দুই প্রজাতির হাতি পার্বত্য চট্টগ্রামে দেখা যায় । এদের গড় আয়ু ৬০ থেকে ৭০ বছর। এসব হাতি ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সে সন্তান জন্ম দেয়া শুরু করে। গত আট বছরে জেলায় বুনোহাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে ২০ জন। বন বিভাগের সবশেষ তথ্যমতে, গত ৫ বছরে ৬টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। বন বিভাগ দাবি করছে, রাঙামাটির বনাঞ্চলে ৪০ থেকে ৫০টি হাতি আছে। মার্চ মাসে রাঙামাটি আসামবস্তি সড়কের কামিলাছড়ি এলাকায় ৫ দিনের ব্যবধানে পর্যটকসহ ২জন মারা যায়। 

রাঙামাটির কাপ্তাই সড়কে হাতি চলাচল করা সড়কে এমন নোটিশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে

কেন লোকালয়ে আসছে হাতি 

পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক পরিবেশবাদী সংগঠন 'গ্লোবাল ভিলেজ' এর সমন্বয়ক সৈয়দ হেফাজত সবুজ বলেন, রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কটি যে এলাকা ধরে করা হয়েছে, সেই এলাকাটিই ছিল মূলত হাতির নিরাপদ ঠিকানা। এই সড়কটি করার পর থেকেই সড়কের উপর হাতি-মানুষ বারবার মুখোমুখি হচ্ছে। প্রাণ হারাচ্ছে হাতি ও মানুষ। সম্প্রতি আবার  সড়কটিকে অযথা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ফলে গাছ ও পাহাড় কাটা হয়েছে দেদারসে। এতে হাতির নিরাপদ বাসভূমি ঝুঁকিতে পড়েছে। এছাড়া দেদারসে হাতির খাদ্য উপযোগী বন উজাড়ের কারণে খাদ্য সংকটে পড়ছে হাতি। আবার পাহাড়ে ছড়া-ঝরণা শুকিয়ে যাওয়ায় হাতি পানির উৎস সন্ধানেও ইতিউতি ঘুরছে, ফলে মানুষ ও হাতি মুখোমুখি হয়ে পড়ছে। এর বাইরে পূর্বভাবনা ছাড়াই উন্নয়ন কর্মকান্ডও হাতিকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।  

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুপ্রিয় চাকমা বলছেন, হাতির করিডরগুলোতে মানুষের ঘরবাড়ি নির্মাণ ও খাদ্য সঙ্কটের কারণেই মূলত সংকট তৈরি হচ্ছে। বন্য হাতির প্রাকৃতিক খাবার সঙ্কট, হাতির আবাসস্থলে মানুষের বসবাস বেড়ে যাওয়া, সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ, প্রাকৃতিক ঝিরি-ঝরণা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে বন্য হাতিকে খাবার ও পানির সন্ধানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত হাতি ও মানুষ মুখোমুখি হচ্ছে। 

রাঙামাটি দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ জানান, রাঙামাটির একাধিক এলাকায় বন্য হাতির বসবাস। হাতির আবাসস্থলগুলোতে বিভিন্ন স্থাপনা ও ঘরবাড়ি তৈরি হওয়ার কারণে হাতির আবাসস্থল ও চলাচলের পথ বা করিডোর নষ্ট হয়ে গিয়েছে। করিডোর নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে হাতি লোকালয়ে চলে আসছে এবং সংকট তৈরি হয়েছে।   

সোলার ফেন্সিং আর লাইটে সমাধান

এদিকে হাতি যেন লোকালয়ে এসে ক্ষতি সাধন না করে সে জন্য হাতির চলাচলের রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করতে কাপ্তাইয়ের ৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সোলার ফেন্সিং চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বনবিভাগ। 

এর আগে বাংলাদেশের শেরপুর এবং বান্দরবানে হাতি তাড়াতে সোলার ফেন্সিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে জানিয়ে বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ রেঞ্জার মহসিন তালুকদার বলেন, কাপ্তাই নেভি ক্যাম্প এলাকা থেকে ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় ৫ কিলোমিটার জায়গা পর্যন্ত সোলার ফেন্সিং সিস্টেম বসানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে লোকালয়ে এসে হাতি যে আক্রমণ করে, সেটি কিছুটা কমে আসবে বলে মনে করছি আমরা। 

পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, সোলার ফেন্সিং করা হলে হাতি লোকালয়ে আসার চেষ্টা করলে সোলার ফেন্সিং এর যে তার থাকবে সে তারে শক খেয়ে সে ফিরে যাবে। ফলে সহজে লোকালয়ে আসতে পারবে না।  

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স বিভাগের ডিন ড. সুপ্রিয় চাকমা বলেন, সোলার ফেন্সিং না করতে পারলেই ভালো হতো,তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাধ্য হয়েই হয়ত করতে হয়। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার সাথে সাথে হাতির আবাসস্থল যেন সংকুচিত হয়ে না যায়,সেটি মাথায় রেখেই সোলার ফেন্সিং করা যেতে পারে এবং সোলার ফেন্সিং সিস্টেম চালুর পূর্বে এই বিষয়ে গবেষণা জরুরি। বিশেষজ্ঞ মতামত ছাড়া এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে বলে মনে হয়না।

অন্যদিকে লংগদু উপজেলায় মানুষ চলাচলের যেসব সড়কে হাতি নেমে আসে,সেই পথে সোলার লাইট স্থাপনের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। আপাতকালীন ব্যবস্থা হিসেবে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তবে এই কৌশল আদৌ কতটুকু কার্যকরী হবে তা নিয়ে সংশয়ের কথা বলছেন পরিবেশবাদীরা। 

সঙ্কটে কাপ্তাই-লংগদুবাসি

রাঙামাটির কাপ্তাই ও লংগদু এলাকায় প্রায়ই বন্য হাতির আক্রমণে মৃত্যুর সংবাদ মেলে, আবার শোনা যায় হাতির মরার খবরও। এসব এলাকায় বসবাসকারী মানুষের মাঝে হাতি আতঙ্ক বিরাজ করে সবসময়ই। কাপ্তাই উপজেলায় গত দুই বছরে অন্তত ৮ জন মানুষ মারা গেছে এবং ৩টি হাতির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করছে বন বিভাগ। সর্বশেষ গত মার্চ মাসে হাতির আক্রমণে কাপ্তাইয়ে ২জন মানুষ মারা গেছে। এছাড়া বন্য হাতি আক্রমণে ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষতিসাধন হচ্ছে।  

কাপ্তাইয়ের প্রশান্তি পার্ক এলাকা, শিলছড়ি গেইট প্রবেশমুখ, কাপ্তাই লগগেইট এলাকা, নৌবাহিনী সড়ক ও কামিলাছড়ি-আসামবস্তি সড়ক, রাইখালি, ব্যাঙছড়িসহ কয়েকটি এলাকায় পাহাড় থেকে নেমে আসে হাতির পাল। 

অন্যদিকে লংগদু উপজেলার গুলশাখালী,ভাসাইন্যাদাম,করল্যাছড়ি এলাকা থেকে প্রায়শই হাতির মুখোমুখি হয়ে জানমালের ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়। স্থানীয়রা বলছেন, এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে খাবারের সন্ধানে গিয়ে রাস্তার ওপর মানুষ দেখলেই ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষতিসাধন করছে মানুষের। এতে এই এলাকায় চলাচলকারী মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও ভীতি কাজ করছে। গত মাসেও ভাসাইন্যাদম এলাকায় হাতির আক্রমণে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে কয়েকজন।  

গুলশাখালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু নাসের বলেন, প্রায় প্রতিবছরই ২-৩ জন মানুষ মারা যায় হাতির আক্রমণে। ফলের মৌসুম এবং ধানের মৌসুমেই মূলত পাশের পাবলাখালি বন থেকে হাতির পাল লোকালয়ে নেমে আসে। 

গুলখালি, ভাসাইন্যাদাম এবং বগাচত্বর এই তিন ইউনিয়ন হাতির আক্রমণের শিকার হয়। এই এলাকায় সর্বোচ্চ ৫-৬ টি হাতিকে পাল বেধে চলাচল করতে দেখা যায়, তবে পালের চেয়ে বিপদজনক একলা চলা হাতি। খাবারের অভাবের কারণেই হাতির পাল লোকালয়ে আসে বলে মনে করেন দীর্ঘ চার দশক ধরে ওই এলাকায় বসবাস করা এই জনপ্রতিনিধি। হাতির কারণে ফসলী জমিরও ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে দাবি করেন তিনি।   

লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাইনুল আবেদিন বলছেন, এই উপজেলায় হাতির সাথে মানুষের এই সংঘাতের বিষয়টি খুবই গুরত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমরা বন বিভাগকে সাথে নিয়ে বেশ কয়েকটি সচেতনামূলক সভা করেছি। জাইকার অর্থায়নে আগামী মাসেই হাতি চলাচলের সড়কে সোলার লাইট বসাচ্ছি আমরা, যেন আলো দেখে দূরে সরে যায় হাতি। একইসাথে বন বিভাগকে বলেছি, কলা গাছসহ হাতির খাদ্য উপযোগি বনায়ন করতে। তবে এর জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন এই কর্মকর্তা। 

কাপ্তাইয়ের স্থানীয় সাংবাদিক ঝুলন দত্ত জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্ক এলাকা ও রাঙামাটি সড়কে প্রায়ই হাতির দেখা মেলে। ভয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। বড় গাড়ির হর্নের শব্দে হাতি সরে গলে তখনই চলাচল করা সম্ভব। এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন মানুষের জন্য।   

কাপ্তাই সার্কেল'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব বলেন, আমার অফিসের আশেপাশে লোকালয় খুবই কম। সন্ধ্যার পর ভয়ে কেউ বের হতে পারে না। পায়ে হেঁটে যাওয়ার কথা তো চিন্তাও করা যায় না। গাড়িতে চলাচল করলেও ভয়ে থাকতে হয় পথে হাতি পড়ে কিনা। অনেক সময় তারা দল বেঁধে চলাচল করে। হাতির দল সামনে পড়ে গেলে সেটি আসলেই খুব ভীতিকর অবস্থা। প্রায়ই আমার অফিসের করিডোরে হাসি চলে আসছে।  

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, আমার দায়িত্ব থাকাকালীন এই ৮ মাসে হাতির আক্রমণে ৩টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এবং অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, হাতিকে তার নিজস্ব করিডোরে রাখার জন্য সোলার ফেন্সিং সিস্টেম চালুর ব্যপারে প্রকল্প দিয়েছিলাম এবং তা পাশও হয়েছে। কোভিডের কারণে অর্থ ছাড় না হওয়াতে কাজটি শুরু হয়নি। আশা করছি আাগামী সেপ্টেম্বর মাসে কাজটি আবার শুরু করা যাবে।  
 
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, আমরা ধারণা করছি,শুধুমাত্র কাপ্তাইতেই অর্ধ শতাধিক হাতি আছে। সেখানে কোন কোন পালে একসাথে ৩০টি হাতি দেখার ঘটনাও আছে। হাতির বসবাস ও চলাচলের করিডরে বসতঘর ও সড়ক নির্মাণ, অবাধে বৃক্ষ ও পাহাড় নিধন, প্রাকৃতিক বন উজাড় হওয়ার কারণে হাতির আবাস ও খাদ্যাভ্যাস চ্যালেঞ্জে পড়েছে,সেই কারণেই হাতি-মানুষ মুখোমুখি পড়ে যাচ্ছে। এটার জন্য আমরা কাপ্তাইয়ে সোলার ফেন্সিং করে আপাতত সংকট মোকাবেলার চেষ্টা করছি। সেই সাথে হাতির খাদ্য উপযোগী বনায়ন করা,তার করিডোর উম্মুক্ত রাখাসহ দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। জাতীয়ভাবে সেই চেষ্টা চলছে। কাপ্তাইয়ে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই সোলার ফেন্সিংয়ের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এই বন কর্মকর্তা। 

 

 

Related Topics

টপ নিউজ

হাতি / হাতির মৃত্যু   / বন্য হাতি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বিএনপি-জামায়াতের জনপ্রিয়তা কমেছে, বেড়েছে এনসিপির: জরিপ
  • ভারতের সঙ্গে ৩ স্থলবন্দর বন্ধ ও ১টির কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার
  • মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ‘সিন্ডিকেট’: লোটাস কামালের পরিবারসহ সাবেক ৩ এমপিকে অভিযোগমুক্তি
  • দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত নয়, বন্ধ করা উচিত: বিটিএমএ সভাপতি
  • ‘আমি কোলাটেরাল ড্যামেজ’: বাংলাদেশে দুর্নীতির মামলা নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিক
  • ডানার ফ্ল্যাপ বিকল, ২৬২ যাত্রী নিয়ে রোমে আটকা বিমানের ঢাকাগামী ফ্লাইট

Related News

  • শেরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল আরও একটি বন্যহাতির
  • হাতি সংরক্ষণে নতুন উদ্যোগ: উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ বানাবে সরকার
  • অস্ত্র নয়, হাতিই ছিল এ উপমহাদেশের রাজনীতি ও পরিবেশের প্রতীক
  • ঐ তে ঐরাবত 
  • দোকানে হানা দিলো হাতি, খাবার খেয়ে ‘টাকা না দিয়েই’ পালালো!

Most Read

1
বাংলাদেশ

বিএনপি-জামায়াতের জনপ্রিয়তা কমেছে, বেড়েছে এনসিপির: জরিপ

2
বাংলাদেশ

ভারতের সঙ্গে ৩ স্থলবন্দর বন্ধ ও ১টির কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

3
বাংলাদেশ

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ‘সিন্ডিকেট’: লোটাস কামালের পরিবারসহ সাবেক ৩ এমপিকে অভিযোগমুক্তি

4
বাংলাদেশ

দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত নয়, বন্ধ করা উচিত: বিটিএমএ সভাপতি

5
বাংলাদেশ

‘আমি কোলাটেরাল ড্যামেজ’: বাংলাদেশে দুর্নীতির মামলা নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিক

6
বাংলাদেশ

ডানার ফ্ল্যাপ বিকল, ২৬২ যাত্রী নিয়ে রোমে আটকা বিমানের ঢাকাগামী ফ্লাইট

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net